খুলনার ১৩৬ স্থানে হবে পশু কোরবানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এবারো নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। এবার মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর নির্ধারিত স্থান ছিল ১৭২টি।

কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছর ঈদুল আজহায় নগরীতে ৯ হাজার ৫শ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছিল শতকরা ৪৫ ভাগ। ভালো সুফল না পাওয়ায় ৩১টি ওয়ার্ডে কিছু স্থান কমিয়ে এবার ১৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেসিসির নির্ধারিত স্থানগুলো হচ্ছে- খুলনা নগরীর ১ নং ওয়ার্ডে জাতীয় তরুণ সংঘ মাঠ, দিঘির পশ্চিম পাড়, কালিবাড়ী দিঘির পাড়, পশ্চিমপাড়া মতির বাগানবাড়ী, মহেশ্বরপাশা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি রোড, শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয় মাঠ ও মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া, খানা বাড়ি।

২ নং ওয়ার্ডে কেডিএ আবাসিক জামে মসজিদের সামনে, অ্যাজাক্স জুট মিলস ফুটবল খেলার মাঠ, মীরেরডাঙ্গা তেঁতুলতলা মাঠ, সেনপাড়া জহির উদ্দিন গণ বিদ্যাপীঠ স্কুল মাঠ ও রেলগেট কৃষ্ণ মোহন স্কুল মাঠ।

৩ নং ওয়ার্ডে মহেশ্বরপাশা সাড়াডাঙ্গা মাঠ, কার্ত্তিক কুল ঈদগাহ ময়দান, মধ্যডাঙ্গা স্কুল মাঠ ও মাঠের বাড়ি স্কুল।

৪ নং ওয়ার্ডে দেয়ানা দক্ষিণপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, দৌলতপুর কলেজিয়েট স্কুল মাঠ, দেয়ানা উত্তরপাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও দেয়ানা মোল্লা পাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ।

৫ নং ওয়ার্ডে আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান, কল্পতরু চত্বর, দত্তবাড়ি ইসহাকিয়া মাদরাসা ময়দান, তিন দোকানের মোড় খানজাহান আলী মাদরাসা ময়দান ও দৌলতপুর বাজার তুলাপট্টি সংলগ্ন খোলা চত্বর।

৬ নং ওয়ার্ডে পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবলা শেরে বাংলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবলা কারিকরপাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও পাবলা মধ্যপাড়া দাসের ভিটা।

৭ নং ওয়ার্ডে কাশিপুর ফুটবল মাঠের উত্তর পার্শ্বে, মোল্লা বাড়ির সামনে ও শহিদ কমিশনারের বাড়ির সামনে।

৮ নং ওয়ার্ডে খানজাহান আলী মাদরাসা ক্রিসেন্ট গেট, ক্রিসেন্ট আলিম মাদরাসা মাঠ ও গোয়ালপাড়া কমিউনিটি সেন্টার।

৯নং ওয়ার্ডে গোয়ালখালী ক্যাডেট স্কীম মাদরাসার সম্মুখে, মুজগুন্নী নেছারিয়া মাদরাসার সম্মুখে, মুজগুন্নী উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠ ও বাস্তুহারা কলোনি ঈদগাহ মাঠ।

১০ নং ওয়ার্ডে দারুল মোকাররম মাদরাসা মাঠ, চিত্রালী সুপার মার্কেট সংলগ্ন, খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা, ২১৮ নং রোড ঈদগাহ সংলগ্ন, স্কাউট মাঠ, বঙ্গবাসী স্কুল রোড, স্কুলগেট সংলগ্ন ও নয়াবাটি মোড়।

১১ নং ওয়ার্ডে খালিশপুর নিউ মার্কেট সংলগ্ন কসাইখানা, প্লাটিনাম শ্রমিক ক্লাব প্রাঙ্গণ, তৈয়্যেবা কলোনি মাদরাসা ও পিপলস নিউ কলোনি প্রাঙ্গণ।

