রাজধানীজুড়ে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, অসহনীয় যানজট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। এতে নগরবাসীকে পড়তে হয়েছে তীব্র ভোগান্তিতে। শহরের মূল সড়কসহ অলিগলিতে তৈরি হয়েছে অসহনীয় যানজট।

সোমবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, ডেমরায় পুলিশের সঙ্গে অটোচালকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জুরাইনে রাস্তা অবরোধ ও মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বেড়িবাঁধে রিকশা চালকরা বিক্ষোভ করছে।

এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়েছেন রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ ও চালকরা।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, বিআরটিএ ও ঢাকা মহানগরের দুই মেয়রের ঘোষণার পর মিরপুর, লালবাগ, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশা আটক, ব্যাটারি খুলে নেওয়া, ডাম্পিং ও চালক-মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের হয়রানির এবং মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত রিকশা শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে মন্ত্রী, বিআরটিএ ও মেয়রদের এই অযৌক্তিক, গণবিরোধী, ও লাখ লাখ মানুষকে কর্মহীন করে বেকারের মিছিল দীর্ঘ করার অগণতান্ত্রিক ও তুঘলকি সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান। অন্যথায় এই লাখ লাখ কর্মহীন ও বেকার চালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রাজপথে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন। একইসাথে সংগ্রাম পরিষদ থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ। সঞ্চালনা করেন অর্থ সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা। আরও বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ অনেকে।

রংপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজুসহ গ্রেফতার ১৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রংপুরে সহিংসতার, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ১২ মামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজুসহ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর ও জেলা পুলিশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হারাগাছ পৌর বিএনপির সভাপতি মোনায়েম হোসেন ফারুক, মাহিগঞ্জ থানা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগরীতে গ্রেফতার করা হলো ১৪৩ জনকে।

অন্যদিকে, জেলা ‍পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, একই সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুসহ চারজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় গ্রেফতার করা হলো ৪৯ জনকে। এবং মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাড়ালো ১৯২।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লটুপাট ও বিষ্ফোরক আইনের ১২টি মামলায় চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চলছে। নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি কিংবা গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

;

একটি মহল গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একটি মহল গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

একটি মহল গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দাবি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।

;

প্রকাশ্যে অনলাইন জুয়ার ভয়ংকর ফাঁদ, নিষ্ক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের সদ্য এসএসসি পেরোনো কিশোর রাসেল মন্ডল। নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন ক্রিকেট পাগল রাসেলকে টার্গেট করে বেটিং সাইটের (অনলাইন জুয়া) এজেন্ট মোহাম্মদ আলী জীবন। টাকা ধার দিয়ে খুলে দেয় বেটিং সাইটের একাউন্ট। গত দুই বছরে কিশোর রাসেলকে প্রলুব্ধ করে কয়েক লাখ টাকা জুয়ায় বিনিয়োগ করিয়েছে জীবন। বাজিতে হেরে রাসেলের মাথায় চেপে বসে প্রায় দুই লাখ টাকার ঋণ। একপর্যায়ে ঋণ শোধ করতে রাসেলকে মায়ের গহনা চুরি করার পরামর্শ দেয় জীবন।

জীবনের পরামর্শে গত মে মাসে সুজানগর বাজারের কর্মকার জুয়েলার্সে গহনা বন্ধক রেখে চড়া সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেয় রাসেল। তবে জুয়ায় জেতার নেশা আর ঋণের বোঝা কোনোটাই পিছু ছাড়েনি তার। মানসিক চাপ ও অনুশোচনায় সম্প্রতি তার মাকে গহনা চুরির কথা জানায় ভুক্তভোগী কিশোর।

পুরো ঘটনা জানতে পেরে তথ্য প্রমাণসহ এজেন্ট মোহাম্মদ আলী জীবনের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় অভিযোগ করে রাসেলের পরিবার। তবে এতেও খুব একটা লাভ হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, অর্থ লেনদেন ও অপরাধে প্ররোচনার প্রমাণ থাকার পরেও জীবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

রাসেলের মা রোজিনা খাতুন বলেন, ছেলের কাছে সব জানতে পেরে আমি সুজানগর থানায় মোহাম্মদ আলী জীবনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ তদন্তে থানা থেকে এস আই মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি মালিফা ফাঁড়িতে উভয়পক্ষকে ডাকেন। সেখানে জীবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং আমার ছেলেকেই চোর সাব্যস্ত করে ধমক ও চর থাপ্পড় দেন। এ সময় ঘটনা মীমাংসার কথা বললে আমি রাজি হইনি। যারা আমার ছেলেকে বিপথে নিয়েছে, মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছে আমি তার বিচার চাই ।

