দুদক পরিচালক এনামুল বরখাস্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে কমিশনের তথ্য পাচার এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। সোমবার (১০ জুন) গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

তিনি জানান, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি অনুসন্ধান হতে তাকে দায়মুক্তি দিতে তার নিকট ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণে সমঝোতা করেন। তিনি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ঢাকার রমনা পার্কে, বাজারের ব্যাগে করে ডিআইজি মিজানুর রহমানের নিকট হতে গ্রহণ করেন এবং অবশিষ্ট ১৫ লাখ টাকা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য তিনি গ্যাস চালিত একটি গাড়ি দাবি করেন। এছাড়া তিনি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবৈধভাবে পাচার করেন।”

 প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে কমিশন গতকাল দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত এর নেতৃত্বে  তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । পরে আজ বেলা ৩ টায় কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাবার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

তবে ঘটনা সম্পর্কে  দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এনামুল বাসিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি অসদাচরণ। এতে দুদক বিব্রত নয়। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের নয়। দুদকের ৮৭৪ জন কর্মীর সততার নিশ্চয়তা কমিশন দিতে পারে না। 

এর প্রশ্নের জবাবের ইকবাল মাহমুদ বলেন, এনামুল বাসিরের সঙ্গে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কথোপকথন নিশ্চিত হতে নিশ্চিত হতে অডিও রেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে। তাছাড়া মিজানুর ঘুষ দিয়েছেন প্রমাণিত হলে দুদক মামলা করবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এক নারীকে জোর করে বিয়ে ও তাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় সেই বছরের জানুয়ারিতে ডিআইজি মিজানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেসময় তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মে মাসে এই তদন্ত শুরু করে দুদক ।

   

আগামী কয়েক মাস বাংলাদেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে: মুডিস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচি চলমান রাখতে আগামী কয়েক মাস বাংলাদেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন রেটিং এজেন্সি মুডিস।

মুডিস মনে করে যে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে। 

আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি গত দুই বছর ধরে ডলারের মজুদ ক্রমাগত কমতে থাকা সত্ত্বেও আগামী কয়েক মাস বাংলাদেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে বলে মুডিস পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার পর ব্যবসায় অনিশ্চয়তা ধীরে ধীরে কমতে থাকার পাশাপাশি আমদানি বিধিনিষেধ চলমান থাকায় চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ইতিবাচক হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দেওয়া চলমান রাখায় রিজার্ভে এই ইতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচি চলমান রাখতে এই ইতিবাচক ধারা জরুরি।

২০২২ সালের জুনের আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এরপর থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমতে থাকে। এ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যায়। ফলে রিজার্ভ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত ২১ মে রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

মুডিস বাংলাদেশের রেটিং নিয়ে পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার পর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, স্থিতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিসহ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের জন্য 'বি ওয়ান' রেটিং অপরিবর্তিত রেখেছে।

এতে আরও বলা হয়, 'এই স্থিতিশীল অবস্থার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে।'

মুডিস আশা করে যে, মহামারির আগের অবস্থার বিবেচনায় বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি দুর্বল হলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ সহায়তা রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এতে বলা হয়, পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার পেছনে এই খাতের অবদান আছে।

দেশটির কম মাথাপিছু আয়, অবকাঠামো, মানবসম্পদ ও প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির সীমাবদ্ধতা ও পোশাক খাতের ওপর ব্যাপক নির্ভরতা সত্ত্বেও এই স্থিতিশীলতা ভারসাম্যপূর্ণ।

মুডিস আরও বলছে, জোরালো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বাংলাদেশের ঋণকে ভারসাম্যে রেখেছে। রাজস্বের তুলনায় বাড়তি ঋণ ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দেশটির আর্থিক স্বস্তি কমিয়ে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পোশাক শিল্প দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জিডিপি, রপ্তানি ও আয়ে অবদান রাখবে। তবে পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া ও আর্থিক হিসাবের ঘাটতি বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করার পাশাপাশি রেটিংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।

কম পরিমাণে রাজস্ব আদায়, সক্ষমতার তুলনায় সুদ মেটাতে বেশি খরচ ও তুলনামূলকভাবে ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণের কারণে বাংলাদেশের ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা কমে যাচ্ছে।

মুডিস বলেছে, 'এই পরিস্থিতি দুই থেকে তিন বছর আগের তুলনায় নাজুক থাকবে।'

