ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ

মামলা-জরিমানার হিড়িক, ফিরছে না শৃঙ্খলা



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ট্রাফিক সপ্তাহেও বিশৃঙ্খলভাবে চলছে গাড়িগুলো, ছবি: বার্তা২৪

ট্রাফিক সপ্তাহেও বিশৃঙ্খলভাবে চলছে গাড়িগুলো, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে আবারও শুরু হয়েছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ। ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ৭/৮ মাসের মধ্যে প্রায় আড়াই মাসই বিশেষ কার্যক্রম চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এ সময়ে বেড়েছে ট্রাফিক পুলিশের করা মামলার সংখ্যা। এতে আদায় হচ্ছে মোটা অঙ্কের জরিমানার অর্থ। কিন্তু আশানুরূপভাবে সড়কে ফিরছে না শৃঙ্খলা। রয়ে যাচ্ছে সড়কের নিয়মিত বিশৃঙ্খলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'স্থায়ী সমাধান ছাড়া শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ করা যাবে না।'

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়।এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ থেকে ১৪ আগস্ট বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ, ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাফিক সচেতনতা মাস, ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। তার ধারাবাহিকতায় এ বছরে ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ এবং সর্বশেষ (১৭-২৩) মার্চ ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/18/1552912772699.jpg

চলতি ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পুলিশ।এদিন ৭ হাজার ১০১টি মামলাও করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযানকালে ১২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৬৫১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

এর আগে জানুয়ারি মাসে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষের ১৫ দিনে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ৯৫ হাজার ৮৩৫টি মামলা দিয়েছিল পুলিশ। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি ৪০ হাজার ৭৫৩টি মামলা হয়েছে মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে।

ট্রাফিক পুলিশ সূত্র বলছে, 'এবারের শৃঙ্খলা পক্ষে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান, গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পদচারী-সেতু ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধ করা, মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে গাড়ি চালানো, স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামলে ব্যবস্থা নেওয়াসহ নানা কার্যক্রম চালানো হবে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/18/1552912801235.jpg

এত মামলা জরিমানা পরেও সড়কের নৈরাজ্য বন্ধে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই বলে মনে করছেন বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সমাধান ছাড়া সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। চালকদের প্রশিক্ষণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। শুধু সচেতনতামূলক কর্মসূচির বা ট্রাফিক সপ্তাহ, মামলা জরিমানা দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।'

সোমবার (১৮ মার্চ) সরেজমিনে কলেজ গেট, শ্যামলী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাস থেকে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা বন্ধ হয়নি। ডিএমপির চিহ্নিত করে দেওয়া বাস থামার জায়গাতে থামছে না বাসগুলো। চলাচলের সময় অধিকাংশ বাসের দরজা বন্ধও রাখা হচ্ছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/18/1552912832719.jpg

কারওয়ান বাজার এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্য মোসাব্বের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'পথচারী বা গাড়ি চালক কেউই কথা শুনতে চায় না। বলে বলে থামিয়ে রাখতে হয়। একটা যাত্রী দেখলেই, যে কোন জায়গায় চালকেরা বাস থামিয়ে দেন।'

এদিকে গতকাল ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ উদ্বোধন হয় কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার পাশে। একপাশে যখন পুলিশ কথা বলছেন, সে সময়েই উল্টোপাশে মোড় ঘুরতে গাড়ি গুলোর মধ্যে দেখা যায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা।

জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'রাজধানীর সড়কে শতভাগ শৃঙ্খলা ফিরেছে, এটি দাবি করব না। তবে আগের তুলনায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। পুলিশের ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলে জনগণের মধ্যে সচেতনতাও বেড়েছে। এটি চলমান রাখার জন্য ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ, পক্ষ করা হচ্ছে।'

অন্যদিকে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসেই ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

   

‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ সহজে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। ভূমিহীন পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন।

রোববার (১৯ মে) সকালে মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে।

এ সময় রোগীদের উদ্দেশে সংসদ সদস্য আরও বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়া শুধু আপনাদের কষ্ট নয়, আপনাদের পরিবারেও সমস্যা। মহান আল্লাহ আপনাদের মাফ করুক, রোগের কথা শুনলে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। তাই সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এমপি হিসেবে এসব রোগীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জামসেদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেসা, এমপি পত্মী দিশা আরেফিন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ১৫ লাখ টাকার চেকের সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৩০ জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন-আরসা গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ।

