ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অর্ধশত ফেরি সচল থাকবে



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে চলাচলরত ফেরি/ ছবি: সংগৃহীত

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে চলাচলরত ফেরি/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদ-উল ফিতর কেন্দ্র করে ফেরিঘাটে যানজট মোকাবিলায় পাটুরিয়া, শিমুলিয়া, চাঁদপুর, ভোলা ও লাহারহাটে অর্ধশত ফেরির সবকটি সচল রাখা হবে। প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে ফেরি সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সভা করেছে নৌ মন্ত্রণালয়। সভায় পাটুরিয়া ঘাটে ২০টি, শিমুলিয়ায় ১৮টি, চাঁদপুরে পাঁচটি, ভোলায় তিনটি, লাহারহাটে চারটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়াও যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ সার্ভিস হিসেবে ঢাকা-মোড়েলগঞ্জ, খুলনা ভায়া চাঁদপুর-বরিশাল রুটে তিনটি প্যাডেল স্টিমারসহ পাঁচটি নৌযান ট্রাফিকে নিয়োজিত থাকবে।

উপকূলীয় সার্ভিস হিসেবে চট্টগ্রাম-হাতিয়া-চট্টগ্রাম রুটে তিনটি উপকূলীয় জাহাজ ট্রাফিকে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও উপকূলীয় সি-ট্রাক সার্ভিস হিসেবে সাতটি সী-ট্রাক সার্ভিসে নিয়োজিত থাকবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557843303176.jpg

বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে ফেরি ঘাট ও ডকইয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে স্ব-স্ব কর্মস্থলে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান কার্যলয় থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মর্কতারাদের সমন্বয়ে একাধিক টিম সদরঘাট, আরিচা, শিমুলিয়াসহ অন্যান্য ঘাটে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য থাকবেন।

ঈদের সময় কোনো নৌ-যানের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে, চরে আটকে গেলে বা জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার জন্য বরিশালে একটি শক্তিশালী ‘টাপ’ স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। আর বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোলরুম দিবা-রাত্রি চালু রেখে নৌ-যানগুরোর সাথে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখবে।

ফেরিঘাটে যানবাহন নষ্ট হয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা রোধে সংস্থার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া, কাঁঠালবাড়ী, চাঁদপুর (হরিণা), শরীয়তপুর ও লাহারহাটে সংস্থার রেকার নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও ডকইয়ার্ডে মেরামতে থাকা ফেরি ও যাত্রীবাহী নৌ-যান ঈদের আগেই ট্রাফিকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখী মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অন্য সময়ের তুলনায় বাড়তি ফেরি চলাচল করবে। আমাদের মোট ফেরি আছে ৫০টি, সবগুলো ফেরিই আমরা ঈদের সময় চালু রাখব।’

নৌ মন্ত্রণালয়ের সভা সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া ও চরজানাজাত ঘাটে যানবাহনের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্টসহ পুলিশ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন বলে সভায় জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রত্যেক ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নৌ-টহল পুলিশের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557843327531.jpg

পাইলটের স্বল্পতায় ফেরি চলাচল যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাইলট ফেরি বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে মোতায়েনের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় ফেরি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাইলট নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়াও ফেরি রুটে প্রয়োজনীয় নাব্যতা বজায়সহ নৌপথে প্রয়োজনীয় মার্কা ও বয়াবতি স্থাপনের ব্যবস্থার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির সচিব বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অতিরিক্ত সংখ্যক ফেরি চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের সবগুলো ফেরিই ঈদের সময় চালু থাকবে। আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদে ফেরি চলাচলে কোন সমস্যা হবে না।’

এদিকে বিগত বছরের ন্যায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কারের নির্বিঘ্ন পারাপার নিশ্চিত করতে ঈদের পাঁচ দিন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-চরজানাজাত রুটে নিত্য প্রয়োজনীয় জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মে আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে সড়ক মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি সভায় ঈদে কোনো অবস্থাতেই ফেরি বন্ধ না রাখার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিআইডব্লিউটিসিকে নির্দেশনা দেয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

   

ভালুকায় রাস্তা পারাপারের সময় বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত সোয়া ১১ টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিড স্টোরের আমতলী বিডিআর বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, স্বামী আব্বাস আলী দেওয়ান (৯০) ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৮০)। তারা টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। তারা ভালুকা আমতলী এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার এটিএসআই মো. কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ভালুকার আমতলী এলাকায় নিহত স্বামী-স্ত্রীর মেয়ে বসবাস করতেন। টাঙ্গাইল থেকে আমতলী এলাকায় নিহত স্বামী-স্ত্রীর মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনা সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক পারাপারের সময় একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী মারা যায়।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার এটিএসআই মো. কামরুল ইসলাম আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে হাতেনাতে ধরার পর প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পরকীয়ার জেরে নিহত যুবকের নাম ইকবাল হোসেন (৩০)। 

