মসিকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) প্রথম নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) নগরীর টাউনহলস্থ এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. আলীমুজ্জামান ফলাফল ঘোষনা করেন।

বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলর যারা:

১ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান বাবু ৩৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকের আব্দুল ওয়াদুদ ১৩৮০ ভোট পেয়েছেন।

২ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ গোলাম রফিক দুদু ১৮১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের এম এ মতিন পেয়েছেন ১৫৯৩ ভোট। 

৩ নং ওয়ার্ডে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৯৮১ ভোট, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন পেয়েছেন ৪২৯ ভোট।   

৪ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুবুর রহমান ১৯১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ রাসেল পাঠান ১৪৫৯ ভোট পেয়েছেন।   

৫ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ ১৩৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।

৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ২৮৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ১৭২ ভোট পেয়েছেন।

৭ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসিফ হোসেন ডন ১৪৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের বিপ্লব কুমার সরকার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের ফারুক হাসান ১৮৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে বিকাশ সরকার পেয়েছেন ১৪৭৫ ভোট।

৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে শীতল সরকার ২২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকের মোঃ আল মাসুদ পেয়েছেন ১৬৫৯ ভোট। 

১০ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম ১৮২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম লাটিম প্রতীক নিয়ে রতন চৌধুরী পন্ডিত পেয়েছেন ১৭৪৪ ভোট।  

১১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফরহাদ আলম ১৩৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে খন্দকার আনিসুজ্জামান এলিছ ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।  

১২ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ২০১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুর রহমান, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে হানিফ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ ১৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৩ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে দেলোয়ার হোসেন ১৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আব্বাস আলী তালুকদার ১২৬৫ ভোট পেয়েছেন।  

১৪ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফজলুল হক ১৩৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আাতিকুর হাসান মাসুম ১০৭২ ভোট পেয়েছেন।

১৫ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুব আলম হেলাল ২০৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।  

১৬ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল মান্নান ১৯২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ শরাফ উদ্দিন ১৫৭১ ভোট পেয়েছেন।  

১৭ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ কামাল খান ২০৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকের মোঃ নজরুল ইসলাম ১৮৩৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে হাবিবুর রহমান হবি ২৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ জামাল হোসেন রোজ ২২১৫ ভোট পেয়েছেন।

১৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্বাস আলী মন্ডল ৩২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম করাত প্রতীকে মোঃ মাহবুবুর রহমান ২৭৯৭ ভোট পেয়েছেন।  

২০ নং ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে মোঃ সিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন  ২১১৩ ভোট পেয়ে, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ সাইদুর রহমান তারু ১০৫৫ ভোট পেয়েছেন।

২১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা ফারুক ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ লাল মিয়া লাল্টু ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

২২ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টার প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা কামাল ১০১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ আবুল হাসেম ৬৩৯ ভোট পেয়েছেন।

২৩ নং ওয়ার্ডে করাত প্রতীক নিয়ে মোঃ সাব্বির ইউনুস ১৭৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ নাজমুল হাসান ৯৫৩ ভোট পেয়েছেন।  

২৪ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ৯৪৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম কাটা চামচ প্রতীকের মোঃ আসলাম হোসেন পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট।

২৫ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ মনোয়ার হোসেন ১১২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম  মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে মোঃ ওমর ফারুক ১০৩২ ভোট পেয়েছেন।

২৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম ১৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোমিন রুবেল পেয়েছেন ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।

২৭ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শামসুল হক ১৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোঃ খায়রুল ইসলাম ১৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

২৮ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ ১৯৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ গোলাম হোসেন হামিদ ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

২৯ নং ওয়ার্ডে এয়ার কন্ডিশন প্রতীক নিয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১০২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে মোঃ আবুল হোসেন ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

৩০ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে আবুল বাসার ১৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম এয়ার কন্ডিশনার প্রতীকে মোঃ শাহ আলম ১০২৫ভোট পেয়েছেন।

৩১ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ আসাদুজ্জামান ৩১০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ সেলিম উদ্দিন ২৭৪৪ ভোট পেয়েছেন।

৩২ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ এমদাদুল হক মন্ডল ২৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে আবু বক্কর সিদ্দিক ১৬১৩ ভোট পেয়েছেন।

৩৩ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে মোঃ শাহজাহান ৪৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম মিষ্টি ঘুড়ি প্রতীকে মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ২২১১ ভোট।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত যারা:

১/২/৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে স্টীল আলমারী প্রতীক নিয়ে সেলিনা আক্তার ৩৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম চশমা প্রতীকে আকিকুন নাহার ৩৭৫২ ভোট পেয়েছেন।

