রাজশাহীর আম উঠেনি, লিচুর দখলে বাজার



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
আমের রাজ্য খ্যাত রাজশাহীতে আম এখনো বাজারে না উঠলেও বাজার লিচু ব্যবসায়ীদের দখলে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আমের রাজ্য খ্যাত রাজশাহীতে আম এখনো বাজারে না উঠলেও বাজার লিচু ব্যবসায়ীদের দখলে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মধুমাস জৈষ্ঠ্যের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মে)। চারিদিকে নানা ফলের সমাহার। বাজারে জমে উঠছে ফলের বিকিকিনি। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে এই মাসে শুরু হয় ‘ফল উৎসব’। মধুমাস শেষেও চলে এই উৎসবের রেশ।

রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় আম। জৈষ্ঠ্য মাস শুরুর আগেই আম ব্যবসায়ীরা বাজার দখলে নেন। তবে গেল তিন বছর ধরে প্রশাসন আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। চাইলেও কেউ বেঁধে দেওয়া সময়ের আগে আম বাজারে আনতে পারছেন না। ফলে মধুমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজশাহীর বাজারে উঠছে আম।

চলতি বছরও সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় এখনও বাজারে তেমন আম চোখে পড়েনি। কেউ কেউ সাতক্ষীরার গোপালভোগ বলে কিছু আম বিক্রি করছেন। যা খেতে টক। বুধবার (১৫ মে) থেকে রাজশাহীর দেশি জাতের ‘গুটি’ আম পাড়া শুরু হলেও এখনো তা পাকিয়ে বাজারে আনতে পারেনি চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558004998670.jpg

তবে মধুমাসের শুরুতেই বাজার দখলে নিয়েছে লিচু ব্যবসায়ীরা। রাজশাহীতে আবাদকৃত বারি-১ লিচু এখন শহরের অলি-গলিতেও বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গেলেই চোখে পড়ছে লিচু বিক্রেতাদের দাম হাঁকা ও ক্রেতাদের দর কষাকষির দৃশ্য।

বিক্রেতারা বলছেন, বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লিচু পাড়া শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিকে বিক্রি হওয়া লিচু অনেকটা অপরিপক্ক ছিল। রমজানে ভালো দামের আশায় অনেকে লিচু পেড়েছিল। তা ক্রেতা টানতে পারেনি।

গত দুই থেকে তিন দিন ধরে পুরোদমে লিচু পাড়া শুরু হয়েছে। এখন লোভনীয় এই ফলটি বেশ পরিপক্কও হয়েছে। তবুও বাজারে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষি, ইজারাদার ও বিক্রেতাদের।

রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, আরডিএ মার্কেটের সামনে, সোনাদিঘী মোড়, নিউমার্কেট, শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন চত্বর, বিনোদপুর, কোর্টবাজার, হড়গ্রাম, রেলগেট, লক্ষ্মীপুর মোড়সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে লিচু।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি একশ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২২০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। তবে ভালো রঙ এবং সাইজে বড় লিচু পেতে প্রতি শতে ৩৫০ টাকা গুণতে হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558005129618.jpg

কাদিরগঞ্জ এলাকার লিচু ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গত দুই দিন ধরে লিচু নিয়ে বসছেন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাজারে অন্যরা যে লিচু বেঁচছে, তার চেয়ে আমার লিচু বেশ বড়। আমি ৩০০ টাকার নিচে বিক্রি করছি না।’

সোনাদিঘী মোড়ে ভ্যানে লিচু বিক্রি করা মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়ার কারণে লিচু কিছুটা ছোট হয়েছে। দেশি জাতের লিচু হালকা টক থাকে। কিন্তু এবার একটু বেশিই। রোজা রেখে কেউ টক লিচু খেতে চাইছেন না। ফলে লিজের টাকা তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’

রবিউল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমার বাড়ি নোয়াখালি। রাজশাহীতে বিশেষ কাজে এসেছিলাম। বিকেলে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেব। বাড়ি থেকে মেয়ে রাজশাহীর লিচু নিয়ে যেতে বলেছে। সোনাদিঘীর মোড় থেকে ২২৫ টাকা দরে দুইশ লিচু কিনেছি।’