১২ নং ওয়ার্ডে আরাবিয়া মসজিদ চত্বর, স্যাটেলাইট স্কুল চত্বর, হাউজিং তিন তলা, শ্রমিক ভবন চত্বর ও বায়তুল কেরাম মসজিদ চত্বর।

১৩ নং ওয়ার্ডে চরের হাট ঈদগাহের পার্শ্বে, কাজী ইমতিয়াজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে, দত্তপাড়া, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে, আলমনগর নূরানীয়া জামে মসজিদের পার্শ্বে ও ২নং নেভী গেট।

১৪ নং ওয়ার্ডে মুজগুন্নী মহাসড়ক, রোড নং-৮ এর মাথায়, বয়রা মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে, কাজী আ. বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও রায়ের মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ।

১৫ নং ওয়ার্ডে হালদার পাড়া (কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে), পালপাড়া রোলিং মিল মসজিদ মাদরাসা মাঠ ও পলিটেকনিক কলেজের ভেতরের মাঠ।

১৬ নং ওয়ার্ডে জোড়াগেট সিঅ্যান্ডবি কলোনি মসজিদ চত্বর, বয়রা ফারুকিয়া মাদরাসা চত্বর, বয়রা হাজী মুনসুর স্কুল চত্বর, নূর নগর ইসলাম মিশন মাদরাসা চত্বর ও বয়রা মেইন রোড টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ চত্বর।

১৭ নং ওয়ার্ডে ছোট বয়রা সবুজ সংঘের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ১ম ফেজ বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ২য় ফেজ মসজিদের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ৩য় ফেজ মসজিদের সামনের মাঠ ও হাফিজ নগর আমানত জামে মসজিদের মাঠ।

১৮ নং ওয়ার্ডে তালিমুল মিল্লাত খালাসী মাদরাসা প্রাঙ্গণ, সবুজবাগ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, ওমর (রা.) ঈদগা মাঠ ও গল্লামারী কসাইখানা। ১৯ নং ওয়ার্ডে ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ, ডালমিল মোড় সংলগ্ন ন্যাশনাল স্কুল মাঠ, গোবরচাকা শিশু একাডেমির মাঠ, কেডিএ এভিনিউ তেঁতুলতলা মোড় চত্বর ও পল্লীমঙ্গল স্কুল মাঠ।

২০ নং ওয়ার্ডে বাগানবাড়ি জামে মসজিদ চত্বর, শেখপাড়া মেইন রোড চত্বর, ফারাজিপাড়া মেইন রোড, দ্বীনওয়ালি জামে মসজিদ চত্বর, ফেরিঘাট জিন্নাহ মসজিদ চত্বর ও ২০ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর।

২১ নং ওয়ার্ডে হেলাতলা রোড স্বর্ণপট্টি চত্বর, বিশ্ব ইসলাম মিশন দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণ, ৪নং ফুড ঘাট চত্বর, রেলওয়ে হাসপাতাল রোড, বায়তুন নাজাত মাদরাসা চত্বর ও স্যার ইকবাল রোড, এ হোসেন প্লাজার সামনে।

২২ নং ওয়ার্ডে করোনেশন বিদ্যা নিকেতন গগন বাবু রোড, খুলনা জিলা স্কুল, হাজী আবু হানিফ মাদরাসা নতুন বাজার ও খান এ সবুর রোড মহিলা মাদরাসা।

২৩ নং ওয়ার্ডে গ্লোক মনি শিশু পার্ক, “ল” কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গণ, পিটিআই মোড়, পুরাতন জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যালয় ও ইয়োলোর মাঠ, সামসুর রহমান রোড।

২৪ নং ওয়ার্ডে দারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণ, মুসলমানপাড়া, ২৪ নং ওয়ার্ড অফিস প্রাঙ্গণ ও অগ্রণী ব্যাংক টাউন মসজিদ প্রাঙ্গণ।