৪/৫/৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাম্মী আক্তার মিতু ৪৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে খোদেজা আক্তার ৩২৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৭/৮/৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ হামিদা পারভীন ৩৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ডলফিন প্রতীকে আরতী গুপ্তা ২৯৭০ ভোট পেয়েছেন।

১০/১১/১২ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে রোকসানা শিরিন ২৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছের, তার নিকটতম জীপগাড়ি প্রতীকে রীতা পাল ২১০৭ ভোট পেয়েছেন। 

১৩/১৪/১৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে রোকেয়া হোসেন ৪৫৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে স্বপ্না খন্দকার ৩৪৬৩ ভোট পেয়েছেন। 

১৬/১৭/১৮ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে রোকসানা পারভীন কাজল ৪৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রানী বেগম ৩৫৭৪ ভোট পেয়েছেন। 

১৯/২০/২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে শামীমা আক্তার ৯৫৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম বই প্রতীকে ইসমত আরা বানু  ৩৬৮৪ ভোট পেয়েছেন। 

২২/২৩/২৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাহনাজ বেগম ৪৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে মোছাঃ হাজেরা খাতুন ৩৮০৬ ভোট পেয়েছেন। 

২৫/২৬/২৭ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে আইরিন আক্তার ৪৯৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রিনা আক্তার ৪৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। 

২৮/২৯/৩০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে কাউসার ই জান্নাত ৫৭২১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম বেহালা প্রতীকে মোছাঃ হামিদা ৫০১৫ ভোট পেয়েছেন।

৩১/৩২/৩৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ ফারজানা ববি কাকলী ৬৫৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম হেলিকপ্টার প্রতীকে মোছাঃ কুলসুম বেগম ৪৮৯৩ ভোট পেয়েছেন। 

আর আগে, ১২৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮ টা থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এতে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪২জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র ও মসিক প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয় শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে।

   

ডাকাতি ছেড়ে জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ করছিল রহিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিম (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গত বুধবার (১৫ মে) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে অভিযান চলিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে সিটিটিসি।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি বন্দুক ৪টি, বারুদ লোডেড গান ৩টি, ওয়ান শুটার গান ১টি, দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ১টি, গুলি ১৬টি, কার্তুজ ১১টি, শর্টগানের খোসা ২৪টি, বাইনোকুলার ২টি, গ্যাস মাস্ক ১টি, চার্জার লাইট ১টি, রিচার্জেবল ব্যাটারি ১টি, ওয়াকিটকি ও চার্জার ২টি, এসিড সদৃশ তরল পদার্থ ৬ লিটার, ইলেক্ট্রিক তার ৬০ ফুট, মোবাইল সিগন্যাল বুস্টার ১টি, তারসহ এন্টেনা ১টি, হাতুরি ১টি, করাত ১টি, হেক্স ব্লেড ১টি, বাল্ব ৪টি, ইলেকট্রিক হোল্ডার ৪টি, নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ড্রাম ২টি ও ১টি ত্রিপাল উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসি জানায়, আব্দুর রহিম ২০১৯ সালের দিকে 'রহিম ডাকাত' গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি সে জঙ্গি সংগঠন 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'-কে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করত। 

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।


তিনি বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া'র প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিম গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে (জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া) সংগঠনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন বনে ড্রামের ভেতরে মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিল। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ছাগল খাইয়্যা এলাকার পাহাড়ের ঢালে ঘন জঙ্গলের মধ্যে মাটির নিচে রক্ষিত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলিসহ বিষ্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, আব্দুর রহিম অন্য একটি সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য অস্ত্র মজুদ করছিল। আগে একাধিকবার অন্য জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করেছিল সে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে যখন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া'র ট্রেনিং ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম একাধিকবার জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। পরে আরও বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথা ছিলো, তার কিছু অংশ সে সংগ্রহ করেছিল। যখন যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয় তখন সে এসব অস্ত্র মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। সে ঢাকায় চলে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এসব অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন বনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শারকীয়ার সদস্যদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ (আইইডি) তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল লাগতো। সেই কেমিক্যালও সরবরাহের কথা ছিলো। সে জঙ্গি সংগঠনে সরবরাহের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার সংগ্রহ করেছিলো। তবে সে কিভাবে এটি সংগ্রহ করেছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তিনি বলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র মাস্টারমাইন্ড ও সংগঠনের প্রধান শামিন মাহফুজ যখন পাহাড়ে সংগঠনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করে তখন থেকে আব্দুর রহিম অস্ত্র সংগ্রহের কাজ করছিলো। তার সঙ্গে পূর্বে হওয়া অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদের যোগাযোগ ছিল। কবির সংগঠনের জন্য কাজ করতে রহিমকে প্রস্তাব দেয়। এতে রহিম তার প্রস্তাবে রাজি হয় এবং অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহেও সে কাজ করে।

