মালয়েশিয়া থেকে ফিরতে হচ্ছে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আউটসোর্সিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রাসেল আহমেদ হৃদয়ের মতো কয়েক লাখ বাংলাদেশি, ভিসা নবায়নের নতুন কোনো সুযোগ না দিলে এই মেয়াদ শেষে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হবে তাদের/ ছবি: সংগৃহীত

আউটসোর্সিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রাসেল আহমেদ হৃদয়ের মতো কয়েক লাখ বাংলাদেশি, ভিসা নবায়নের নতুন কোনো সুযোগ না দিলে এই মেয়াদ শেষে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হবে তাদের/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দোহাই দিয়ে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এই লক্ষ্যে প্রায় ২৭৯টি আউটসোর্সিং কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন এসব কোম্পানির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়া শ্রমিকরা। সেই সাথে ক্ষতির মুখে পড়বেন মালয়েশিয়া যেতে কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশিরাও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতকাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটির আউসোর্সিং কোম্পানিগুলো তালিকা করে বন্ধ করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে লাখ লাখ শ্রমিক চুক্তিভিত্তিকভাবে মালয়েশিয়ায় গেছেন। ফলে এই কোম্পানিগুলো বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়া থেকে নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন এসব অভিবাসীরা। তাদের আর নতুন করে ভিসা নবায়ন নাও হতে পারে।

মালয়েশিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। যার মধ্যে দুই লাখ শ্রমিকের ভিসা নবায়ন না হলে তাদের দেশে ফিরতে হবে। আর অনিয়মিত আরও চার লাখ শ্রমিককে দেশে ফিরতে হতে পারে। ফলে প্রায় ছয় লাখ শ্রমিক এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সেদেশের কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের আর বৈধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এলএলএইচ গোল্ডেন এসডিএন বিএইডি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া যান রাসেল আহমেদ হৃদয় নামের এক বাংলাদেশি যুবক। এক বছর পর আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি। গতকাল এই কোম্পানির আউটসোর্সিং বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তিনি।

হৃদয় বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মালয়েশিয়ান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে চরম অনিশ্চিয়তায় পড়েছি। লাখ লাখ টাকা দিয়ে অনেকে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। এখন এসব কোম্পানির আউটসোর্সিং বিভাগ বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি আমরা।’

এদিকে দেশটির অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দেশটিতে অবৈধদের বসবাস ঠেকাতে বিভাগটি কাজ করছে এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে কোনো পক্ষের সঙ্গে আপোস করা হবে না।

এদিকে গত ৭ থেকে ৮ মার্চ মালয়েশিয়ায় সেদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য ইসরাফিল আলম।

তিনি বলছেন, মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন তারা আর অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করবেন না। মালয়েশিয়ায় ছয় লাখেরও বেশি অনিয়মিত বাংলাদেশি রয়েছে এবং তাদেরকে নির্বাসিত করা হতে পারে। তবে ছয় লাখের মধ্যে তিন লাখ শ্রমিকের ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র বৈধকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও বাকি তিন লাখের ক্ষেত্রে তা হয়নি।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বলছেন, আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলো বন্ধের ক্ষেত্রে হাইকমিশনের সাথে ঐ কোম্পানি অথবা মালয়েশিয়া সরকার যোগাযোগ করেনি। তবে এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। ২০১৬ সালের পর আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে আর বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। তবে এর আগে বহু সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হয়েছে। মূলত অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীদেরই আটক করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে আউটসোর্সিং কোম্পানি বিপি অ্যাডভান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের মধ্যে দুই জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয়। বাংলাদেশি দুই মালিক গত তিন বছরে প্রায় ৮০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য। কিন্তু তাদের ভিসা এখনো হয়নি। ফলে তাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আর আউটসোর্সিং বিভাগ বন্ধ হওয়ায় তাদের ভিসা হওয়ার সম্ভবনাও নেই।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২১ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ অভিবাসীদের আটকের লক্ষ্যে চার হাজার ৪৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আটক করা হয় ৬৩ হাজার ২৮৬ অভিবাসীকে। এদের মধ্যে তিন হাজার ১৬৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আটকদের মধ্য থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৩ হাজার ৬৭৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে।

তবে শুধু শ্রমিকই নয়, অবৈধ অভিবাসী রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ৩১১ জন স্থানীয় মালিককে। আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান চার হাজার ৭২৯, ফিলিপাইন এক হাজার ৩৬২, মিয়ানমার এক হাজার ৩৫৭ জন। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ও ভিয়েতনামের নাগরিকরাও আটক হন।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন রেগুলেশন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করে কাগজপত্র থাকলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় জেল-জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক ইন্দিরা খায়রুল দাজাইমি। দেশটির অভিবাসন বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী-মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশিকে কোনোভাবেই অবস্থান করতে দেয়া হবে না।

