দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ রেলস্টেশন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ রেলস্টেশন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্র। ফলে এখানে এসে কোনো যাত্রীই তার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের জবাব না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। যাত্রীদের অভিযোগ, অনুসন্ধান কেন্দ্রে কেউ না থাকায় এখানে মিলছে না সেবা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ স্টেশনের কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনুসন্ধান কেন্দ্রের তিনটি কাউন্টারের দুটি স্থায়ীভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আর একটি কাউন্টার কিছু একটা দিয়ে ঢেকে রাখা রয়েছে। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ডাক দেয়া হলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। প্রতিদিন একই চিত্র থাকে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন যাত্রী।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেলস্টেশনের ১ নম্বর ফটকের বাঁ পাশেই অনুসন্ধান কেন্দ্রটির অবস্থান। এর বিপরীতে রয়েছে টিকিট কাউন্টার। তাই সব সময়ই এখানে অনেক ভিড় থাকে। টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা কোনো প্রয়োজন হলে অন্য মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেন। এতে যাত্রীদের সময়ের অপচয় হয়। অনেক সময় টিকিট কাউন্টারসহ অন্য অফিসে কিছু একটা জানতে গিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। আবার অনেকে হকার বা চা-দোকানিদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করেন।

কয়েকজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকার দিন দিন রেলওয়ের উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সেবা তারা পাচ্ছেন না।

 ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রায়হান নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, তিনি অনুসন্ধান কেন্দ্রে ট্রেন শিডিউল সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন। কিন্তু এখানে তথ্য না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে অন্য স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনেছেন। তবে এভাবে তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করা মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যকর নয় বলে মন্তব্য করেন ঈশিতা নামের আরেক যাত্রী।

অনুসন্ধান কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার পেছনে লোকবলের সংকটের কথা জানালেন স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান কেন্দ্রে কোনো ঘোষক নিয়োগ না দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত এখানে তিনজন টিকিট কালেক্টর দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তারা পালা করে অনুসন্ধানকেন্দ্রের ভেতর থেকে মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এই সেবা শুধু স্টেশনে তাৎক্ষণিক ট্রেন প্রবেশ ও ছাড়ার সময় এবং প্রারম্ভিক ট্রেনগুলো কোন কোন প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছে, সেই ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে আর কোনো তথ্য দিতে শোনা যায় না। তাই আলাদাভাবে কারোর কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন হলে স্টেশন সুপার ও প্ল্যাটফর্ম স্টেশন মাস্টারসহ অন্যদের কাছে যেতে হয়।

স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম জানান, টিকিট কালেক্টরদের কাজ মূলত স্টেশনের গেটে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট সংগ্রহ করা। কিন্তু এই কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মাইকে ঘোষণা দেয়ার কাজও তাদের করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সংকট দূর করে লোক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।

   

২৭ মে সারা দেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অটোরিকশাচালকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে থেকে সারাদেশে লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা। এর আগে কয়েকশ অটোরিকশাচালক মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন।

ঢাকা মহানগরে ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বিআরটিএ এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, কেন এই সিদ্ধান্ত? কার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত? ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ঢাকা মহানগরের প্রধান সড়কে চলাচল করে না। এটা মূলত অলি গলিতে চলে।

তারা বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ এই ধরনের যানবাহনে চলাচল করে। মাত্র ৬ ভাগ যাত্রী নিয়ে ঢাকা মহানগরের প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে প্রাইভেট গাড়ি। তারপরেও কেন এই বাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এই বাহনের সাথে চালক, মালিক, মহাজন, গ্যারেজ মালিক, চার্জিং ব্যবসায়ী, শ্রমিক মেস পরিচালনাকারী ও মোটর-রিকশা পার্টস, ব্যাটারিসহ সারাদেশে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। ঢাকা মহানগরে এ সংখ্যা আনুমানিক ৫ লাখের ওপরে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করে এ গণপরিবহন বন্ধ করা হলে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারী লাখ লাখ মানুষের ও তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব কে নেবে?

তারা বলেন, ২ টনের একটি এসিতে ৬ ঘণ্টায় ১৬ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে অথচ একটা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ব্যাটারি চার্জে ৩.৫-৪ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে। অর্থাৎ, ২ টনের এসিতে ১-২ জন মানুষের ঠান্ডা হওয়াটা জরুরি না সমপরিমাণ বিদ্যুতে ৪ জন মানুষের আত্মকর্মসংস্থান ও ২০ জন মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা, কোনটা জরুরি? আর অপচয়ের তো কোন সুযোগই নেই বরং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ভাষায়, বিদ্যুৎ ব্যবহারে তাদের রিটার্ন বেশি। কারণ তাদের বিদ্যুৎ বিল আবাসিক বিল থেকে অনেক বেশি। এরা বিদ্যুৎ চুরিও করে না। দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ বিদ্যুৎ এমনিতেই ব্যবহারের অভাবে অলস পড়ে থাকে, যার জন্য সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, বিআরটিএ ও ঢাকা মহানগরের দুই মেয়রের ঘোষণার পর মিরপুর, লালবাগ, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশা আটক, ব্যাটারি খুলে নেওয়া, ডাম্পিং ও চালক-মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের হয়রানির এবং মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত রিকশা শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে মন্ত্রী, বিআরটিএ ও মেয়রদের এই অযৌক্তিক, গণবিরোধী, ও লাখ লাখ মানুষকে কর্মহীন করে বেকারের মিছিল দীর্ঘ করার অগণতান্ত্রিক ও তুঘলকি সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান। অন্যথায় এই লাখ লাখ কর্মহীন ও বেকার চালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রাজপথে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন। একইসাথে সংগ্রাম পরিষদ থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ। সঞ্চালনা করেন অর্থ সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা। আরও বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ অনেকে।