এসময় আরাসার সন্ত্রাসীদের সাথে এপিবিএনের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এপিবিএন এসময় ১৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পাল্টা গুলি ছুঁড়ে আরসা সদস্যরাও। গোলাগুলির ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, শনিবার (১৮ মে) রাতে ওই এলাকার ক্যাম্প-২০ এর পাহাড়ে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৪টি মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১টি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, ২টি লম্বা কিরিচ, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোসা, ২টি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ড গ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও ২টি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

অধিনায়ক ইকবাল জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ড গ্রেনেডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস্থ কাটা তার সংলগ্ন পাহাড়ের পেয়ারা বাগানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

;

‘অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার প্রবাসী কর্মীদের আরও উন্নত, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে সব অংশীজনদের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দি প্রজেক্ট লঞ্চিং এন্ড স্টেকহোল্ডার নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ফর দ্য রিইন্টিগেশন অব মাইগ্রান্ড ওয়ার্কার্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় পার্লামেন্টারি ককাস অব মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন তানভীর শাকিল জয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিনানি, আইলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টার তুমো পৌতিয়াইনেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানকে সর্বদা স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, আমরা তাদের (অভিবাসী কর্মী) থেকে অনেক কিছু নিয়েছি, এখন তাদের কিছু ফেরত দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা ও কাউন্সেলিং দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যাতে সমাজে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারে, চাকরি খুঁজে পায়, ব্যবসা শুরু করতে পারে এজন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

এ সকল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের দেশে এবং দেশের বাইরে উন্নত সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

;

রামপালে ভুল চিকিৎসায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রসূতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের রামপালে ল্যাবওয়ান ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসূতিকে ভুল চিকিৎসার কারণে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চুমকি মন্ডল (২৬) নামের এক প্রসূতি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের স্বামী কিংকর মন্ডল রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ০৫-০২-২০২৪ইং তারিখ উপজেলার হুড়কা সানবান্দ গ্রামের কিংকর মন্ডলের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা চুমকি মন্ডলকে ফয়লাহাটের ল্যাবওয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। একই দিন ওই ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ভুল সিজার অপারেশনের কারণে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায় অপারেশনের স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে পুরো সেলাই কেটে গিয়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্ট হয়। ওই সময় ল্যাবওয়ান কর্তৃপক্ষের কর্ণধার মো. সেকেন্দার আলীকে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তখন ভুক্তভোগী খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা অপারেশন করানোর কারণে তার স্ত্রীর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হতদরিদ্র ভ্যান চালক শেষ সম্বল বিক্রি করে, ধারদেনা করে ওই অভিযোগ দেয়া পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার টাকা খরচ করেন।

রামপাল থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরে প্রায় দেড়মাস গত হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে দাবী করেন ভুক্তভোগীর স্বামী কিংকর মন্ডল। এরপরেও তার আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশে ভুক্তোভোগী আরও কয়েকজন রোগীর স্বজনেরা জানান, তাদের অপারেশনের পরে প্রসূতিরা গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। তারা জীবনমৃত্যুর সাথে লড়াই করেছে। পরে তাদের জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছে ক্লিনিক মালিক সেকেন্দার আলী।

ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান, রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না, চিকিৎসার নামে অধিকহারে টাকা হাতিয়ে নেয়। বারবার ভুল চিকিৎসার পরেও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যান ল্যাবওয়ানের স্বত্বাধিকারী ওই সেকেন্দার আলী।

এ ব্যাপারে ল্যাবওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সেকেন্দার আলী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০টা রোগীর চিকিৎসা করলে ২/১টা রোগী একটু অসুস্থ হতেই পারে। যে রোগীর স্বজন অভিযোগ করেছেন, তারা সমস্যার কথা জানালে আমরা তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসতে বলেছি, কিন্তু তারা রোগীকে নিয়ে আসেনি। উল্টো তাকে বাড়ীতে রেখে হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। তারা অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হয়রানি করছে।

এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাশ জানান, ল্যাবওয়ান ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে বলে শুনেছি, আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

;