কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। 

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৭ টার দিকে মহাসড়কের নানকরা এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 
স্থানীয়দের বরাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা জানান, ‘এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ করা উদ্ধার হয়েছে বলে জেনেছি। দুর্ঘটনা-কবলিত গাড়িটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩০) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে বদরুল হাসান রিয়াদ (২৬)। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এছাড়া গুরুতর ৭-৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই। পরে হাইওয়ে পুলিশের নিকট নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করি।’

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, ‘ভোরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল রিল্যাক্স পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস। বাসটি মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় ১৫ জন। আমরা দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’



   

নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশীদ মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। 

শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আর্মি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত দু‘মাস ধরে তিনি অসুস্থ্য অবস্থায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরআগে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর সাবেক এ সেনা কর্মকর্তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। 

আব্দুর রশীদ দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিভিন্ন সংবাদ পত্রে নিয়মিত কলাম লিখতেন। 

;

সেঞ্চুরি করল শশা, ডাবল সেঞ্চুরি কাঁচামরিচের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র দু'দিন পরেই কুরবানির ঈদ। এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। তাই বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম দেখা গেলেও শশা আর কাঁচামরিচের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যারা ঢাকায় ঈদ পালন করবেন, তাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। তবে ক্রেতা সংকটে কিছুটা কমেছে মাছের দাম। দেখা গেছে প্রতি কেজি মাছে কমেছে অন্তত ২০ থেকে ৫০ টাকা।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর মিরপুর কাঁচাবাজার সহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহের চাইতে প্রতি কেজি শশা ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০টাকা কেজি দরে। আর কাঁচা মরিচ ২০০-২২০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দামও ছিল ৬০ টাকার উপরে। বাজারে আজ প্রতি কেজি ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। কাকরল ৮০ টাকা,পটল ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা আর লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, ঢেরস ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা প্রতি পিছ, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। এছাড়া আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকা, আদা ২৬০-২৮০ টাকা আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। 

এদিকে কমেছে মাছ মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগী ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি আর সোনালী কক মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা করে। 

মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। মাছের বাজারেও লেগেছে কুরবানির ছোঁয়া। ক্রেতা সংকটে প্রায় প্রতিটি মাছের দাম কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মাছ পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চাইতে ৪০ টাকা কমে ১৪০ টাকা করে। আর বড় সাইজের পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে। এছাড়া রুই মাছ ২৬০ টাকা, নলা মাছ ২২০, বাটা মাছ  ২০০, কার্ফু মাছ ২০০, সরপুটি ২০০টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৪০০ টাকা কেজি এছাড়া চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০টাকা। 

টেলিকম ব্যবসায়ী আমানউল্লাহ বাজার করতে এসে বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আজকে বাজারে মনে হচ্ছে সবকিছুর দাম এখন পর্যন্ত কিছুটা ঠিকঠাক। অথচ গত সপ্তাহেও মাছের দাম অনেক চড়া ছিল। আর মুরগীর গায়ে তো হাতই দেয়া যেত না। তিনি মনে করেন, সামনে কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মাছের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া অনেক দোকানও বন্ধ মনে হচ্ছে। 

মিরপুরের মাছ ব্যবসায়ী খোকন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রকারভেদে মাছের দাম কমেছে কেজিতে অন্তত ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। তিনি বলেন, ঈদের কারণে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। তাই বাজারে মাছের সরবরাহের তুলনায় মাছের জোগান বেশি হওয়াতে মাছের দাম কম। এছাড়া সামনে কুরবানির ঈদ তাই অনেকে মাছ কেনাকাটা করছেন না। 

;

ঈদ ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৪ দিন বন্ধ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শনিবার (১৫ জুন) থেকে টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। 

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার (১৫ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত ভারত থেকে এ বন্দরে আমদানি-রফতানির কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৯ জুন (বুধবার) সকাল থেকে ভারত হতে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম সচল হবে। তবে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানি-রফতানি।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় এপথে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম সকল থেকে চলবে। তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

জানা যায়, দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী বেনাপোল স্থলবন্দর। স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩শ‘ থেকে সাড়ে ৩শ‘ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে। তবে ৪ দিন ছুটিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে পিছিয়ে থাকছে কাস্টমস।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত কাজ সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;

ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন: সময় মেনে ছাড়ছে ট্রেন, নেই অভিযোগ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মত শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এই যাত্রায় শুক্রবার (১৪ জুন) সকালের শুরুতে সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি নেই বললেই চলে। নির্দিষ্ট সময় মেনেই দূরপাল্লার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। 

শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। 

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৭২ জোড়া ট্রেন রাজধানী থেকে দূরপাল্লার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে। 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল মেনে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফলে দিনের শুরুতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন-যাত্রীদের নেই কোনো ভোগান্তি। 

এদিকে সকাল থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, তূর্না এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন দেখা গেছে।

পূর্বের ঈদযাত্রার মতো এবারও প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশদ্বারে র্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) দেখা গেছে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে, তবে এনআইডি মিলিয়ে দেখতে দেখা যায়নি এবার। যাদের টিকিট নেই, তারা ১-৬ নাম্বার কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।

নাহিদুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘পরিবারের সাথে ঈদ উপভোগ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম স্টেশনে ট্রেন আসতে দেরি করবে। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলে এসেছে। এখন যদি নির্দিষ্ট টাইমে ছেড়ে যায়, তাহলে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছে যেতে পারব।’

অপর যাত্রী মো. সাফোয়ান বলেন, ‘এভাবে কোনো ভোগান্তি ছাড়া স্টেশনে এসেই ট্রেন পেয়ে যাব, ভাবতে পারেনি। ঈদযাত্রায় আজকের ট্রেন সার্ভিস নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

;