সাংবাদিক ভাওয়াইয়া রাজার মরদেহ উদ্ধার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক সফিউল আলম রাজা (ভাওয়াইয়া রাজা)/ ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক সফিউল আলম রাজা (ভাওয়াইয়া রাজা)/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে ভাওয়াইয়া শিল্পী সাংবাদিক সফিউল আলম রাজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ পল্লবী এলাকার গানের স্কুল কলতান সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে অনলাইন পত্রিকা প্রিয়.কম এর প্রধান প্রতিবেদকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মিরপুর সাড়ে ১১ পল্লবী এলাকার ঐ স্কুলটি তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানায়। তাৎক্ষণিক তার মৃত্যূর কারণ জানা যায়নি। তবে অনেকে ফেসবুক পোস্টে হৃদরোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। সাংবাদিক রাজার চেয়ে ভাওয়াইয়া রাজা হিসেবে তার অধিক খ্যাতি রয়েছে।

প্রিয়.কম এর প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে যোগদানের আগে সাংবাদিক ভাওয়াইয়া রাজা দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা যায়, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে এশিয়ান টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সফিউল আলম রাজা রাজধানীর পল্লবীতে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত ভাওয়াইয়া গানের স্কুলের একটি কক্ষে ফেরেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/17/1552827412435.jpg

পরদিন রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে গৃহপরিচারিকা কক্ষ ঝাড়ু দিতে আসেন। কক্ষের বাইরে থেকে দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে প্রিয়.কম জানিয়েছে, সফিউল আলম রাজার মরদেহ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংষ্কৃতিক সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সফিউল আলম রাজা। রংপুর অঞ্চলের জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া সংগীত প্রচারে পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গান ছিল তার ধ্যান ও জ্ঞান। যে কারণে সাংবাদিক রাজাকে ছাপিয়ে ভাওয়াইয়া রাজা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাজা এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। বড় মেয়ে সম্মান শ্রেণিতে ও ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত। মনোমলিন্যের কারণে দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে স্ত্রীর সঙ্গে। ছেলেমেয়ে মায়ের কাছেই থাকেন। মাঝে মাঝে এসে দেখা করে যেতেন বলে তার ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন।

 

   

চট্টগ্রামে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনও সবজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে সবজির দাম লাগাম ছাড়া। বৃষ্টির পর দাম কমার কথা থাকলেও এখনো তা আকাশচুম্বি। বৃষ্টিতে মাঠে কৃষকদের ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বাড়তি দরেই সবজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আর তাতে ৫০ টাকার কমে কাঁচা বাজারে লাউ-মিষ্টি কুমড়া ব্যতীত সচরাচর মিলছে না কোনও সবজি। এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, গরু ও খাসির মাংস।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার দরের এই চিত্র।

অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটোর। এরমধ্যে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ১২০-১৪০ টাকা, শসার দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা এবং ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ ৪০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা পিস, আলু ৬০, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৭০ টাকা কেজি, বরবটি, গাজর ও পেঁপে ৮০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, করলা ৬০ কেজি টাকা, কাকরল ১০০ টাকা কেজি এবং ফুলকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সবজির বাড়তি দরের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, 'প্রচণ্ড দাবদাহে সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। আবার কাঁচা মরিচ ও শসার মতো কিছু সবজির জোগান একেবারে কমে যাচ্ছে, তাই বাড়ছে দাম।'

এই বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়ৎদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, 'গরমে গাছসহ সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আবার স্থানীয় সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমস্যা হচ্ছে। এতদিন চকোরিয়ার কাঁচামরিচ আসতো, এখন আর আসছে না। ওইরকম অনেক সবজি উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে। তাই খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে আকার ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা লিটার, পাম তেল ১৩৪ টাকা লিটার, ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা কেজি এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গতকাল।

এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমেছে। নগরে ২৫ টাকা কমে ২০৫ এবং ২০ টাকা কমে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। এর বাইরে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯০০ এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আকার ভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, আকার ভেদে পাঙ্গাস ১৮০-২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

;

সরবরাহের অভাব নেই, তবুও বাড়তি সবজির দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্যাণপুরের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন কারওয়ান বাজারে এসেছেন সপ্তাহের বাজার করতে। সাধারণত ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি থাকে। সেই সাথে বাজারের চাহিদাকে মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু সরবরাহের অভাব না থাকলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে বাড়তি দাম আদায় করছেন বলে অভিযোগ আমজাদ হোসেনের।

শুক্রবার (১৭ মে ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাকভর্তি মাল নামিয়ে স্তুপ করে রাখা আছে রাস্তার ধারে। অথচ খুচরা বাজারে প্রবেশ করলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। খুচরা ব্যাবসায়ীদের দাবি প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য সরবরাহ হচ্ছে। তাই দাম একটু বেশি। অন্যদিকে ক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও খুচরা বাজারে তা হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ।


এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কেজি প্রতি ৭০ টাকা থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া আদা রসুনের দাম আগের দামের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ২৪০-২৮০ টাকা আর প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।

এদিকে শাকসবজির বাজারে দেখা যায়, পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। বাজারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে, ঢেড়স ৮০ টাকা কেজি, লেবু এক হালি ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, কাকরল ১০০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ১০০ টাকা কেজি, জালি কুমড়া ৬০ টাকা প্রতি পিস।

মাছ মাংসের বাজারেও একই চিত্র। গরুর মাংস আগের মতোই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি। ছাগল ও ভেড়ার মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২১০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা।


মাছের বাজারে কেজি প্রতি রুই মাছ আকারভেদে ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১,০০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৭০০ টাকা, রুপচাঁদা ১১০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, মৃগেল ৪০০ টাকা, বাটা মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা এবং বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বার্তা ২৪.কম কে জানান, 'সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার তার বাজার করতে হয়। একদিনে মূলত বাসার সকল বাজার তিনি কারওয়ান বাজার থেকেই করেন। তার অভিযোগ দোকানে সকল পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সবকিছুর দাম বাড়তি।'

এদিকে সবজি ব্যবসায়ী মাসুম জানায়, 'বাজারে অনেক শাক সবজি উঠছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় কম। তাই দাম একটু বেশি। মূলত গরমে উৎপাদন এবং আমদানি দুইটাই কম। তাই কাষ্টমারদের কাছে দাম বেশি মনে হয় সবসময়। '

;

লোকসভা নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হলো। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন জানিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন খেকে তিনি এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরী মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমন ও ষ্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫ টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোষ্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার দেখা গেছে।

;

সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শারাফাত হোসেন সিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত সাতক্ষীরা শহরের শাহিন আলমের ছেলে। তবে, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় সিফাত এবং তার মা আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় তার নানা মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে থাকতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা তাকে হাঁস-মুরগি ঘরে উঠেছে কিনা দেখতে বললে সে তা দেখতে যায়। এসময় মুরগির ঘরের পাশের চালা (গর্ত) থেকে একটি সাপ এসে তাকে দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

;