নির্বাচন ভবনে আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএম, তদন্তে কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
নির্বাচন ভবনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএম/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নির্বাচন ভবনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএম/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্ষতিগস্ত হয়েছে। তবে কয়টি মেশিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে বেশ কিছু ইভিএম সংরক্ষিত ছিল। রোববারও (৮ সেপ্টেম্বর) নতুন ইভিএম এনে এখানে সংরক্ষণ করা হয়। আগুনে ইভিএমের ক্যাবল ও মনিটর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য পানি ছিটানো কারণে মেশিনগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কত সংখ্যক ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি তদন্তের পর জানা যাবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসির উপসচিব (সাধারণ সেবা) রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে

কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি-ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান, সদস্য সচিব-সহকারি সচিব (সেবা-২) খ ম আরিফুল ইসলাম, এছাড়া চারজন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, গণপূর্তের ই/এম বিভাগ-৮ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ ইয়ামিন-উল-ইসলাম ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উপ-সহকারি পরিচালক আনোয়ার হোসন।

এই কমিটিকে তিনটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার কারণ ও উৎস নির্ণয়; অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ (আর্থিক মূল্যসহ) এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে সে সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। মূলত বেসমেন্টের যেখানে ইভিএম সংরক্ষিত রয়েছে সেখানে অগুন লেগেছিল। ফলে ইভিএমের মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটি পরে জানা যাবে।

ঘটনার পর ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, ভবনটিতে ৪ হাজার ৫০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রয়েছে। বেসমেন্টেও কিছু ইভিএম ছিল। আগুন লাগার ফলে সেখানে খাকা কিছু ইভিএমের ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের বেগ বেশি ছিল না। তবে গুরুত্বপূর্ণ ভবন বিধায় প্রয়োজনের অধিক ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিচতলায় রোববার দিবাগত আনুমানিক রাত সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করে প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

 

   

ফেনীতে ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তা চিনি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের ওবায়দুল হক নামে এক ইউপি সদস্যের খামারবাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিনিগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের খামারবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৩ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের ছেলে আরিফ এবং তার সহযোগী নুরুকে আসামি করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে নুরুর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে সুবাধে সে খামার বাড়িতে নুরু চিনিগুলো রেখেছিল। এতে আমি বা আমার ছেলে জড়িত না। ঘটনার পর নুরু বাড়িতে এসে তার সব শেষ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানান। তখন চিনিগুলো আটকের আগে কেন এই বিষয়ে আমাকে জানায়নি সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, ইউপি সদস্যের খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার। এছাড়া ৬৪টি মেডিকেল টিমও গঠন করার হচ্ছে।

দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।

এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারসহ সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্যোগে আমাদের প্রত্যেককে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আগামীকাল থেকে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাত গভীর হচ্ছে উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কথা হয় বরগুনা কাকাচিড়া মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সাথে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা অনেক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেছি এবার শুনেছি নতুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসছে। ২০০৭ সালে আমি যখন ছোট সেই সময় থেকে বন্যা মোকাবেলা করে আসছি। বরগুনা কাকচিড়া মাঝের চড়ে বড় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই, বেড়িবাঁধ নেই, থাকলে ভালো হতো। সরকার একটু সহযোগিতা করে আমাদের পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে একেবারেই নাজুক অবস্থায় মেরামত করলে হয়তোবা আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জানান, সিডরের সময় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে আর কখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি সরকার। বিষখালী নদী পাড়ের এই বাঁধ নির্মাণ না করলে মাঝারি ধরনের কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে এখানে।

বরগুনা পোটকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা হালিমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে কথা টিভিতে দেখেছি, ভয় হয়, এর আগে অনেক বন্যা সিডর, আয়লা,মোকাবেলা করেছি,এখন ঘরে ছেলে মেয়ে আছে, বাড়িতে গরু ছাগল হাসঁ মুরগী পালন করি এনিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।

ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা, বিমান উঠানামা বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৬ নং বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা। যার কারণে কক্সবাজারে দেখা দিয়েছে টিকিট সংকট। কক্সবাজারের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বাসের টিকিট। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বিমান উঠানামা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৬ নং বিদপ সংকেত যেহেতু চলছে সেহেতু বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ের কাউন্টার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পর্যটকরা ভয়ে কক্সবাজার ছেড়ে যাচ্ছে। আজকে কোন টিকিট নেই। বেশিরভাগ বাস চলে গেছে। কালকেও সব টিকিট বুকিং রয়েছে। বিমান চলাচল বন্ধ করায় টিকিটের চাহিদা আরও বেড়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে মানুষ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪শ ৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার নগদ টাকা,জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সাথে গৃহ নির্মান মনজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও ৬ নং বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

;