সিলেট অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পূর্বাভাস



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পেয়ে আগাম ধান কাটছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা

বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পেয়ে আগাম ধান কাটছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মেঘালয়সহ বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকা, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এ অঞ্চলে যেকোনো সময় পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে সিলেটে শনিবার ( ৪ মে) সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ সেন্টারের (এফএফডব্লিউসি) বিশেষ এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিতে পারে। প্রবল বর্ষণের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, ব্রক্ষ্মপুত্র, কংস, জাদুকাটা এবং তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকা আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারত থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পানি নেমে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা, মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই; সুনামগঞ্জের জাদুকাটা, হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা হতে পারে।

এতে বলা হয়, প্রথম দফা ২-৩ মে ভারতের মেঘালয় অববাহিকায় এবং ২য় দফা ৬-৭ মে ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকা, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/04/1556955710488.jpg

বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ সেন্টারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান জানান, ফণীর কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। এই সতর্কীকরণ শুধু নদীর আশপাশের এলাকার জন্য নয়, হাওর এলাকার জন্যও প্রযোজ্য। এরই মধ্যে সিলেটের সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, ফণীর প্রভাবে মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকিং করে কাওয়াদীঘিসহ আশপাশের এলাকার কৃষকদের হাওরের পাকা ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিলেটের জিলকার হাওর, চাতলার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের কৃষকরা একটু আগে ভাগে ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন। তারা দ্রুত ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রথম দফা পাহাড়ি ঢলে পিতা পুত্র নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। পুত্রের লাশ দুই দিন পর পাওয়া গেলেও এখনো পিতা নিখোঁজ রয়েছেন। কানাইঘাটেও এক যুবক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

   

বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল সিদ্দিক অপু। তারমাথা, পা ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ অবস্থায় নিজের অবস্থান ও জীবন নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটছে তার।

অপু বরিশাল জেলা স্কুলের ২০০৮ ব্যাচের প্রভাতি শাখার সাবেক শিক্ষার্থী।

পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে (২০১০ ব্যাচ)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ কর্মস্থল রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত অপুকে ভর্তি করা হয়েছিল কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার মেরুদণ্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।

স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে যে নার্ভ সিস্টেম থাকে তা ছিঁড়ে গেছে। ফলে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়।

অপুর স্কুল জীবনের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার ফিরে আসার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। বিদেশে উন্নত সার্জারি, নিউরো-ট্রান্সমিটার চিপ স্থাপন ও অ্যাডভান্সড থেরাপির মাধ্যমে তিনি আবার নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবেন।

অপুর মামাতো ভাই মো. সালাউদ্দীন আহমেদ রিফাত জানান, চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা বাংলাদেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই প্রায় অসম্ভব। অপুর পরিবারের জন্যও তাই।

অপুর বন্ধু মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান) জানান, চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে অপু ও তার পরিবার।

অপুর বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৮২৭৬৯৪০৪৬ ও ০১৬৮৫৫৩৯৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তারা।


ডোনেশনের জন্যঃ

ব্যাংকের তথ্যঃ

একাউন্ট নেম: MD SALAHUDDIN AHMED, MAHAMUD HASAN RAJU AND HAFIJ UDDIN AHMED RAIYAN

একাউন্ট নং: 011931100005755

ব্রাঞ্চ নেম: NRBC BANK PLC, Barishal Branch. Or NRB COMMERCIAL BANK, Barishal branch.

রাউটিং নাম্বার: 260060280

সুইফট কোড: NRBBBDDH

একাউন্ট হোল্ডারদের পরিচয়ঃ

১. মো: সালাউদ্দীন আহমেদ (রিফাত), উদয়ন স্কুল ২০০৮ ব্যাচ। (অপুর মামাতো ভাই)

২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান), বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (দিবা শাখা)। (অপুর বন্ধু)

৩. হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাইয়ান, বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (প্রভাতি শাখা)। (অপুর বন্ধু)

মোবাইল ব্যাংকিং তথ্যঃ

১.শান্তনু অঙ্গন। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01689-024978 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান)। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ

01827-694046< পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


৩. কাজী মিরাজুল ইসলাম নিশান। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01685-539363 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।

৪. তনু মিত্র। বরিশাল জিলা স্কুল, প্রভাতি শাখা, ২০০৮ ব্যাচ।

বিকাশঃ 01719-936837 (পারসোনাল)

নগদঃ 01913-142801

বি.দ্র: বিকাশ/নগদে সেন্ড মানি করতে হবে।

রেফারেন্সে নিজের নাম বা FFO লিখে দিবেন।

paypal: https://www.paypal.com/pools/c/94hEOCK9ZX

www.paypal.com

;

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে নেই বৃষ্টির দেখা। এ অবস্থায় দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। চলমান তাপপ্রবাহে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

;

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা।

তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

এপ্রিলে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

;