এছাড়া গত বছর ৭২ হাজার ৩৬১ জনকে পাসপোর্ট ও ভিসা জটিলতার কারণে অভিবাসন আইনে পাঁচ বছরের জন্য মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিদিনই অবৈধ অবস্থানের অভিযোগ এনে ধরপাকড় চলছে। কুয়ালালামপুরের বাইরেও যেসব এলাকায় বাংলাদেশিদের অবস্থান বেশি ঐসব এলাকায় চলছে অভিযান।

মালয়েশিয়া প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা বলছেন, ‘ভয়ে ভয়ে দিন-কাটানো এই অবৈধ বাংলাদেশিরা অনেকেই অভিযোগ করছেন, কথিত এজেন্টদের হাতে প্রতারিত হওয়াতেই তারা আজ অবধি দেশটির বৈধ শ্রমিকের স্বীকৃতি পাননি। বহুদিন মালয়েশিয়ায় থাকার পরও যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অভিবাসীরা স্ব-ইচ্ছায় দেশে ফিরতে পারেন। তবে জোরপূর্বক কাউকে দেশে ফেরানো যুক্তিসঙ্গত নয়। এক্ষেত্রে সরকারের সঠিক উদ্যোগ জরুরি।

এর আগে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য পরিচালিত রি-হিয়ারিং প্রোগ্রাম শেষ হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন। এরপর আরও এক মাস সময় বাড়িয়ে ৩০ আগস্টের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশে যাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল দেশটির সরকার। ইতোমধ্যে সেই সময়ও শেষ হয়ে গেছে।

   

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু গাছও উপড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

;

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিন বছর বয়সী শিশু সাদ বাবু ওই গ্রামের হাবিব-মৌসুমী দম্পতির একমাত্র ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকায় খেলতে খেলতে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিখোঁজ হয় শিশু সাদ্। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটির মা নিজেই তাদের বাড়ির পিছনে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।

;

লোভের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় একটি ভবনের ৫ম তলায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিস চালু করে কয়েকজন মিলে। সেই এনজিওতে সদস্য হয়ে ঋণ নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় অসহায়-নিরীহ নারীদের। গত ১ মাস ধরে এভাবেই বিভিন্ন প্রলোভনে জামানত ও সঞ্চয়ের নাম করে সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২৬ লাখ টাকারও বেশি। পরে ঋণ না পেয়ে ওই অফিসের দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে প্রতারণার ছক।

শনিবার (১৮ মে) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকার তারেক বিল্ডিংয়ের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন, মেহেদী হাসান সবুজ (৩৫) এবং মো. জাফরুল হাসান খান (২৮)। এরমধ্যে সবুজ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের হাওলাদার বাড়ির হালিম হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে বন্দর টিলা এলাকায় থাকেন তিনি। আর জাফরুল বাগেরহাট জেলার সরণখোলার চালিতাবুনিয়ার খান বাড়ির মো. আসলাম হোসেন খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি এনজিওর অফিস খুলে অভিযুক্তরা। গত এক মাস ধরে ওই এলাকার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও’র সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাদের আরো কয়েকজনকে সদস্য করার কথা বলে। পরে সদস্য হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে অভিযুক্তরা তাদের জানায়, এককালীন ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিলে সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার সঞ্চয় দিলে ২ লাখ টাকা ঋণ দিবে। এছাড়াও সদস্যদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিবিৎসা ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেয়। ভুক্তভোগীরা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জামানত দেয়। পরে তাদের একটি সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই দেয় অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বইতে কাজ আছে বলে নিয়ে যায় এবং জানায় ১৮ মে তাদের ঋণ দেওয়া হবে।

সেই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৮ মে (শনিবার) সকালে ওই এনজিও অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ঋণ দিবে বলে এ রকম অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ঋণের টাকা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান সবুজ এবং মো. জাফরুল হাসান খানকে আটক করে ভুক্তভোগীরা থানায় নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় আরো দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

পরে এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের কাছ থেকে সদস্য ফিসহ বিভিন্ন কারণে জামানত হিসাবে টাকা নেয়। পরে আটককৃতদের দেখানো মতে অফিস থেকে ১২৭টি সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বই এবং ৫৭৬টি সদস্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘প্রথমে অসহায়-নিরীহ মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো তারা (অভিযুক্ত)। পরে ঋণ দিবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে জামানত নিতো। এভাবে তারা বাদী ও বাদীর পরিচিত সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং আরো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে জামানত ও সঞ্চয়ের নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ওই এনজিওর সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সদস্যরা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরে সদস্যরা ওই এনজিও’র সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

;

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;