খুলনায় অনলাইন ফ্যাশন শপিং মেলার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর .কম, খুলনা
নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে অনলাইন ফ্যাশন শপিং মেলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে অনলাইন ফ্যাশন শপিং মেলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় অনলাইন ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি ফ্যাশন পণ্য ও দেশ-বিদেশ থেকে আনা পণ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে অনলাইন ফ্যাশন শপিং মেলা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নগরীর ক্যাসল সালাম হোটেলে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। ৩ দিন ব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।

ডিভাস অব খুলনা অনলাইন গ্রুপের আয়োজনে এ অনলাইন ফ্যাশন শপিং মেলা ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিভাসের প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন ফাতেমা আফরোজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের এ ধরণ‌ের আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। এখন সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।  আমরা চাই, নারীরা যেনো শৃঙ্খলতা ভেঙ্গে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/25/1564053533544.jpg
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিজানুর রহমান মিজান

 

আয়োজকরা জানান, মেলায় মোট ৩২টি স্টল আছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি ফ্যাশন পণ্য ও দেশ বিদেশ থেকে আনা পণ্য। মেলায় শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জুয়েলারি, লেডিস পাঞ্জাবি, সুতি ও ব্লক প্রিন্টের থ্রি-পিস, শো-পিস, আচার, চকোলেট, কেকসহ নারীদের নিত্যব্যবহার্য পণ্য শোভা পাচ্ছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের তৈরি পণ্য ছাড়াও ফ্যাশনের নানা অনুষঙ্গ‌ের পণ্য দিয়ে সাজিয়েছ‌ে তাদের স্টল। 

ডিভাসের প্রতিষ্ঠাতা ফাতেমা আফরোজ বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম কে বলেন, 'শুরু থেকেই খুলনার মানুষের বেশ সাড়া পাচ্ছি। অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছা, পুঁজি ও ধৈর্য। অনলাইন ব্যবসায় নির্ধারিত কোনো সময় নেই।'

ডিভাসের প্রতিষ্ঠাতা ফাতেমা আফরোজের সঙ্গে মেলার আয়োজনে ছিলেন মুনিয়া মিতু, সুমাইয়া জাহান ঐশী, বিভা আমীন, দিশারি লিজা, ফারিয়া রহমান প্রমুখ।আয়োজকরা জানান, মেলা প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে।

   

টেস্ট করাতে টানাটানি, আনসারদের দৌরাত্মে বেহাল হাসপাতাল



রাকিব হাসান, গুলশান জাহান সারিকা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"দ্য গুড ফিজিশিয়ান ট্রিটস দ্য ডিজিস, দ্য গ্রেট ফিজিশিয়ান ট্রিটস দ্য পেশেন্ট হু হ্যাজ দ্যা ডিজিসেজ" স্যার উইলিয়াম অসলারের উক্তিটি আর যে কোনোভাবেই দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়, তা বলা বাহুল্য। এখানে হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসক পর্যন্ত পৌঁছাতেই জেরবার হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পদে পদে হতে হচ্ছে হয়রানি আর প্রতারণার শিকার। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পরপর দুই দিন সরেজমিন দেখে এর প্রমাণ মিলেছে। 

১৫ মে বুধবার সকাল ১১টা। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন শিউলি বেগম। এখানে এসে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে। প্রথমে দীর্ঘ সিরিয়াল দাঁড়িয়ে টিকেট কেটেও দীর্ঘ অপেক্ষা। অবশেষে ডাক্তার দেখাতে পারলেও তার দেয়া টেস্টের একটি বড় তালিকা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন শিউলি। এতসব নানা রকমের টেস্ট! কোথায় করবেন কিভাবে করবেন তার কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া তিনি পাননি হাসপাতাল থেকে। কিন্তু হাজির আনসার সদস্যরা। হাসপাতালের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারাই এখন টেস্ট বাণিজ্যের দালাল। রোগীর হাতে টেস্টের কাগজপত্র দেখলেই আনসার সদস্যরা শুরু করে দেয় ডাকাডাকি- টানাটানি। 

নিজেদের মধ্যেই চলে পাল্লাপাল্লি। কোন রোগীকে কে কব্জা করবে। যেখানে রোগীর লাইন, সেখানেই আনসারের দৌরাত্ম। টিকেট কাটতে আসা রোগীদের ভীর ঠেলে আনসার ঢুকে যাচ্ছে কারো জন্য লাইন ভেঙ্গে টিকেট কেটে দিয়ে টুপাইস কামিয়ে নিচ্ছে। ডাক্তার দেখানোর সিরিয়ালেও তারা হানা দিচ্ছে। টাকা নিয়ে পড়ে আসা রোগীকে আগে সিরিয়াল পাইয়ে দিচ্ছে। ইমার্জেন্সি বিভাগে আসা রোগীদের ক্ষেত্রেও তাদের দৌরাত্ম দেখা গেলো। গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরও পেছনে ফেলে আনসারের আনা রোগীদের আগে দেখা হচ্ছে। আর এসব দেখার কেউ নেই। 