২৫ নং ওয়ার্ডে বসুপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণ, ২৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন খোলা জায়গা, সিদ্দিকীয়া মাদরাসা মাঠ, হক রাইস মিল চাতাল, ইসলাম কমিশনার মোড়ের পাশের মাঠ ও খোরশেদ নগর প্রবেশ মুখ চত্বর।

২৬ নং ওয়ার্ডে পশ্চিম বানিয়াখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খোলা চত্বর, কাশেমাবাদ জামে মসজিদ খোলা চত্বর, বসুপাড়া বাঁশতলা বরকতিয়া মাদরাসা সংলগ্ন খোলা চত্বর ও ২৬ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর।

২৭ নং ওয়ার্ডে খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা, পূর্ব বানিয়াখামার, মারকাজুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন মাঠ, বাইতুন নাজাত মাদরাসা ও মিস্ত্রিপাড়া পৌর-বাজার।

২৮ নং ওয়ার্ডে পশ্চিম টুটপাড়া প্রাইমারি স্কুল রোড, বিনোদনী হাসপাতাল রোড, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া ২য় গলি, দক্ষিণ টুটপাড়া বালুর মাঠ ও দক্ষিণ টুটপাড়া ঈদগাহ মাঠ।

২৯ নং ওয়ার্ডে খুলনা আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ, কয়লাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও সবুরননেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

৩০ নং ওয়ার্ডে চাঁনমারী আহম্মাদীয়া এতিমখানা মাদরাসা চত্বর, দক্ষিণ টুটপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ চত্বর, শেখ মকবুল আহম্মেদ জামে মসজিদ এর পাশে ও টুটপাড়া আমতলা হাসপাতাল চত্বর।

৩১ নং ওয়ার্ডে লবণচরা ইসলামপাড়া ছোট বান্দা, দুই কালভার্টের পাশে ফাঁকা জায়গায়, লবণচরা মোক্তার হোসেন সড়কের মাঝখানে স্কুল চত্বর, মোজাহিদপাড়া আল-আমিন জামে মসজিদের সম্মুখে, ৩১ নং ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন খোলা চত্বর ও জিন্নাহপাড়া শিশু মেলা স্কুল মাঠ।

খুলনা সিটি করপোরেশনের সিনিয়র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রেজাউল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবারো নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রতিটি স্থানের উপরে সামিয়ানা টানানো, কোরবানি দাতাদের বসার জন্য ৫০টি করে চেয়ার, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, মাদুর এবং মাংস পরিবহনের জন্য বস্তা ও প্রতিটি স্পটে দুটি ভ্যান থাকবে। এই উদ্যোগ কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সকলের উচিত কেসিসির নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা। তাতে শহরের পরিবেশ ভালো থাকবে। আমরা সবাই পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাব। বিশেষ করে এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার সচেতন হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে খুলনা সিটি করপোরেশন হবে পরিচ্ছন্ন নগরী।’

 

   

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে গিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) জানানো হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে স্বজনেরা উদ্বিগ্ন।

আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান।

মুমতারিন ফেরদৌস ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন।

ডিবি মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে একটি বাংলাদেশি মুঠোফোন ও একটি ভারতীয় মুঠোফোন ব্যবহার করেন। নম্বর দুটি কখনো বন্ধ আবার কখনো খোলা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। আনোয়ারুল আজিমের কী হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।’

আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তবে ১৬ মে সংসদ সদস্যের মুঠোফোন থেকে আবদুর রউফের কাছে ফোন আসে। তিনি ফোন ধরতে পারেননি। পরে আবার তিনি ফোন করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পান। এর পর থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তিনি।

;

র‍্যাব হেফাজতে মৃত্যু, নান্দাইল থানার এসআই প্রত্যাহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাব হেফাজতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে নান্দাইল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) রাতে নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নান্দাইলে গৃহবধূ রেখা আক্তার (২০) মৃত্যু মামলার আসামি তার শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই নাজমুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নান্দাইল মডেল থানায় ডেকে নেন এসআই নাজমুল। সেখানে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কিছুক্ষণ পরে তাদের ছেড়ে দেন। থানার সামনে আসতেই র‍্যাবের একটি দল আজিজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এর পর শুক্রবার সকালে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করে।

