কিশোরগঞ্জ ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে এমনিতেই সমস্যা আর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ধুলোবালি৷ বালি পাথর ও নুড়ি দিয়ে রোলার করা হচ্ছে রাস্তার গর্ত গুলোতে। এভাবেই একসপ্তাহ ধরে রেখে দেওয়ায় গাড়ি চলাচলের ফলে এগুলো বাতাসে মিশ্রিত হয়ে মানুষের চোখেমুখে লাগছে৷
এতে চালক ও চলাচলরত মানুষের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে৷ রাস্তায় এই জোড়াতালি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়ে সমস্যার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে বিষয়টি জরুরী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক ও জননপথের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ- ভৈরব মো. মাইদুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কটিয়াদীর আচমিতা জর্জ স্কুলের পাশের সড়কে বালু ও ছোট পাথর ফেলে রাখা হয়েছে একসপ্তাহ ধরে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুখে রুমাল চেপে যাচ্ছে৷ কারো চোখে বালু পাথর ডুকে চোখ লাল হয়ে গেছে৷ চালকদের চোখে বালু পড়ে আহত হচ্ছে৷ এতে ঝুঁকি বেড়েছে। সড়কজুড়ে খানাখন্দ। উঠে গেছে পিচঢালাই। কোথাও কোথাও সড়কের এক পাশ দেবে গেছে। আবার অন্য পাশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। কোথাও আবার ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে।
অথচ ২০১৯ সালের শেষ দিকে ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ প্রায় ৬০ কিলোমিটার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কারকাজ করে। সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই সড়কটির প্রায় ১৫ কিলোমিটার আবারও খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও এবড়োখেবড়ো হয়ে দেবে গেছে। কোথাও আবার পিচ ও ইটের টুকরো স্তূপ হয়ে আছে।
পথচারী সজীব আহমেদ বলেন, দুর্ভোগ যেখানে কমার কথা সেখানে বাড়লো আরো৷ ধুলাবালুর জন্য চলাচল করা যাচ্ছেনা৷ এই সমস্যা কারো চোখেই যেনো পড়ছেনা৷'
কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজিতপুরের উজানচর মোড়ের আগ পর্যন্ত অন্তত তিন কিলোমিটার সড়ক পর্যন্ত এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। খানাখন্দের জায়গা দিয়ে গাড়ি ধীরে ধীরে চলাচল না করলে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর উজানচর মোড় পার হয়ে কুলিয়ারচরে শেষ হয়ে ভৈরব পর্যন্ত আরও অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও নাজুক। সব মিলিয়ে মহাসড়কটির কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা হলেও সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি সাত কিলোমিটার সড়কের সমস্যা।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ১৮ থেকে ৩০ ফুটে প্রশস্তকরণ করা হয়। প্রায় ৬০ ফুট সংস্কারকাজে ব্যয় হয় ১৮৮ কোটি টাকা।
সওজ কিশোরগঞ্জের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ, ভৈরব) মো. মাইদুল ইসলাম বার্তা ২৪.কম'কে বলেন, কিছু স্থানে বালু ও পাথর ফেলা হয়েছে৷ এগুলো লেভেল হতে কয়দিন সময় লাগে৷ ধুলাবালির সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি জানতাম না৷ দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
এছাড়ও কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত কিলোমিটার সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।