ধর্মের নামে নারীদের পিছিয়ে রাখা যাবে না: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ধর্মের নামে নারীদের পিছিয়ে রাখা যাবে না। ইসলামে প্রথম নারী উদ্যোক্তা ছিলেন বিবি খাদিজা, যিনি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক অবদান রেখে গেছেন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের কথা অবিস্মরণীয়!
মঙ্গলবার (২১ মে) রাজশাহীর গরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আসলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। বঙ্গবন্ধু যেসব স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই সব স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁরই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন।
দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, নারীর অগ্রযাত্রায় ও ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং গৃহীত এসব পদক্ষেপের কারণে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
এ সময় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আগে নারীদের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
রাজশাহী জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি মর্জিনা পারভীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রভাষ চন্দ্র রায়, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহা. মাইনুল হক প্রমুখ।
কর্মশালা শেষে অতিথিবৃন্দ জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন ট্রেডে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, মানুষ, উদ্ভিদ এবং প্রতিটি জীবের জন্য নিরাপদ পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘ওয়াটার ফর দ্য শেয়ার্ড প্রসপারিটি’ শীর্ষক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমছে। টেকসই উন্নয়ন ও সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পানি অপরিহার্য। সেজন্য, আমাদের সকলকে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী সকল অংশীজনের সম্মিলিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি অর্জন করা সম্ভব।
পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি ও ধান চাষে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এসময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা কৃষিকাজে পানির অপচয় রোধ ও কৃষকের সেচ খরচ আরও কমাতে কাজ করে যাচ্ছি। ভূগর্ভস্থ পাইপের মাধ্যমে সেচ প্রদান ও ধান চাষে পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে দু’শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে এক নারীসহ দু’শিশুর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচরের নয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো কামাল হোসেন জানান, বিকেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় একটি গর্ত খুঁড়ে দুই শিশু ও এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে হত্যার পর মরদেহগুলো এখানে গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। ওই এলাকায় এখনও পুলিশের অভিযান চলছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ত্রিশাল থানায় নেওয়া হয়েছে।
গণপূর্তের কাজ গুণগত মান বজায় রেখে অর্থ সাশ্রয়ের সুপারিশ
সারাদেশে চলমান গণপূর্ত অধিদফতরের নির্মাণ কাজে গুণগত মান বজায় রেখে অর্থ সাশ্রয়ী করার সুপারিশ করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি'র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ীয় কমিটির সভাপতি শরীফ আহমেদ। বৈঠকে কমিটির সদস্য এম. আবদুল লতিফ, মো. মজিবর রহমান (মজনু) ও আবদুল হাফিজ মল্লিক অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প এবং আবাসন পরিদফতরের সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটি সরকারি আবাসন পরিদফতরের বাসা বৃদ্ধি করে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরকারি বাসা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতিসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।