;

অটোরিকশাচালকদের তাণ্ডব: চার মামলায় আসামি আড়াইহাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল রোববার (১৯ মে) মিরপুরে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন অটোরিকশা চালকরা। প্রতিবাদের আন্দোলন রূপ নেয় সংঘর্ষে। দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসব অভিযোগে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পল্লবী থানায় দুটি, কামরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।

তিনি বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি মামলা পল্লবী ট্রাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দিনভর আন্দোলন অবরোধের নামে পুলিশের কাজে বাধা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অটোরিকশা চালকদের। এসব মামলায় চার থানায় পৃথক অভিযানে ৩৭ জন অটো রিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।

ডিসি জসীম বলেন, গতকাল দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় তাণ্ডব চালায় অটোরিকশা চালকরা। তারা রাস্তাসহ কালশী ফ্লাইওভার অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে কালশীর রাস্তা অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন পরিবহনের একাধিক বাসে ভাঙচুর করেন। এছাড়া সর্বশেষ কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।

যে বা যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পল্লবী থানায় দায়ের করা দুটি মামলার নথি দেখা গেছে, পল্লবী থানার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী এসআই মোহাম্মদ আলী। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারী কর্তব্য কাজে বাঁধাদানসহ পুলিশের ওপর আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগে সাধারণ ও গুরুতর জখম, ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধন, বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটানো এবং বিস্ফোরক দ্রব্য হেফাজতে রাখা ও সহায়তা করার অপরাধ। মামলায় ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

মামলায় উল্লেখিত অপরাধ কাজের জড়িত থাকা অভিযোগে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে।

অন্যদিকে একই থানায় ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম এর পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদি সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। অন্য মামলার ন্যায় এই মামলাতেও একই অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকা। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।

পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত ও অজ্ঞাত পলাতক আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মুন্সির সাব্বির আহমেদ বলেন, দায়ের করা মামলা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম জানান, কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৬০০/৭০০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার ১২ জন। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

এ দিকে বেলা ১১টা থেকে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও কোনো অটোরিকশার দেখা মেলে নি। তবে পায়ের রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চললাম করছে।

;

এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি কমাতে গণ শুনানি করবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে তৃণমূলে গণশুনানি করবে নির্বাচন কমিশন ইসি। এসময় সংশোধনের জন্য আবেদনকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সপ্তাহে একদিন উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক অফিসে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) মো. ফরহাদ হোসেন নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

ইসির নির্দেশনা জানানো হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন সংশোধন সেবা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণদের ক্ষমতায়ন করা হয়। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাভুক্ত আবেদনসমূহের সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাইকরণ এবং প্রয়োজন অনুসারে তদন্ত করে আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/আংশিক অনুমোদন/বাতিল) করবেন।

এই অবস্থায়, মে মাসের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে মাঠ পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে এক অথবা দুই দিন শুনানি গ্রহণ করে অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ নিষ্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেই সঙ্গে পত্র প্রাপ্তির তিন কার্য দিবসের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকতা ও তার আওতাধীন সকল সিনিয়র জেলা/জেলা এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহে সপ্তাহে কোন একদিন বা দুই দিন শুনানি গ্রহণ করবেন তার সমন্বিত তথ্য পাঠাতে হবে।

ইসি সূত্রে যায়, এনআইডি সংশোধনের জন্য নানা উদ্যোগের পরও সংশোধন নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি যেন কাটছেনা। এক একটা আবেদন নিষ্পত্তিতে লেগে যাচ্ছে মাসের মাসের পর। ফলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) টেবিলে পড়ে আছে সাড়ে পাঁচ লাখ অনিষ্পন্ন আবেদন।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, আবেদন আসার পর সেগুলোর জটিলতা অনুযায়ী ক, খ, গ ও ঘ; এই চারটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। এজন্য ১০টি নির্বাচনি অঞ্চলের জন্য ১০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনো আবেদন কোনো ক্যাটাগরিতে ফেলতে দেরি হলে সেটি নিয়ে কোনো কাজই করা হয় না। এরপর ক্যাটাগরিতে ফেললেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবার নানা অজুহাতে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রমে হাত দেয় না। তদন্ত করতেও দেরি করা হয়। মূলত এসব কারণে এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তিতে মাসের পর মাস লেগে যায়। কোনো কোনো আবেদন বছরের পর বছর পড়ে থাকার নজিরও আছে।

বর্তমানে ইসির কাছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে 'ক' ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৩০ হাজার ৪২৬টি, 'খ' ক্যাটাগরিতে দুই লাখ ৫১টি, 'গ' ক্যাটাগরিতে দুই লাখ চার হাজার ২৫৫ টি ও 'ঘ' ক্যাটাগরিতে সাত হাজার ৬৬৫টি আবেদন পড়ে আছে। এছাড়া নয় হাজার ১১৫টি আবেদন এখনো ক্যাটাগরি করা হয়নি। সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৫১২টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি।

;

কুমিল্লায় ট্রাক চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার উদালিয়া এলাকায় ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানজুর মোর্শেদ।

ওসি জানান, ঘটনার পর তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে....

;