১২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সোনালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

একশ ছাব্বিশ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খুলনা সোনালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর সিনিয়র বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয়ার সময় পর্যন্ত উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন ওই ৪ কর্মকর্তা। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া ওই আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা (তৎকালীন খুলনা করপোরেট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক), ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান।

এই মামলায় অপর আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তিন দফায় ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নিয়ে কোনো মালামাল না কিনে তা আত্মসাৎ করেন। এতে সরকারের সুদাসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।

   

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপপ্রবাহের মাত্রা দিন দিন বাড়ায় এটিকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। আমরা এটা অ্যাডজাস্ট করতে চাই। এটাকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সব রেডি আছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে তাপপ্রবাহের সময় আমরা প্রোগ্রাম রেডি করে ফেলেছিলাম। সারা দেশে পানি, স্যালাইন, ছাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো, বৃষ্টি হলো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে দুটি ক্যাম্প করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ক্যাম্প দুটি স্পিকারের উদ্বোধন করার কথা ছিল। এ দুই স্থান থেকে পানি, স্যালাইন, ছাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারতো। সব রেডি ছিল, তাঁবু ফেলে আমরা ক্যাম্প করবো। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তা আর হয়নি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার নির্বাচনী এলাকায়ও আমি তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে নানান উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

;

সিলেটে দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথপরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় সরকারি চাকুরিজীবীদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে নাগরিক সেবা উদ্ভাবনের মাধ্যমে কার্যকর সেবা প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আমরা বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু তোমরা বিশ্ব নাগরিক উল্লেখ করে উপস্থিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমেনা বেগম বলেন, তোমাদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে হলে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের চর্চার মধ্যে থাকতে হবে। চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সময়োপযোগী উদ্ভাবন করতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি‘র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সৈয়দ হারুন অর রশীদ, পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ডা. নুরুল হক, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি বলেন, জনপ্রশাসনের প্রতিটি স্তরে সেবার মান উন্নয়ন ও সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারি কর্মকাণ্ডের প্রতিটি পর্যায়ে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদানে কার্যকর উদ্যোগসমূহ তুলে ধরার জন্যই দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় এ উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা- ২০২৩-২৪ এর অংশ হিসেবে আয়োজিত মেলায় সিলেট বিভাগের ২৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে 2৬টি স্টল রয়েছে। উদ্বোধন শেষে অতিথিগণ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

;

শ্যামাসুন্দরী খাল একদিনে পরিস্কার করার উদ্যোগ রসিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল পরিস্কার করাসহ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।

আগামী ১১ মে শনিবার একযোগে খালের পাঁচ কিলোমিটার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার মধ্যদিয়ে শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখার কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে একযোগে ১৫টি পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন বিডি ক্লিনের ১ হাজার সদস্যসহ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা খাল পরিস্কার কার্যক্রমে অংশ নিবেন।

শ্যামাসুন্দরী খাল রংপুর জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি হওয়ায় এটি দখলমুক্ত করার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে নানান প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রায় ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং স্থানভেদে ২৩ থেকে ৯০ ফুট প্রশস্ত এই খাল সিটি এলাকার উত্তর পশ্চিমে কেল্লাবন্দস্থ ঘাঘট নদী থেকে শুরু হয়ে নগরীর সব পাড়া-মহল্লার বুক চিরে ধাপ পাশারিপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সীপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা শাপলা চত্বর, নূরপুর, বৈরাগিপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জ সাতমাথা রেলগেট এলাকায় কেডি ক্যানেল স্পর্শ করে খোকসা ঘাঘট নদীতে মিশেছে।

এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১১ মে শনিবার বিডি ক্লিন (স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন) এর মাধ্যমে শ্যামাসুন্দরী খাল একযোগে একদিনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।

পরিচ্ছন্নতার সুফল সম্পর্কে নগরবাসীকে বেশি করে সচেতন করতে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র মোস্তফা বলেন, শ্যামাসুন্দরী খালের আশেপাশে বসবাসরত নগরবাসীকে সচেতন হবে। শনিবার (১১ মে) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর শ্যামাসুন্দরী খালে নতুন করে ময়লা ফেলা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অবৈধ স্যুয়ারেজ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে রংপুর
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রয়োজনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় আগামী তিন মাসের মধ্যে শ্যামাসুন্দরী খাল খনন ও সংস্কারসহ আধুনিকায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট ডিজাইন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, তৌহিদুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মাহমুদ হাসান মৃধা, তত্বাবধায়ক প্রকোশলী (চ. দা.) মো. আজম আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিচুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ইবনে তাজসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিডি ক্লিনের প্রতিনিধি ও সিটির বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

কুড়িগ্রামে শিশুদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ’ শীর্ষক লোকনৃত্যের আসরের স্কুল পর্যায়ের জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামে।

শুক্রবার ও শনিবার (১০, ১১ মে) এই দুইদিন এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।  শুক্রবার (১০ মে) চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হওয়ার পর আগামী শনিবার (১১ মে) বিকেলে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জেলা প্রশাসন কুড়িগ্রামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ বৈশাখী উৎসবের রং প্রাণে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন।

তিনি জানান, একই স্কুলের ৫ জন শিশু নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এবারের এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩০৫টি স্কুলের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জন। এদের মধ্যে মেয়েশিশু ১ হাজার ৩৭২ জন এবং ছেলেশিশু ১৫৩ জন।

আনজির লিটন বলেন, জেলা থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারী বিজয়ী দুইটি দল বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ী দুইটি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আজ কুড়িগ্রামে এসেছে। শুক্রবার (১০ মে) চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের প্রথম স্থান অধিকারী বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করছে। এখান থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের ৩টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩টি বিজয়ী স্কুলদলকে পুরস্কৃত করা হবে।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৩ টায় শেখ রাসেল অডিটোরিয়াম, কুড়িগ্রামে পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ হামিদুল হক খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. রওশন আরা বেগম, অতিরিক্ত সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম; মো: কাজিউল ইসলাম, মেয়র, কুড়িগ্রাম পৌরসভা; প্রফেসর মির্জা মো: নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ; জনাব এস এম আব্রাহাম লিংকন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, আইনজীবী ও সমাজ গবেষক। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ এবং শামীম আরা নিপা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ।

এর আগে ২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এরপর ২০১৯ সালে রাজশাহীতে ২য় বারের মতো এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনার প্রভাবে দীর্ঘ বিরতির পর এবছরের অনুষ্ঠান ৩য় বারের মতো কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মঞ্জুরুল কাদির বলেন, ইতোমধ্যে সব বিভাগ থেকে প্রতিযোগীরা আসতে শুরু করেছে। আমরা তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফ বলেন, অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী শনিবার (১১ মে) বিকেলের পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রামের সর্বস্তরের জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

;