এ মৃত্যুর ঘটনায় সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম র‍্যাবের হেফাজতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন শনিবার দুপুরে সুরাইয়া খাতুনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামে।

নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসআই নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন। এর চাইতে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শামীম হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন, কাজের প্রতি তার আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই, তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

;

নওগাঁয় ঐতিহ্যবাহী হুর মাজার মেলা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম নওগাঁ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হুর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এখানে ‘হুর’ মানে কোন রমনি কে বুঝানো হয়না। গ্রামের একটি বিশেষ বট গাছের নিচে দিনব্যাপী হুড় হুড় (তাড়াহুড়ো) করে এ মেলা শুরু ও শেষ হয় বলে একে হুর মেলা বলে।

এবারের মেলায় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন দোকান পসরা সাজিয়ে বসেছে। দিনব্যাপী মেলায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার বেচাকেনার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ মাজারে মনের বিশ্বাসে মানত করেন নানান ধর্মের মানুষ। তবে উদ্যেশ্য যাই হোক কেন, মনোবাসনা পূরণই যেন সকলের প্রত্যাশা। গ্রামীণ এ মেলার মধ্য দিয়ে সম্প্রতির বন্ধন অটুট হবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

চেরাগপুর গ্রামের পুকুর পাড়ে একটি বিশেষ বট গাছের নিচে মাটির একটি ঘরের মধ্যে মন্ডপ ও মাজার। আর এ মাজারে ধর্ম-বর্ণ বিনিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষরা মানত করে থাকেন।

প্রতি বছরের পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় রবিবার এ বটগাছের নিচে মেলা হয়ে থাকে। তবে এ বছর থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের রবিবার মেলা হয়। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পর বটগাছের আশপাশেসহ ফাঁকা মাঠে এই মেলা হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী ‘হুর মাজার মেলা’ নামে পরিচিত।

এবারের মেলায় বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন ও খাবারের দোকান, খেলনা সামগ্রী, কসমেটিক, মৌসুমি ফল এবং কৃষি যন্ত্রপাতিসহ আসবাবপত্রের দোকান দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকি রুই, কাতলা ও পাঙ্গাস মাছ এবং গরু ও মহিষের মাংসও বিক্রি হয়। দিনব্যাপী এ মেলা হলেও কসমেটিক ও কাঠের আসবাবপত্রের দোকান থাকে আরো কয়েকদিন।

মানত করে যাদের মনোবাসনা পুরণ হয় তারা এ মাজারে এসে রান্না করে সবার মাঝে খাবার বিতরণ করেন। আবার অনেকে এখানে পরিবারের সবাই দল বেঁধে এসে রান্না করে খান। আশপাশের অন্তত ১৮-২০ টি গ্রামের মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গন এক মিলন মেলায় পরিনত হয়।

স্থানীয়রা জানান, হুর মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ মেলায় মানুষ আসে। এ ছাড়া মেয়ে ও জামাইকে দাওয়াত করে নিয়ে আসা হয়। একদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আগমনে যেন আনন্দ উৎসব বিরাজ করে।

মাজারের খাদেম শুকচান বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা মানত করে থাকে। তাদের আশা পুরন হলে পরে এ মাজারে এসে রান্না করে সবাইকে খাওয়ায়। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বটগাছের নিচে এ মাজারে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।’

মিষ্টির দোকানী উজ্জল কুমার বলেন, ‘দিনব্যাপী মেলা হলেও একদিন আগে এসে বিকাল থেকে দোকান সাজিয়ে বেচাকেনা শুরু করেছি। দিনব্যাপী মেলায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মিষ্টান্ন বিক্রি হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। কারন হতে পারে মানুষের এখনো ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়নি। হয়ত টাকা-পয়সা নেই। এ কারণে মেলায় মানুষের আগমন কিছুটা কম।’