কোন কোনো রোগীর স্বজনদের দাবি, আনসার সদস্যদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে কটাক্ষ আর গালাগাল শুনতে হয় তাদের। 

এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালের কর্মচারী আর আনসারদের যোগসাজশে চলছে ট্রলি কিংবা হুইলচেয়ারের বাণিজ্যও। সরকারের এসব সামগ্রী রোগীর জন্য বিনামূল্যে ব্যবস্থা করা হলেও তা চলে গেছে এইসব অসাধুদের দখলে। তারা সেগুলো কব্জায় রেছে রোগী বুঝে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে ছাড়ছে। রোগী পৌঁছালেই তারা শুরু করে দেয় ট্রলি নিয়ে দরকষাকষী। কেউ টাকা না দিলে তাদের রোগীকে ছুয়ে পর্যন্ত দেখে না কর্মচারীরা। আর যদি কোনো রোগীর স্বজন সামান্য প্রতিবাদও করে তাহলে তাদের কপালে জোটে দুর্ব্যবহার। 

পরিচয় গোপন রেখে ইমার্জেন্সি বিভাগে দায়িত্ব পালন করা আনসার সদস্য আ: হাই এর সাথে কথা বলে জানা যায় এম্বুলেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টসহ প্রায় সকল সার্ভিস তিনি দিতে পারবেন। 

অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যাবে কি-না? এমন প্রশ্নে বললেন, হাসপাতালের মাত্র একটা এম্বুলেন্স সেইটা কই আছে জানিনা। তবে যদি কেউ প্রাইভেট এম্বুলেন্স চায় তাহলে যেকোনো সময় তিনি ম্যানেজ করে দিতে পারি। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলের ভাড়া কতো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫০০-১৬০০ টাকা হলেই চলবে। 

আনসার সদস্য আ: হাইকে দেখা গেলো একজন রোগীর আত্মীয়র সঙ্গে তার ব্যস্ত সময় কাটছে। রোগীর ব্যবস্থাপত্র /টেস্টের তালিকার ছবি তুলে হাসপাতালের কোন একজন প্যাথলজিষ্টকে হোয়াটসঅ্যাপ করে দিলেন। উল্টো দিক থেকে জেনে নিচ্ছেন তার খরচ কতো ইত্যাদি। যেনো তিনিই রোগীর সবকিছু। 

হাসপাতালে কি এসবের ব্যবস্থা নেই? এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ল্যাবের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মীর সাথে কথা হয়। তিনি জানালেন, প্রতিদিন সকালে মাত্র ৫০ জন রোগীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয় হাসপাতালে। তবে নানা রকমের সংকট ও সীমাবদ্ধতার কারণে হাতে গোনা কয়েকটি ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট ছাড়া বাকি সব টেস্ট বাইরে থেকেই করতে হয়। 

ভুক্তভোগী শিউলি বেগম জানালেন, তার সন্তানের বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ও বমি। সকালে হঠাৎ জ্বরের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছু টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে টেস্ট করতে নানা রকমের ঝক্কি-ঝামেলা ও রিপোর্ট পেতে একদিন দেরি হবার কথা জানায় হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মচারীরা। এ সুযোগে একজন আনসার সদস্য তার হাতে থাকা টেস্টের কাগজপত্র দেখে ছবি তুলে নেন। এবং সকল টেস্ট তিনি করিয়ে দেবার আশ্বাস দেন। 

হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে অবহেলা করে টেস্ট বাণিজ্যের সাথে আনসার সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে এবং টেস্ট এর রেজাল্টের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউর রহমান বার্তা ২৪ কে বলেন, আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তা স্বীকার করছি। তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা কাজ করছি। এছাড়া আনসার সদস্যদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও টেস্ট বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কোন আনসার সদস্য এমন কাজে জড়িত তাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমাদের প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাধ্য অনুযায়ী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে খুব শীগ্রই আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশাকরি এম্বুলেন্স যুক্ত হলেই এই সংকটেরও সমাধান হবে, বললেন ডা. শফিউর। 

এক পর্যায় প্রতিবেদকের দেয়া তথ্য ও ছবি হাতে পেয়ে পরিচালক ডা. শফিউর রহমান তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত আনসার সদস্যকে ক্লোসড করেন। সেই সাথে এমন অনিয়মের কোন খবর চোখে পরলে সংবাদকর্মীদের জানানোর অনুরোধ করেন।

;

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...

