সাদ-রিটার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এরশাদের অভিমানী ভাতিজা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসিফ শাহরিয়ার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসিফ শাহরিয়ার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুর মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আরও জটিল সমীকরণের দিকে এগিয়ে গেল রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন। এখন এই নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ ও বিএনপির রিটা রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে থাকছে এরশাদের অভিমানী ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।

৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে। তবে দলীয় প্রতীক থাকায় লাঙ্গল ও ধানের শীষের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নেতারা। যদিও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সাদ এরশাদের পক্ষে নির্বাচনে মাঠে না থাকার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন।

রংপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন এলাকার ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংসদীয় রংপুর-৩ আসনটি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নব্বইয়ে এরশাদ সরকারের পতন হয়। তবুও রংপুরের মানুষ এরশাদ ও লাঙ্গলের প্রতি উদার ছিলেন। তাই নব্বই পরবর্তী প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যক্তি এরশাদের জনপ্রিয়তায় রংপুরের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসায় ভোট পড়েছিল তারই পক্ষে।

গেল ২৮ বছরের ইতিহাসে রংপুরে কখনোই পরাজিত হয়নি এরশাদের লাঙ্গল। তবে এবারের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। এরশাদবিহীন টালমাটাল জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদকে নিয়ে চটেছেন রংপুরের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। প্রবাসে ব্যবসায় সাফল্য পাওয়া রওশনপুত্র সাদ এরশাদ তার বাবার আসনে কতটুকু সফল হবেন, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন দলের শীর্ষ নেতারা। আর রাজনীতিতে একেবারই নতুন এই সাদকে সহজেই মানতে পারছেন না দলের তৃণমূল নেতারা।

এদিকে নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো, স্থানীয় বিএনপির কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে অচেনা রিটা রহমানকে ধানের শীষের প্রার্থী করা এবং সাদ এরশাদকে নিয়ে জাতীয় পার্টিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি দ্বন্দ্ব-বিতর্কে লাভ খুঁজছেন এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। সাবেক এই সংসদ সদস্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার পর থেকেই দলে বহিষ্কৃত হয়ে আছেন।

এরশাদ পরিবারের সদস্য হিসেবে দলের কাছে আসিফ শাহরিয়ার এখন তুচ্ছ হলেও দিন দিন এই নির্বাচনকে ঘিরে তার পক্ষে তৈরি হয়েছে জনসমর্থন। বিএনপিতে স্থানীয় প্রার্থী নেই। নেই জাতীয় পার্টিতেও। তাই দুই বড় দলের দুই প্রার্থীকে রংপুরবাসীর কাছে অপরিচিত এবং প্রবাসী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্য থেকে।

জানা গেছে, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করা সাদ এরশাদও প্রস্তুত নির্বাচনী যুদ্ধের লড়াইয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে। তার পক্ষে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ জেলা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। আর নির্বাচনী উৎসব থেকে নিজেদের আড়াল করে রেখেছেন মহানগর জাতীয় পার্টির নেতারা।

এই পরিস্থিতিতে নৌকাবিহীন মাঠে লাঙ্গল ও ধানের শীষের যুদ্ধে ফায়দা লুটতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ শাহরিয়ার। তার সমর্থকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির অভিমানী ভোটাররা অজানা সাদের বিমুখ হয়ে ব্যালটে আসিফের পক্ষে রায় দেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত নানা নাটকীয়তায় ভরা এরশাদের শূন্য এই আসনে কে হবেন নতুন সংসদ সদস্য, তা দেখতে অপেক্ষায় থাকতে হবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জি.এম. সাহাতাব উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম রাজু তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বৈধ রয়েছে জাতীয় পার্টির রাহগীর আল মাহি সাদ, বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল।

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া গেছে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হয় ১১ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। তার ১৮ দিন পর ৫ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ।

   

সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়। একাত্তরের পরাজিত ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ৭২'র সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ওয়াকিবহাল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংবিধানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে চেয়েছিলেন সেটি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধরে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা আছে বলেই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছিল এই সংগঠন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা উঠলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমারা কি আর জীবিত থাকি প্রশ্ন রেখে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখনো ওরা (স্বাধীনতা বিরোধী) স্লোগান দেয় পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয়। তাই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। ওরা সুযোগ পেলেই সাপের মত ছোবল মারতে চায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ওই কমিশনের আমি প্রধান ছিলাম। এই কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৃপণতার সঙ্গে মাত্র ৫০ কপি প্রকাশ করেছিল। একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংগঠনটির নাম বলতে চাই না। তাদের মূল এজেন্ডা ছিল আমার প্রতিবেদন। তারা বলেছিল, তারা ক্ষমতায় গেলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। হয়তো তারা আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না। সেই সুযোগটা তারা পাবে না। কারণ আজকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যেভাবে জেগে উঠেছে তারা আর আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের অবস্থানে থেকেছেন। নিজেদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। এজন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে অভিবাদন জানাই।

এ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেনসহ প্রমুখ।

;

নোয়াখালীতে পাওয়ার ট্রিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওয়ার টিলারে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।  

নিহত মো.রিফাত (৬) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁধের হাট এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো পাওয়ার টিলার । এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত পাওয়ার টিলারে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় পাওয়ার টিলারের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।  

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া আরও বলেন,নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়ার ট্রিলারটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৫ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। 

এদিকে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক।

বন্দর সূত্রে জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা  টা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিকেল ভিসা ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৮ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এব্ং ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক। অন্যদিকে ঢুকতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার পাসপোর্টধারীরা। তবে মেডিকেল ভিসার পাসপোর্টধারী ও ভারতীয় ভোটার- এমন নাগরিকদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই।

পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালক জমির উদ্দীন জানান, ৫ দিন বন্ধের কারণে বন্দরে আটকা পড়েছি। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারণ সমবপাদক জিয়াউর রহমান জানান, ভারতে নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে ৫দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে তাদের অনেক পণ্যবাহী ট্রাক ওপারে আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতাযাত বন্ধ আছে। তবে মেডিকেল ভিসা চালু আছে। আগামী ২১ মে থেকে সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক এবং ২৩ মে থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।

;

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;