ভুক্তভোগী কিশোর জানান, জীবনের প্ররোচনায় জুয়ায় জড়িয়ে নিজের ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে পেরে এ পথ থেকে সরে আসার চেষ্টা করে সে। বাবা মা তাকে গ্রাম থেকে ঢাকা পাঠিয়ে দিলেও, জীবন তার পিছু ছাড়ে নি। মানসিক চাপ সৃষ্টি করে আবারও খেলতে বাধ্য করে। হেরে যাওয়ার পর টাকার জন্য চাপ দেয়। রাসেল বলেন, ‘আমাকে কিডন্যাপের নাটক সাজিয়ে প্রবাসী বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়, ঢাকার হাসপাতালে কিডনি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করার পরামর্শ দেয় জীবন। একপর্যায়ে তাদের চাপে মায়ের গহনা চুরি করি। আমি এই ফাঁদ থেকে বের হতে চাই ‘

রাসেলের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে সরেজমিনে সুজানগর বাজারের কর্মকার জুয়েলার্সে গিয়ে তার মায়ের গহনার সন্ধান মেলে। দোকান মালিক সজীব কর্মকার বলেন, ‘গত মে মাসে রাসেল ও জীবন সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের কৃষ্ণ নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গহনা বন্ধক রেখে যান। তারা প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা সুদের চুক্তিতে এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। তবে কি কাজে তারা টাকা ঋণ নিয়েছে তা কিছুই আমি জানি না।’

এ বিষয়ে এজেন্ট জীবনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনলাইন জুয়ায় জড়িত নন বলে দাবি করেন। তথ্য প্রমাণ আছে জানালে তিনি দ্রুত সরে পড়েন।

এদিকে রাসেলের জুয়ায় জড়িয়ে পড়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য। স্থানীয় সূত্র বলছে, কেবল নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নেই বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ্যে সক্রিয় অন্তত দশজন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট। এদের প্ররোচনায় জুয়ার মরণ ফাঁদে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন অনেকেই।

নাজিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কেরামত আলী ব্যাপারী বলেন, ব্যবসা দেখাশোনার জন্য ছোটভাই রহমতকে দোকানে বসিয়েছিলাম। অনলাইন জুয়া এজেন্টদের খপ্পরে পড়ে সে। গত দুই বছরে দোকানের ক্যাশ নষ্ট করার পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মতো। ঋণ আমার পরিবারের কাঁধে। দিনে দিনে জমি বিক্রি করে তাদের দেনা শোধ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব।

একই গ্রামের রবিউল মোল্লা বলেন, আমার বড় ভাই ইসা মোল্লাকে স্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট শীতল অনলাইন জুয়ার ফাঁদে ফেলে। খেলায় হেরে তার আয়ের সম্বল সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করে এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। অথচ এজেন্টরা বহাল তবিয়তে। পুলিশ সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অন্যদিকে অনলাইন জুয়ার বিষয়ে তেমন অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে দাবি করছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাসেল মন্ডলের মায়ের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

কেবল সুজানগরই নয় পাবনার ১০টি থানার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া। সক্রিয় অন্তত দুই শতাধিক এজেন্ট। বেটিং সাইটের এজেন্টরা প্রবাসী, অবস্থাপন্ন পরিবারের তরুণদের টার্গেট করে জুয়ার ফাঁদে ফেলে যুক্ত করছে নানা অপরাধে। বিদেশে অর্থ পাচার ও সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার এমন কার্যক্রম প্রকাশ্যে চললেও, তৎপরতা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য উৎপল মির্জা বলেন, অনলাইন জুয়ায় তরুণ সমাজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ না থাকার অজুহাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় থাকার কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করিনা।

পাবনার পুলিশ সুপার আব্দুল আহাদ বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ: নিউমার্কেট থানায় হত্যাসহ ৩ মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ/বার্তা২৪.কম

ছবি: সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরেটরি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থী এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় হত্যা, ভাঙচুরসহ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব মামলা নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী এবং একজন হকারের মৃত্যুর ঘটনায় আলাদা দুটি হত্যা মামলা এবং সায়েন্সল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি (মোট ৩টি) মামলা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা বারোটার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে আশপাশের অন্তত ৬-১০টি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে দুপুর ২টা নাগাদ এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ব্লকের সভাপতি পদপ্রার্থী দুই নেতা বাকবিতণ্ডায় জড়ালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুরো কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ওই এলাকায় দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স, ৩টি বাস ও একটি কভার্ডভ্যান।

এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। এরমধ্যে একজন হলেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগকর্মী সবুজ আলী এবং আরেকজন হলেন নিউমার্কেটের হকার শাহজাহান।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ নিউমার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যদের দীর্ঘসময়ের সম্মিলিত চেষ্টায় সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

;