উদ্বোধনের ১৮মাস পরেও চালু হয়নি খুমেকের আইসিইউ ভবন



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
উদ্বোধনের ১৮মাস পরেও চালু হয়নি খুমেকের আইসিইউ ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

উদ্বোধনের ১৮মাস পরেও চালু হয়নি খুমেকের আইসিইউ ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্বোধনের পর দীর্ঘ ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) নতুন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ভবনটি চালু করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে খুমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের কারণে খুলনাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইসিইউ ভবনটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে আইসিইউ ভবনের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ীভাবে ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এছাড়া এখন খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তৃতীয় তলায় মাত্র চারটি বেড দিয়ে আইসিইউ বিভাগের কাজ চলছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপর্যাপ্ত।

হাসপাতাল সূত্র‌ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনের কাজ শেষ হবার আগেই ২০১৮ সালের ৩ মার্চ এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এরপর দীর্ঘ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে চালু হচ্ছে না অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি। এ ব্যাপারে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েও কোন সুফল মেলেনি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খুমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ১২শ'র বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বিশাল সংখ্যা এ রোগীদের জন্য বর্তমানে মাত্র চারটি বেড দিয়ে চলছে খুমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ।

সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে খুমেক হাসপাতালের পূর্ব পাশে ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মাঝখানে নির্মাণ করা হয় খুমেক হাসপাতালের আইসিইউ ভবন। দুইতলা এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় চারটি কেবিন, ১০টি আইসিইউ, ১৬টি পোস্ট অপারেটিভ বেড নিয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া নীচতলায় রয়েছে অতি জরুরি সার্জারি রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য ইমার্জেন্সি সার্জারি ইউনিট। গত বছরের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে উদ্বোধন করা হয় খুমেকের নতুন আইসিইউ ভবন। কাজ সম্পন্ন করে এক মাসের বেশি সময় আগে গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেয় খুমেক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু হচ্ছে না নতুন এ ভবনটি। ১৪৪ জনের জনবল চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিটি পাঠানোর পর এক বছর পার হয়ে গেলে এখনো পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রীর চাহিদা পাঠিয়ে বার বার যোগাযোগ করা হলেও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

খুলনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইসিইউ ভবনটি ভালোভাবে চালু করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে জনবল ও যন্ত্রপাতি চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজের জন্য নিয়মিত কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি কেনার জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়া গেলে বর্তমানে যে জনবল আছে, তা দিয়েই আইসিইউ বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে ।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ (সহযোগী অধ্যাপক) ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনাসহ আশপাশের জেলায় কেউ গুরুতর অসুস্থ্য হলে তাকে সবার আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাসপাতালটিতে আইসিইউ সেবা থাকবে না তা কল্পনাও করা যায় না। অতি দ্রুত যন্ত্রপাতি ও জনবল সমন্বয়ের মাধ্যমে আইসিইউ বিভাগ চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

   

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

;

বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল সিদ্দিক অপু। তারমাথা, পা ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ অবস্থায় নিজের অবস্থান ও জীবন নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটছে তার।

অপু বরিশাল জেলা স্কুলের ২০০৮ ব্যাচের প্রভাতি শাখার সাবেক শিক্ষার্থী।

পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে (২০১০ ব্যাচ)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ কর্মস্থল রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত অপুকে ভর্তি করা হয়েছিল কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার মেরুদণ্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।

স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে যে নার্ভ সিস্টেম থাকে তা ছিঁড়ে গেছে। ফলে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়।

অপুর স্কুল জীবনের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার ফিরে আসার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। বিদেশে উন্নত সার্জারি, নিউরো-ট্রান্সমিটার চিপ স্থাপন ও অ্যাডভান্সড থেরাপির মাধ্যমে তিনি আবার নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবেন।

অপুর মামাতো ভাই মো. সালাউদ্দীন আহমেদ রিফাত জানান, চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা বাংলাদেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই প্রায় অসম্ভব। অপুর পরিবারের জন্যও তাই।

অপুর বন্ধু মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান) জানান, চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে অপু ও তার পরিবার।

অপুর বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৮২৭৬৯৪০৪৬ ও ০১৬৮৫৫৩৯৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তারা।


ডোনেশনের জন্যঃ

ব্যাংকের তথ্যঃ

একাউন্ট নেম: MD SALAHUDDIN AHMED, MAHAMUD HASAN RAJU AND HAFIJ UDDIN AHMED RAIYAN

একাউন্ট নং: 011931100005755

ব্রাঞ্চ নেম: NRBC BANK PLC, Barishal Branch. Or NRB COMMERCIAL BANK, Barishal branch.

রাউটিং নাম্বার: 260060280

সুইফট কোড: NRBBBDDH

একাউন্ট হোল্ডারদের পরিচয়ঃ

১. মো: সালাউদ্দীন আহমেদ (রিফাত), উদয়ন স্কুল ২০০৮ ব্যাচ। (অপুর মামাতো ভাই)

২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান), বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (দিবা শাখা)। (অপুর বন্ধু)

৩. হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাইয়ান, বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (প্রভাতি শাখা)। (অপুর বন্ধু)

মোবাইল ব্যাংকিং তথ্যঃ

১.শান্তনু অঙ্গন। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01689-024978 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান)। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ

01827-694046< পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


৩. কাজী মিরাজুল ইসলাম নিশান। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01685-539363 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।

৪. তনু মিত্র। বরিশাল জিলা স্কুল, প্রভাতি শাখা, ২০০৮ ব্যাচ।

বিকাশঃ 01719-936837 (পারসোনাল)

নগদঃ 01913-142801

বি.দ্র: বিকাশ/নগদে সেন্ড মানি করতে হবে।

রেফারেন্সে নিজের নাম বা FFO লিখে দিবেন।

paypal: https://www.paypal.com/pools/c/94hEOCK9ZX

www.paypal.com

;

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে নেই বৃষ্টির দেখা। এ অবস্থায় দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। চলমান তাপপ্রবাহে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

;

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;