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মজিবর রহমান সড়কের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইকবাল হোসেন আদর্শপাড়া এলাকার নুকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি রাইস মিলের ম্যানেজার ছিলেন। ইকবালের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, পুলিশ জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে প্রতিবেশী নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে ইকবালের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে আজ দুপুরে ইকবাল ওই বাড়িতে গেলে নাজিম উদ্দিন অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় নাজিমসহ কয়েকজন ইকবালকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

তিনি আরও জানান, নিহত ইকবাল হোসেন আদর্শপাড়া এলাকার নুকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি রাইস মিলের ম্যানেজার ছিলেন। ইকবালের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নুকুল হোসেন এরই মধ্যে থানায় এজাহার দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রেমিকার স্বামীসহ পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইকবালকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে নাজিম ও তার লোকজন। 

;

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদা দাবি: রাঙামাটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ে আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম। 

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে খোদ রাঙামাটি পৌর শহরের আসামবস্তি এলাকায় সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় কাজে নিযুক্ত থাকা শ্রমিকদের মারধর করে তাদের কাছে থাকা অন্তত ৬টি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছে।

ঘটনার সময় উন্নয়ন কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডি’র কার্যসহকারী রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। 

মাত্র কিছুদিন আগেও এই একই আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে জেএসএস এর নামধারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাছ থেকে ৯টি মুঠোফোন নিয়ে গেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনার পর আসামবস্তি ব্রিজ সংস্কারের কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটির সাথে কাপ্তাইয়ের সংযোগ সড়ক যোগাযোগে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কটি তৈরি করে এবং পর্যায়ক্রমে এই সড়কটিকে নানামুখী উন্নয়নের মাধ্যমে নয়নাভিরাম করে গড়ে তুলছে। ইতোমধ্যেই এই সড়কটি অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। সড়কের উভয় পাশেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন স্পট। সাম্প্রতিক সময়ে এই সড়কে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাধা দিয়ে ঠিকাদারদের কাছে শতকোটি টাকা চাঁদা দাবি করছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। চাঁদার দাবিতে গত দুই বছরে একাধিকবার গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ চালকদের মারধর ও ঠিকাদারের লোকজনসহ বনবিভাগের লোকজনকেও আটকে রেখেছিলো জেএসএস নামধারী অস্ত্রধারীরা।

সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে আসামবস্তি ব্রিজের পরে আধা কিলোমিটার পরেই কাপ্তাইমুখী সড়কের কাজ চলাকালীন সময়ে অস্ত্রধারী পাঁচ যুবক অতর্কিত হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। 

শ্রমিক মো. আকতার হোসেন জানিয়েছেন, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় সকলে মিলে কাজ করছিলাম। বিকেল চারটার সময় আকস্মিকভাবে ৫/৬ জন চাকমা যুবক দুইটি রিভলভার হাতে নিয়ে এসেই আমাদেরকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় আমারসহ আমার সহকর্মী রুবেল, শামীম, আকাশ, রিপনসহ মিস্ত্রির আরও দুই সহযোগীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে রাঙামাটির এলজিইডি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি। নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন জানিয়ে একজন উদ্বর্তন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামবস্তি সড়কে বর্তমানে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন বন্ধ করে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি’র ওই কর্মকর্তা বলেন, এতোদিন দুর্গম এলাকাগুলোতে ব্যাপক চাঁদাবাজি করলেও সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে রাঙামাটি শহরেই প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি শুরু করেছে।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদাররা জানিয়েছেন, কাজ শুরুর আগেই উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চারটি গ্রুপকে ৫ পার্সেন্ট হারে চাঁদা দিয়েছি। এরই মধ্যে একাধিকবার হামলা চালিয়ে চাঁদা নিয়েছে। বর্তমানে জেএসএস নামে ১০ পার্সেন্ট করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর আগের শিডিউল রেটে কাজ নিয়ে চারটি পাহাড়ি সংগঠনকে চাঁদা, অফিস খরচের পর আবার বর্তমান রেটে সরঞ্জাম কিনে কাজ বাস্তবায়ন করাটা চরম কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় কাজ বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানিয়েছেন ঠিকাদাররা।

এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে কেউ কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানিয়েছেন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি আমি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

;

খুলনার রূপসায় এক যুবককে কুপিয়ে জখম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার রূপসা রহিমনগরে কোপাকোপির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মো. জহির শেখ (২৫) কে কুপিয়ে আহত করেছে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর এলাকার মো. জহির শেখ (২৫) কে ওই এলাকার তালিমপুর গ্রামের মো. রসুল গাজীর ছেলে মো. রিয়াজুল ইসলাম (৩০)সহ আরও কয়েকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তখন জহির শেখের আত্মচিৎকারে মানুষ এগিলে আসলে রিয়াজুলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় জহিরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, আমরা ঘটনা শুনেছি। সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মো. রিয়াজুল ও তার সহযোগীরা মো. জহির শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 

;