কর্ণফুলী দখলমুক্ত: ম্যাজিস্ট্রেট মুনীরের মতো দুঃসাহসিক অভিযান চাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান

কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্ণফুলী নদীতে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত উচ্ছেদ অভিযান। দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান না থাকায় কর্ণফুলীর নদীর তীরে শক্তিশালী হয়েছে দখলদারদের সিন্ডিকেট। এ অভিযান কতটুকু ফলপ্রসূ হবে এবং তা শেষ পর্যন্ত দখলদারদের উপর কিরূপ চাপ সৃষ্টি করবে, তা বন্দর নগরীর জনসাধারণ দেখতে চায়। চট্টগ্রামের প্রাণভোমরা কর্ণফুলী নদী রক্ষায় যে দু:সাহসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন চট্টগ্রাম বাসীর প্রিয় ম্যাজিস্ট্রেট মুনীর চৌধুরী, তা এখনো চট্টগ্রামবাসীর স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল।

বিশেষ করে পতেঙ্গা থেকে সল্ট গোলা হয়ে বাড়িক বিল্ডিং মোড়, মাঝির ঘাট, সদর ঘাট, ইয়াকুব নগর, ফিরিঙ্গি বাজার, চাকতাই, লালদিয়ার চর, কালুরঘাট পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার  এলাকায় মুনীর চৌধুরীর সাড়াশি অভিযানে ধ্বংস করা হয় চার হাজার অবৈধ স্থাপনা। উদ্ধার  করা হয় কর্ণফুলী নদী তীরবর্তীসহ প্রায় ২হাজার কোটি টাকার ১২৫ একর বন্দরের মূল্যবান ভূমি। তাঁর অভিযান থেকে রেহাই পায়নি সাকা চৌধুরীর অবৈধ দখলকৃত ভূমি। এমনকি তদানীন্তন মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পতেঙ্গার কাছে কর্ণফুলী তীর দখল করা অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করা হয়। কালুরঘাট এবং শিকলবাহা এলাকায় বন্দরের দু’তীর ঘেষে গড়ে তোলা অবৈধ ডকইয়ার্ড ধ্বংস করে দেয়া হয়।

বন্দরের ৩নং জেটি এলাকা থেকে বিশাল ভবন উচ্ছেদ করে ডক জাহাঙ্গীরের দখল থেকে উদ্ধার  করা হয় ৪৪ কাঠা মূল্যবান ভূমি। নিউমুরিং এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হয় ডক সিরাজের ২৫ একরের অপরাধ সাম্রাজ্য, উদ্ধার করা হয় বন্দরের শতকোটি টাকার ভূমি।

মুনীর চৌধুরীর অভিযান থেকে রক্ষা পায়নি বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের অবৈধ দখলদাররা। সেসময়ে তাঁর উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে প্রবল রাজনৈতিক চাপ এবং হুমকি আসলেও একদিনের জন্যও তাঁর অভিযান বন্ধ হয়নি। বন্দরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্বাস করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ১২৪ বছরের ইতিহাসে মুনীর চৌধুরীর সময়কালের মতো উচ্ছেদ অভিযান আর কখনো হয়নি। একটি ঘটনা তার বড় প্রমাণ।

২০০৬ সালে লালদিয়ার চর উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় পাঁচ হাজার দখলদার ও বাসিন্দাদের আক্রমণের মুখে পুলিশ বিতাড়িত হয়ে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট মুনীর মাত্র সাতজন আনসার সদস্যকে নিয়ে ১৩৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমিটি উদ্ধার  করেন, যেখানে আজ গড়ে উঠেছে শতকোটি টাকার আইসিডি টার্মিনাল, যা থেকে বন্দর পাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব । 

এছাড়া বর্তমানে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের যে বিশাল স্থাপনা, তাও ছিল বেদখলে। এখানেও শক্তিশালী দখলদারদের উচ্ছেদ করে মুনীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের পথ উন্মুক্ত করেন। এমনকি রেল বাহিনী কে হটিয়ে  রেলওয়ের ৪৫বছরের দখল থেকেও মুক্ত করেন দেড়শ কোটি টাকার জমি। দিন-রাত রাডারের মতো সক্রিয় থেকে ম্যাজিস্ট্রেট মুনীর কর্ণফুলী নদীকে পাহারা দিয়ে রাখতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা  রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে বুলডোজার আর ক্রেন দিয়ে উপড়ে ফেলেছেন শত শত অবৈধ ভবন ও স্থাপনা।    এমনকি নদী দূষণের ঘটনাও শক্ত হাতে দমন করেছেন। সহস্রাধিক  দেশি-বিদেশী জাহাজকে আটক করে কোটি কোটি টাকা জরিমানা করেছেন এবং দূষণ বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর বদলির দীর্ঘদিন  পরও কর্ণফুলীর দখল এত বেপরোয়া রূপ পায়নি। গত তিন/চার বছরে চাকতাই এলাকায় তা প্রকট রূপ নিয়েছে। অথচ বন্দরে ম্যাজিস্ট্রেট আছে, এস্টেট বিভাগ আছে। কিন্তু অভিযানের চিহ্ন নেই।

ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কর্ণফুলী নদী রক্ষার এ উদ্যোগ কে চট্টগ্রাম বাসী স্বাগত জানাচ্ছে। প্রত্যাশা করছে, মুনীর চৌধুরীর সততা, সাহস ও আপোষহীন মনোভাব নিয়ে যেন অভিযান বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রাপ্তরা কাজ করে যান। মাঝপথে অভিযান যেন থেমে না যায় ।

   

লোকসভা নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হলো। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন জানিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন খেকে তিনি এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরী মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমন ও ষ্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫ টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোষ্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার দেখা গেছে।

;

সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শারাফাত হোসেন সিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত সাতক্ষীরা শহরের শাহিন আলমের ছেলে। তবে, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় সিফাত এবং তার মা আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় তার নানা মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে থাকতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা তাকে হাঁস-মুরগি ঘরে উঠেছে কিনা দেখতে বললে সে তা দেখতে যায়। এসময় মুরগির ঘরের পাশের চালা (গর্ত) থেকে একটি সাপ এসে তাকে দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

;

ঢাকার বাতাস আজও খুব 'অস্বাস্থ্যকর'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। যদিও সবচেয়ে বেশি দূষণ কঙ্গোর কিনশাসা শহরের বাতাসে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চিয়াং মাই। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৭২। আর ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে জার্মানির শহর মিউনিখ ও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৫৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

নীলফামারীতে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অমিচা বেওয়া (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১৬মে) তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃদ্ধ উপজেলার কালিকাপুর হাজি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে পেট ব্যথাজনিত রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তার প্রচণ্ড পেট ব্যথা উঠলে সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে উদ্ধার করে। 

থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। 

;