;

রাণীনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ক্রয়-বিক্রয়ের মহোৎসব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের সরকারি ঘর ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন কালিগ্রাম মুনসিপুর গ্রামের মৃত তহির উদ্দীন মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম।

সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে কয়েক দফায় ৫৯টি ঘর নির্মাণ করেন উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর ও ভূমি গৃহহীনদের জন্য মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে নির্মাণ করলেও এই প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরই অনৈতিকভাবে বরাদ্দ পেয়েছেন যাদের জমি ও বাড়ি আছে সেই সব ব্যক্তিরা। বরাদ্দ প্রাপ্তদের নিজের জমি ও বাড়ি থাকায় সেখানে বসবাস না করে উদ্বোধনের কিছুদিন পর হতে শুরু হয় ঘর ক্রয়-বিক্রয়। এই ক্রয়-বিক্রয়ে অনেকে যারা বৈধ্য উপায়ে ঘর পায়নি তারা নিরূপায় হয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘর ক্রয় করে বসবাস করছে। আবার অনেকে অল্প দামে ঘর কিনে রাখছে বেশি দামে বিক্রয়ের আশায়। এ যেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে শুরু হয়েছে ঘর-ক্রয় বিক্রয়ের মহোৎসব।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ নং ঘর বিক্রয় করেন মো. বেনো হোসেন, ক্রয় করেন আজিজার। ৩৫ নং ঘর মো. ফেকরুল বিক্রয় করেন ডাকাহার গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ইউনুছ আলীর কাছে এবং একই ঘর ইউনুছ আলী বিক্রয় করেন দুলালের নিকট। ৩৭ নং ঘর আলম বিক্রয় করেন শরিফুলের কাছে। ডাকাহার গ্রামের ছলিম উদ্দীনের নিজস্ব জমি থাকার পরও বাপ-ছেলে ২টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে, এছাড়াও তারা ২টি ঘর বিক্রয়ের জন্য ক্রয় করে রেখেছে। রহমান কবিরাজ ওই গ্রামের মধ্যে তার ছাদ দেওয়া পাকা বাড়ি আছে ,তবু ২টি ঘর কিনে রেখেছেন তিনি।

আশ্রয়ণের সহ-সভাপতি (ডাবওয়ালা) হাচিন আলীর জমি ও বাড়ি থাকার পরও তার মা হাসিনা বেগমের নামে ১টি ঘর, নিজের নামে ১টি ঘর ও স্ত্রীর নামে ১টি ঘরসহ মোট ৩টি ঘর বরাদ্দ নিয়ে রেখেছেন। মায়ের ঘর বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের নিকট দামাদামি চলছে। আশ্রয়ণের এসব ঘর বিক্রয়ের মূল হোতা হাচিন আলী বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হাচিনের কোনো কিছুর অভাব নেই। তার গ্রামের মধ্যে অনেক সম্পদ আছে। ঘরগুলো নিজে দখল করে আছে এমনকি সে বিলাসবহুল জীবন কাটায় এই ঘরে।

অভিযোগের সত্যতা মিলে সেখানে গিয়ে, হাচিনের ঘরে নামি-দামি আসবাবপত্র, ফোনসহ বিলাসবহুল জীবন কাটছে। ঘরের রং বদলিয়ে আলাদা রং করা হয়েছে। যা দেখে বুঝার উপাই নেই এটি আশ্রয় প্রকল্পের ঘর।

এই প্রকল্পে ৫৯টি ঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ব্যতিত সবই ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুজিব বর্ষের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল । অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

উপকারভোগী নারগিসের কাছ থেকে ৩০ নং ঘর ক্রয় করেন আশরাফুল, যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন ঘর পাইনি তবে নারগিস আমাকে বসবাসের জন্য ঘরটি থাকতে দিয়েছে। ক্রয় করেছেন কিনা প্রশ্নে বলেন, কাগজ করে নিয়েছি তবে কোন টাকা দেয়নি।

এ ব্যাপারে একডালা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম (আপেল) জানান, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ৫৯টি ঘর আছে। এখানে প্রকৃত ভূমিহীনরা ঘর না পাওয়ায় অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে। ঘর বেচাকেনা হয়েছে প্রমাণ করার পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

একডালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ভূমিমিহীনদের ঘরগুলো বিক্রয় হচ্ছে। আমি মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এ বিষয়ে একাধিকবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। ঘর বিক্রির সঙ্গে আশ্রয়ণের কয়েকজন নেতা জড়িত বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি, ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরীর মিরাবাজারে এক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অ্যাম্বুল্যান্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সোয়া ১২টার দিকে মিরাবাজারেস্থ বিরতি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত আমীন তৌহিদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে বিরতি ফিলিং স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিকে তারা এসে তা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালান।

এ ব্যাপারে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বেলাল আহমদ জানান, আগুন লাগার পর ফায়ার ফাইটাররা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে এসে অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করেন।

তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত মূলত অ্যাম্বুলেন্স থেকে। আগুনে অ্যাম্বুলেন্সটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আপাতত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিরতি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৯ জন। পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান।

;