মেলা কমিটির সভাপতি ও ইউপি মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রাচীনতম এ হুর মেলায় ধর্মবর্ণ বির্নিশেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আগমন ঘটে। তবে কবে থেকে এ মেলা হয়ে আসছে তা জানেন না স্থানীয়রা। তবে দেশ স্বাধীনদের পর থেকে এ মেলা হয়ে আসছে। একদিনের জন্য এ গ্রাম মিলন মেলায় পরিনত হয়। মেলায় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন দোকান অংশ নিয়েছে।’

;

নিজস্ব উদ্ভাবন, ফেঞ্চুগঞ্জে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর পানি দিয়ে চলে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নদীটির তীরে অবস্থিত পাম্প হাউজ মনিটরিং নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না। কখনও নাব্যতা কমে যাওয়া, কখনও মোটরের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পানি সরবরাহ নিয়ে নাকাল ছিল বিদুৎকেন্দ্রটি।

পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যেতো। গত বছরও ৩১বার বিভ্রাটের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজ আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী নয়বিৎ মন্ডল নিজেরাই তাক লাগানো সমাধান এনে দিয়েছেন। তাদের উদ্ভাবন স্বস্তি এনে দিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে।

যে কাজে বিদেশি কনসালটেন্ট ভাড়া করতে হলে অর্ধকোটি টাকার উপরে খরচ হতে পারতো, ওয়াহিদুল ইসলামরা সেই কাজ করেছেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচে। এখন আরও তাদের দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাম্প হাউজ দেখে আসতে হয় না। যেকোনো জায়গায় বসেই পাম্প অপরেট করা যাচ্ছে। পানির স্তরও জেনে যাচ্ছেন এক ক্লিকেই।

প্রকৌশলী ওয়াহিদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে প্রতি মাসেই পাম্প পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। এতে করে ফেঞ্চুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ২টি স্টিম টারবাইন, ৪টি গ্যাস টারবাইন, ৪টি এইচআরএসজি কুলিংয়ের পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতো। এ কারণে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভ্রাট দেখা দিতো। গত ৪ মাস থেকে প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম তৈরি করায় এখন সব সংকট দূর হয়ে গেছে। এখন অফিসে বসেই সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে। কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি হলে সঙ্গে সঙ্গে ধরতে পারছি। আগে দেড় কিলোমিটার দূর পাম্প হাউজে গিয়ে তারপর সমস্যা চিহ্নিত করতে হতো। এতে করে বছরের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’

ওয়াহিদুল ইসলাম ও তারে টিমের সদস্যদের ভাবনার জায়গাটিও আশান্বিত হওয়ার মতো। ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চিত্ত-বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অবসর সময় কাটাতে তারা উদ্ভাবনীতে মনোনিবেশ করেন। আর শুরুতেই প্রাধান্য পায় দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা পাম্প হাউজ।

আগে সরেজমিন গিয়ে দেখে আসতে হতো পাম্প হাউজ ও নদীর নাব্যতা। লোকবল সংকটের কারণে মনিটরিং করা কঠিন হয়ে পড়তো। এতে করে নানা রকম সংকট দেখা দিতো। আর সংকটের শেষ ধাপে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিকল হয়ে বসে যেতো। এ কারণে সংকট ছিল প্রতি মাসের চিত্র। সেই সংকট দূর করে হিরোতে পরিণত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম ও তার টিম।

টিমটি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ এ।’ এতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়। ওয়াহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওই পদ্ধতি বৃহত্তর পরিসরে পাইলটিং করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র, ওয়াসা, মেরিন ভেসেলে হুবহু পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

উদ্ভাবন শোকেসিং আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই আমাদের মতো করে সমাধান করতে হবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার যতো বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় ততো হবে। একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।’

উল্লেখ্য, ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট’ ২য় স্থান অর্জন করে।

;