রাজধানীর গণপরিবহন: থামার আগে নামে, উঠার আগে ছাড়ে



কামরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাস্তার মাঝে চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানো-নামানো হচ্ছে/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাস্তার মাঝে চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানো-নামানো হচ্ছে/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আট বছরের সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাবেন রেজাউল করিম। ছেলেকে স্কুলের জন্য তৈরি করে নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ বাস স্টপেজে। আসলে ঠিক নির্ধারিত স্টপেজে নয়, স্টপেজের অনেকটা আগে।

প্রায় ২৫ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারেননি এ বাবা-ছেলে। এর মধ্যে তুলনামূলক ভিড় কম দেখে চার থেকে পাঁচটি বাসে উঠার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি। যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্যে ছেলেকে এক হাতে ধরে বাসের দরজা পর্যন্তও পৌঁছাতে পারেননি।

 

কাছে গিয়ে কথা বলতে চাইলে ভোগান্তির ক্ষোভ ঝারেন ছেলেকে নিয়ে বাসে উঠতে ব্যর্থ হওয়া এই বাবা। নির্ধারিত স্টপেজে না দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে স্টপেজ দেখিয়ে বলেন, ‘ওখানে তো কেউ নেই। বাসও ওখানে থামে না। তাই চলন্ত বাসে উঠা ছাড়া উপায় নেই। কষ্ট হলেও বাধ্য হয়েই ছেলেকে নিয়ে বাসে উঠার চেষ্টা করছি।’

অপেক্ষার আরও পাঁচ মিনিট পর ধাক্কাধাক্কি করেই তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উঠতে সমর্থ হন এই বাবা-ছেলে। বাসে উঠার পরে আর এই বাবা-ছেলের অভিব্যক্তি জানা যায়নি।

রাজধানী ঢাকার যে কয়েকটি সড়কে নগর পরিবহনের পাশাপাশি নিয়মিত দূর পাল্লার পরিবহন চলাচল করে তার মধ্যে অন্যতম প্রগতি স্বরণি। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ থেকে মানিকনগর, কমলাপুর, মালিবাগ হয়ে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, উত্তরা, টঙ্গী- এই সড়কে যানবাহনের ভিড় থাকে নিয়মিত।

 

এই সড়কে নির্দিষ্ট দূরত্বে স্টপেজ থাকলেও সেখানে বাস থামে না, যাত্রীরাও সেখানে দাঁড়ান না। নিজেদের সুবিধা মতো স্থানে বাস দেখলেই হাত বাড়াতে দেখা যায় যাত্রীদের। বাসগুলোও যেখানে সেখানে গতিরোধ করে যাত্রীদের উঠিয়ে নিচ্ছেন। বাস থামার আগেই যাত্রীরা নামতে শুরু করছেন। আবার যাত্রীরা উঠার আগেই বাসগুলো চলতে শুরু করে, বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে বাসে উঠতে হয় তাদের।

কিন্তু এই চলন্ত বাসে উঠতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা। তাদের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসমিয়া খানম। স্কুল ড্রেস পরিহিত এই ছাত্রীকে দেখা যায়, এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে। ক্লাস ধরার তাড়া আছে তাই বাস আসলেই সেটিতে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উঠতে না পেরে চোখেমুখে বিরক্তি।

 

পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল হক, রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সায়েদাবাদ হয়ে গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর যাবেন। রামপুরা ব্রিজ বাস স্টপেজে প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারেননি। চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে বলেন, ‘বাস না থামলে উঠব কিভাবে? এমনিতেই ভিড়, তাও আবার বাসগুলো চলতে চলতে লোক উঠাচ্ছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজসহ কয়েকটি স্টপেজে বাস থামার জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই লেনে প্রবেশ করছে না বাসগুলো। পাশেই বাসের চালকরা এলোমেলোভাবে বাস থামিয়ে চালাচ্ছেন যাত্রী উঠানো-নামানোর প্রতিযোগিতা। যাত্রীরাও বাধ্য হয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত বাসে উঠতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

যাত্রী উঠাতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় বাসচালকরা। পেছন থেকে এসে এমনভাবে বাসগুলো দাঁড় করাবেন যেন, অপর বাসটি তার আগে যেতে না পারে। এই প্রতিযোগিতা ও নির্ধারিত স্টপেজে না থামার কারণ জানতে চাইলে রাইদা পরিবহনের এক বাসচালক বলেন, ‘যাত্রীরা তো স্টপেজে দাঁড়ান না। আর নামার সময় জোর করে স্টপেজ ছাড়া নামতে চান। সব ড্রাইভাররা যেভাবে চালায়, আমার সেভাবে চলতে হবে।’ এটুকু বলেই সামনের দিকে এগোতে থাকেন এই চালক।

রামপুরা পুলিশ বক্সে কর্তব্যরত এক পরিদর্শকের সাথে স্টপেজের বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি। সড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ বলেন, ‘বাসচালক, যাত্রী কেউ আইন মানতে চান না। চালকদের যেমন দোষ আছে, তেমনি যাত্রীরাও এর জন্য দায়ী।’

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;