ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাবে নাকাল রাজধানীবাসী



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চার বছরের শিশু জোয়ানা ঋনিত। তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলো। কোনোভাবেই জ্বর কমে না। ছোট্ট জোয়ানার সে কি কষ্ট। বাধ্য হয়ে তীব্র জ্বর নিয়ে জোয়ানাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানায়, ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত সে।

শিশু জোয়ানার এ চিত্র গোটা রাজধানী জুড়েই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বরে। আর এতে করে হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ জ্বর শুধু গা-গরম করেই সীমাবদ্ধ নয়, গা ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি, ডায়রিয়াসহ এমন নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আর তা নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসাপাতালে।

জোয়ানার মা আফরিন নুসরাত বার্তা২৪.কমকে বলেন, রোববার রাত থেকে জোয়ানার জ্বর আসে। মনে হয় প্রচন্ড জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। স্পন্জ, ওষুধ, সাপোজিটর কোনো কিছুতেই জ্বর কমছিলো না। তারপরই হাসপাতালে ভর্তি করলাম।

কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জ্বর যখন আসে তখন ১০১ থেকে ১০৩ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠে যায় তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে তীব্র মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীর ম্যাজম্যাজ করা, বমি বমি ভাব। অনেকে জ্বরের সঙ্গে পেটের পীড়াতেও আক্রান্ত হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মিরপুরে অবস্থিত আইসিডিডিআরবি'র ফিল্ড হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের পর থেকেই সেখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ জন রোগী ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন।

সেখানে কর্তব্যরত সহকারী চিকিৎসক শাহিন আহমদে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডায়রিয়ার সঙ্গে অনেক রোগীর শরীরে জ্বর দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে আবার বমির কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা নিয়েও ভর্তি হচ্ছেন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে ভ্যাপসা গরম, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দমকা বাতাসসহ ঝড়ো বৃষ্টিতে রাজধানীর আবহাওয়া এখন বৈরী। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনজনিত কারণে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে সময় বৈরী আবহাওয়া প্রাণির দেহে অসহনীয় পড়ে। তখন নানান রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলোর কথা বলতে গিয়ে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেফায়েত উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রথমে প্রচন্ড জ্বর দেখা যায়। সঙ্গে মাথাব্যথা কারো কারো বমি কিংবা ডায়রিয়াও দেখা যায় যা খাবারে বিষক্রিয়ার কারণেও হতে পারে।

গেল সপ্তাহে এই ভাইরাস জ্বরে ভুগেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদিন। তার মতে, এই জ্বরে বিশ্রাম নেওয়াটাই মূলকথা। তবে হলে সেবা করার মানুষ না থাকায় হাসপাতাল কিংবা আত্মীয় স্বজনের বাসা বিশ্রামের উপযুক্ত জায়গা। এছাড়া জ্বরের পর শরীর একদম দুর্বল হয়ে পড়ে বলে খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করতে হবে।

ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান  ডা. রেফায়েত।  তিনি বলেন, অনেকে জ্বর বেশি দেখে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন। যা আসলে ভুল। এই জ্বরে আক্রান্তদের প্যারাসিটামল জাতীয় নন অ্যন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দিতে হবে। সেই সঙ্গে জ্বরের মাত্রা ১০২ ডিগ্রীর বেশি হলে সাপোজিটর দেওয়া যেতে পারে। অন্যথায় ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে নিয়মিত রোগীর শরীর ভালকরে মুছে দিতে হবে। সাধারণত ৫ থেকে ৭দিন পরে জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।

   

ট্রাকের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৭



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ময়মনসিংহ (গৌরীপুর) 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকের সাথে যাত্রীবাহী ইজিবাইকের ধাক্কায় আফরিন পারভীন (২৭) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইজিবাইকের চালক ও যাত্রীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার রুকনাকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত নারী উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের দামগাও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফরিন পারভীন উপজেলার কলতাপাড়া বাজারের ডেলটা স্পিনার্স মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার সকালে আফরিনসহ আরো ছয়জন নারী শ্রমিক কাজে যোগ দেয়ার জন্য ইজিবাইকে চড়ে মিলে আসছিলেন।পথিমধ্যে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের রুকনাকান্দা এলাকায় আসতেই ইজিবাইক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে আফরিন নিহত হন। আহত হন চালক ও যাত্রীসহ সাত জন।

আহত হন চালক রাহাত মিয়া, সাদিয়া আক্তার, ঝর্না আক্তার, নাসিমা খাতুন, শিরিনা আক্তার, মোছা. রহিমা ও শাকিবা আক্তার। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হবে।

;

শান্তিনগরে বহুতল ভবনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শান্তিনগরে একটি ১৬ তলা আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছে।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে লাগা এই আগুন ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় আধা ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, শান্তিনগরে একটি বাসায় আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আধা ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।

শান্তিনগর থেকে মৌচাকমুখী কনফি টাওয়ারে এই আগুন লাগে। আবাসিক এই ভবনের দোতলার বারান্দার অংশে এই আগুন লেগেছিলো। ভবনের বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, এসির প্ল্যাগ থেকে এই আগুনেএ সুত্রপাত৷ তবে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে জানাতে পারেনি।

;

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রলি চাপায় বৃদ্ধা নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জোবেদা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালের দিকে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় স্যালো ইঞ্জিন চালিত বালু বোঝাই ট্রলির চাপায় তিনি নিহত হন।

নিহত বৃদ্ধা মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের জামাদারপাড়া গ্রামের মৃত তোরাব আলী মণ্ডলের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাবেদা খাতুন বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী স্যালো ইঞ্জিন চালিত বালু বোঝাই ট্রলি (স্টিয়ারিং) তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু। এসময় ট্রলি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, বালু বোঝাই ট্রলির চাপায় এক বৃদ্ধ মহিলা নিহত হয়েছেন। ট্রলি ও চালককে আটক করা যায়নি। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

পুড়েছে দু’ শতাধিক ঘর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী।

শুক্রবার (২৪ মে) দেড়টার দিকে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে খবর পাওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। এখনো পর্যন্ত ৮০ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যেখানে দু' শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উখিয়ার থাইংখালী ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।

তিনি বলেন, উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অলরেডি ফায়ার সার্ভিসকে সেখানে পাঠিয়েছি। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ক্যাম্প ইনচার্জকে খবর দেওয়া হয়েছে। শরণার্থী কমিশনকেও জানানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সবাই মিলে কাজ করছে।

;