আয়েশা সিদ্দিকা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘চাকরির সুবাদে ছয় বছর রাজশাহীতে আছি। লিচুর সময়ে প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে অন্তত একশ লিচু কিনেই ফেরা হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558005108210.jpg

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে এখন যে লিচু পাওয়া যাচ্ছে, সেটা বারি-১ জাতের লিচু। আগামী ২০ মে এর পর থেকে যদি এই লিচু পাড়া হতো, তবে টক লাগতো না।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে বোম্বে লিচু বলে পরিচিত উন্নত জাতের লিচু উঠবে। যদি এর মাঝে একবার বৃষ্টি হয়, তবে ঐ লিচু খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানান, চলতি বছর রাজশাহীতে ৪৯০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। জেলার বাঘা উপজেলার পদ্মার চর, মোহনপুর, চারঘাট, পুঠিয়ায় বেশি লিচু চাষ করা হয়। তবে কেউ কেউ বসতবাড়িতেও অল্প সংখ্যক লিচু গাছ লাগিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ ক্রমেই লিচু চাষে ঝুঁকছে।

   

ফেনীতে ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তা চিনি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের ওবায়দুল হক নামে এক ইউপি সদস্যের খামারবাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিনিগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের খামারবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৩ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের ছেলে আরিফ এবং তার সহযোগী নুরুকে আসামি করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে নুরুর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে সুবাধে সে খামার বাড়িতে নুরু চিনিগুলো রেখেছিল। এতে আমি বা আমার ছেলে জড়িত না। ঘটনার পর নুরু বাড়িতে এসে তার সব শেষ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানান। তখন চিনিগুলো আটকের আগে কেন এই বিষয়ে আমাকে জানায়নি সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, ইউপি সদস্যের খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার। এছাড়া ৬৪টি মেডিকেল টিমও গঠন করার হচ্ছে।

দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।

এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারসহ সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্যোগে আমাদের প্রত্যেককে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আগামীকাল থেকে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাত গভীর হচ্ছে উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কথা হয় বরগুনা কাকাচিড়া মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সাথে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা অনেক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেছি এবার শুনেছি নতুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসছে। ২০০৭ সালে আমি যখন ছোট সেই সময় থেকে বন্যা মোকাবেলা করে আসছি। বরগুনা কাকচিড়া মাঝের চড়ে বড় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই, বেড়িবাঁধ নেই, থাকলে ভালো হতো। সরকার একটু সহযোগিতা করে আমাদের পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে একেবারেই নাজুক অবস্থায় মেরামত করলে হয়তোবা আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জানান, সিডরের সময় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে আর কখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি সরকার। বিষখালী নদী পাড়ের এই বাঁধ নির্মাণ না করলে মাঝারি ধরনের কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে এখানে।

বরগুনা পোটকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা হালিমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে কথা টিভিতে দেখেছি, ভয় হয়, এর আগে অনেক বন্যা সিডর, আয়লা,মোকাবেলা করেছি,এখন ঘরে ছেলে মেয়ে আছে, বাড়িতে গরু ছাগল হাসঁ মুরগী পালন করি এনিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।

ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা, বিমান উঠানামা বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৬ নং বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা। যার কারণে কক্সবাজারে দেখা দিয়েছে টিকিট সংকট। কক্সবাজারের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বাসের টিকিট। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বিমান উঠানামা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৬ নং বিদপ সংকেত যেহেতু চলছে সেহেতু বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ের কাউন্টার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পর্যটকরা ভয়ে কক্সবাজার ছেড়ে যাচ্ছে। আজকে কোন টিকিট নেই। বেশিরভাগ বাস চলে গেছে। কালকেও সব টিকিট বুকিং রয়েছে। বিমান চলাচল বন্ধ করায় টিকিটের চাহিদা আরও বেড়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে মানুষ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪শ ৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার নগদ টাকা,জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সাথে গৃহ নির্মান মনজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও ৬ নং বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

;