কীভাবে সে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, তার সঙ্গে আরও কে কে জড়িত রয়েছে এবং কোন কোন পর্যায় থেকে সে সহযোগীতায় পেয়েছে? এসব জানতে গ্রেফতার আব্দুর রহিমকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার (১৭ মে) ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলেও যোগ করেন সিটিটিসি'র প্রধান।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, গত ২৩ জুন (২০২৩ সাল) 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র মাস্টারমাইন্ড ও সংগঠনের প্রধান শামিন মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর শারক্বিয়ার প্রশিক্ষণ, অস্ত্রগুলোর উৎস, অর্থায়ন সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শামিন মাহফুজকে গ্রেফতারের আগে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. ইয়াছিন (৪০) এবং বান্দরবান থেকে অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদ (৫০) কে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।


তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুকি চিনের পাশাপাশি স্থানীয় কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম শারক্বিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। সে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় নও-মুসলিমদের নিয়ে কাজ করার আড়ালে 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নামে সংগঠন গড়ে তুলে। নও-মুসলিমদের নিয়ে কাজ করার সময় স্থানীয় অস্ত্র সরবরাহকারী মো. কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম কে সে সংগঠনের দাওয়াত দেয়। মো. কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিম সংগঠনের হয়ে কাজ করতে রাজি হয় এবং অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। শামিন মাহফুজ ও অস্ত্র সরবরাহকারী কবির গ্রেফতার হলে এবং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম ও তার সহযোগিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ক্যাস্পে অংশ নেওয়া কতজন পলাতক রয়েছে? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সবার তালিকা পেয়েছি। তালিকার প্রায় সবাই গ্রেফতার হয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা প্রশিক্ষণের দাওয়াত পেয়েছে তাদেরও নাম পেয়েছি। তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাহাড়ে বড় আতঙ্কের নাম আইইডি, তাহলে কি আব্দুর রহিম এসকল আইইডির সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে? আপনাদের কাছে কী তথ্য রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, এবিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার কাছে যেহেতু কেমিক্যাল পাওয়া গেছে এবং প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেও আইইডি প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও তথ্য পেয়েছি। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। সে আর কোথায় কোথায় কেমিক্যাল সরবরাহ করেছে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দেশের বাইরে অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে কি না? জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে বা দেশের বাইরে তার কোনো নেটওয়ার্ক রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বর্তমানে 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' সংগঠনের নেতৃত্ব কে দিচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ নাই। এই সংগঠনের সকল শীর্ষ নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। নতুন করে সংগঠিত হওয়ার মত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

গত মার্চ মাসে আইএসআইএস এর প্রধান হারিজ ফারুকী ভারতে গ্রেফতার হয়েছিল। তারা বলছেন- সে (হারিজ ফারুকী) বাংলাদেশে ছিলো? তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না রহিমের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়টি আমি আগেই অস্বীকার করেছি। কারণ বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গী বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের কারও অবস্থানের প্রশ্নই আসে না।

;

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিজীবীরা রেশনিং ব্যবস্থা, বাসস্থানসহ অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পান। কিন্তু দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা এমন অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তাই এই শিল্পের শ্রমিকদের বাচাঁর মতো মজুরিসহ মর্যাদাপূর্ন জীবন মানের কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের জন্য অনতিবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম নামের একটি শ্রমিক সংগঠন।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবীতে আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে শ্রমিক নেতা আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সভাপতি বিলকিস বেগম বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকগণ দ্রব্যেমূল্যের বৃদ্ধির কারনে পুষ্টিকর খাবার, সন্তানের সু-শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছেনা। তাদের বাঁচার মত মজুরী, রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবী জানাচ্ছি।

শ্রমিক নেতা বিলকিস বেগম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ইন্সস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিলস) এর গবেষণায় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ৪৫৭ জন পোশাক শিল্পের শ্রমিক, ৬ জন মালিক, ৫ জন ম্যানেজার ও ৫ জন সুপারভাইজার এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে জীবন যাত্রার মান যেমন বাড়ি ভাড়া, খাবার খরচ, চিকিৎসার খরচ ও অন্যান্য নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় খরচের দিকটি বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত উপনীত হন যে, শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী ২৩,০০০/- টাকা দিতে হবে কিন্তু মজুরী বোর্ড তা করে নাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম ২০১৮ সাল থেকে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরাম বাংলাদেশে ১০০টিরও বেশী কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এবং যার মধ্যে প্রায় ৭৪টি কারখানার ইউনিয়ন প্রতিনিধি রয়েছেন।

আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার বলেন, বর্তমান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারনে জীবনযাত্রার মান একেবারেই নিম্নমুখী। এই কয় বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বাড়ি ভাড়া, এবং জীবন-যাত্রার ব্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু এ সেক্টরে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মত মজুরী নির্ধারন করা হয়নি।

উর্মি আক্তার বলেন, বর্তমানে একজন ব্যক্তির মাসিক খাবার খরচ বাবদ (যেমন -চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সবজি ও মসলা) ৫,৩৩৯/- টাকা প্রয়োজন। যদি কোনো পরিবার পুরো মাসে একবারও মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও মুরগি না খায় তাহলেও খরচ ৮,১০৬/- টাকা। এ খরচের মধ্যে খাবারের সঙ্গে এক কক্ষের ঘরভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুত বিল, চিকিৎসা ব্যয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্য ক্রয়, সন্তানের পড়ালেখার খরচ, যাতায়াত, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের বিল আছে। সাথে গণপরিবহনের ভাড়াও বেড়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে, সকল দৈনন্দিন খরচ মিটিয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছে।

সমাবেশে থেকে কিছু দাবী উত্থাপন করা হয়, দাবী গুলো হলো:

১) গামেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) বাঁচার মত মজুরী নিশ্চিত করতে হবে।

৩) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৪) গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী পূর্নবিবেচনায় আনতে হবে।

৫) বছর বছর ঘরভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করে তা শ্রমিক বন্ধব করতে হবে।

৬) প্রতিটি কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৭) সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৮) শ্রমিকদের বাচ্চাদের সু-শিক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।

৯) বায়ারদের ন্যয়সঙ্গত ব্যবসানীতি মেনে ন্যায্য দামে পোশাক কিনতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের সভাপতি বিলকিস বেগম, সাধারন সম্পাদক উর্মি আক্তার এবং সহ-সাধারন সম্পাদক লিলি বেগম সহ আরএমজি ওয়ার্কার্স ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন কারখানার ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

;

বসুন্ধরা সিটির মোবাইল চোর সাগর গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর তেজগাঁও থানার বসুন্ধরা সিটির বেইজমেন্টের মোবাইল দোকানে ক্রেতা সেজে মোবাইল চুরি করত চোর মো. রাসেল প্রকাশ সাগর (২৮)। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের বেজমেন্টের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। 

তিনি বলেন, রাসেল দিনভর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে, এরপর কৌশলে আইফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানে সে রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল।

ওসি মহসীন আরও বলেন, রাসেল শুধুমাত্র আইফোন চুরি করে। পরে তা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেয়। তার মূল টার্গেট বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানগুলো। এসব দোকানে ফোনও প্রচুর থাকে, আবার ভিড়ও থাকে। এমন ভিড়ে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকেন রাসেল। এরপর অন্য ক্রেতার চাপে সেলসম্যান একটু অন্যমনস্ক হলেই আইফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে। 

বৃহস্পতিবার ক্রেতা সেজে এপল গ্যাজেট নামে একটি দোকানে যায় রাসেল। পরে কৌশলে আইফোন নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা  করেন। কিন্তু তার এই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখে ফেলেন সেলসম্যান। পরে  তাকে আটক করা হয়।

বিগত কিছুদিন ধরেই বসুন্ধরা শপিংমলের বিভিন্ন ফোনের দোকানে চুরি হচ্ছিল। অন্তত চারটি দোকানে ক্রেতা সেজে চুরির প্রমাণ মিলেছে রাসেলের বিরুদ্ধে।

;

বগুড়ায় ১৪০ জাল নোটসহ কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালু থেকে জাল নোট কারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার হেফাজতে থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার খাসর পারইল গ্রামের বাসিন্দা।  

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কাহালু উপজেলার কাজীপাড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাহালুর কাজীপাড়া বাজার এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল পুলিশকে জানায়  কোরবানির গরুর হাটে জাল নোট চালানো উদ্দেশ্যে তিনি বগুড়ায় আসেন। তার নামে জাল নোট এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে নওগাঁ সদর, রানীনগর, বগুড়ার আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া ৫ টি মামলা রয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানায়।

রফিকুল ইসলামের নামে ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা করেছেন।

;