এতে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি থাকবে, ক্রয় ক্ষমতা কমবে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে সীমিত হবে।

এপ্রিলে ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়েছে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরে এই সূচক ছিল নয় দশমিক শূন্য দুই শতাংশ।

;

বিটিভির জেলা প্রতিনিধি নিয়োগে এমপির সুপারিশে প্রাধান্য!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর জেলা প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে বিটিভির প্রতিনিধিদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ডিসি অফিসে চিঠি পাঠানো এবং তাদের জন্য ক্যামেরা সরবরাহ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী কেরামত আলী, এমপি-এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এমপি, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, এমপি, আলী আজম, এমপি,আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এমপি এবং মো. আবদুচ ছালাম, এমপি বৈঠকে অংশগ্রহণ নেন।

এসময় বাংলাদেশ বেতার-এর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা এবং ভালোমানের অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

বৈঠকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিচিব, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বিটিভির কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

অবৈধভাবে ঋণ দেয়ায় ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশন লিমিটেডকে অবৈধভাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, ঋণ মওকুফ করা ও কার্যাদেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগও দায়ের করেছে।

রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( ডিএমডি) প্রদীপ কুমার কুমার সাহা এ অভিযোগ করেন। এ সময় আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতারসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার কুমার সাহা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায়শই বলে থাকেন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কখনও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা গ্রহণ করেননি। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে নিজ পারিবারিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে অবস্থিত প্যাকেজেস করপোরেশন লিমিটেডকে দাতা সংস্থার শর্ত লঙ্ঘনপূর্বক গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আনা এবং ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করার বিষয়ে আপত্তি উত্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার বাবা দুলা মিয়া, তিনি নিজে এবং তার অপর দুই ভাই আব্দুস সালাম ও মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

এছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক গঠিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত স্বনামধন্য নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক ১৯৮৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের কম্প্রিহেনসিভ নিরীক্ষা রিপোর্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে বেআইনিভাবে ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ ও কোটি কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদান সম্পর্কিত ব্যাপক দুর্নীতির দালিলিক তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে অরিজিনাল ভাউচার, এ্যাডভাইস, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঋণ ও বিলের অনুমোদন পত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডিএমডি প্রদীপ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইন ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বের চূড়ান্ত অবমাননা করে ১৯৯০ সাল থেকে নিজের পারিবারিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে সাড়ে ৯ কোটি টাকা অবৈধ সুবিধা প্রদান করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা শুধুমাত্র ভূমিহীন দরিদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি আইন ভঙ্গ করে তার পরিবারিক রুগ্ন ও লোকসানি প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে বিপুল অঙ্কের ঋণ প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুদ, এমনকি আসলেরও কিছু অংশ সুকৌশলে মওকুফ করিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, পরিচালানা পর্ষদের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রামীণ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রেষণে নিয়োগ দেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিস বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দর নির্ধারণী কমিটি গঠন পূর্বক নিজের প্রণীত ও স্বাক্ষরিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজের মালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই উচ্চদরে গ্রামীণ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার প্রিন্টিং সামগ্রী ছাপানোর কার্যাদেশ প্রদান করে নিজে ও পরিবারিকভাবে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। আজ এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে ন্যায়বিচার দাবি করছি।

২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

ওই বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

;

ফেনীতে প্রস্তুত ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র, ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ফেনী উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। চারটি ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৪৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি মেডিকেল টিম ও ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে সোনাগাজী উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিপিপি সদস্য এবং রোভার রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আবদুর রহমান বলেন, ক্ষতি মোকাবিলায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও চিড়া, মুড়ি, গুড়, চিনিসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির জন্য বিশুদ্ধকরণ ৫০ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিপৎসীমা ও সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৭৬৬৫৯৮২৫৯) খোলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় সিপিপির সদস্যদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে জানমাল ও গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া বিষয়ে বলা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে ডিসি স্যার আমাদের সকল বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী উপজেলার ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৪টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে। পাশাপাশি সিপিপি সদস্য ও আনসার সদস্যদের সক্রিয় রাখা আছে এবং মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ চলেছে। এছাড়াও রাতে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুত করা আছে বলে জানান তিনি।

জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ধীরে ধীরে উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ফেনীর উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলে এর প্রভাব শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

;