একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স



আমিনুল ইসলাম খন্দকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি সেই সাথে যুক্ত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই প্রয়োজন অতিরিক্ত চিকিৎসকের। ৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও হাসপাতালে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। প্রতিদিন প্রায় ৬০-৬৫ জন বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছে, এই সপ্তাহে প্রায় সবসময় ১৫ জনের মত ভর্তি রোগী ছিলো হাসপাতালটিতে।

ডাক্টার মোহাম্মদ মোস্তফা রুবেল নামের ওই কর্মকর্তাকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একা সেবা দিতে গিয়ে নিজেও শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্লান্ত। এই চিত্র বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আরো অধিকতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ১০ শয্যাবিশিষ্ট রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করে সরকার। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ওষুধসহ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দারা। এতে করে এই এলাকার মানুষজন সেবা পেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

এই উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলিয়ে ৭ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। যার মধ্যে শূণ্য পদ রয়েছে ২ টি। কিন্তু বাকী ৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন শুধুমাত্র ১ জন। বাকী ৪ জন বিভিন্ন সুবিধাজনক জায়গায় প্রেষণে কাজ করছেন।

সর্বশেষ প্রেষণে যাওয়া রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্টার গুনিজন চৌধুরির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি ৪ বছর যাবৎ পার্বত্য এলাকায় কাজ করেছি, যার মধ্যে ২ বছর রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলাম। দূর্গম এলাকা হওয়ায় এই কর্মস্থল ও এলাকায় প্রতি আমার অনেক টান আছে আরো ১ মাস আগেই আমার ট্রেনিং পোস্টের কারনে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যোগাদান করার কথা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে ও পরিস্থিতি বিবেচনায় যাওয়া হয়নি। আমি রিলিজ নিয়ে আসার সময় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলে এসেছি দূর্গম এলাকা হিসেবে এই হাসপাতালে অন্তত ৩ জন চিকিৎসক নিয়মিত রাখার ব্যবস্থা করতে।

বর্তমানে কর্মরত উপজেলার মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোস্তফা রুবেল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তিনি নিজে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবেন। তাছাড়া এই বিষয়ে আর বিস্তারিত কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ৪ জন ডাক্তার প্রেষণে আছেন। আরও একজন চলে যাচ্ছেন। সর্বশেষ একজন থাকছেন ডাক্তার। আমি সিভিল সার্জনকে বলেছি বিষয়টি। তবে আরেকজন ডাক্তার বান্দরবান সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন, দুই তিনদিনের মধ্যেই তাকে সেখানে থেকে সংযুক্তি বাদ দিয়ে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেরত আনা হবে। তাহলে রুমায় দু'জনই থাকবেন ডাক্তার। তবে ৫ জন ডাক্তার সবসময় থাকলে সঠিকভাবে সেবা প্রদান করা যাবে।

   

ঈদের দিন মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেলো দুই কিশোরের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে রাইস মিলের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার দামদি গ্রামে আমিনুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (১৬) ও একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আশিক (১৭)।

সোমবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকা এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের নামাজের পর রনি ও আশিক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের কাদির মিলের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত আশিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আশিকের মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রনির মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। আশিকের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

;

বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে চরম নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আড়তদাররা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে পানির দামে চামড়া কিনছেন। রংপুরের পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে, রিকশা-ভ্যানে করে শত শত চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি ও চামড়া ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি পিস চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও আড়তদাররা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

পশুর চামড়া বিক্রির ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কোনও তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও নগরবাসীর। ফলে মানুষকে জিম্মি করে সরকারনির্ধারিত মূল্যে বর্গফুট হিসেবে চামড়া না কিনে গড়পড়তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছে তারা (সিন্ডিকেট)।

রংপুর নগরীর হাজিরহাট থেকে ১শ ২০টি চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর মালেক জানান, প্রতিবর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্চা দিতে হবে।

অন্যদিকে, রংপুর নগরীর স্টেশন এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জামাল ও দর্শনা এলাকার সাজ্জাদুল ইসলাম জানালেন, তারা ৫০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন কিন্তু আসল টাকা দামও বলছেন না আড়তদাররা। রংপুরের চামড়ার আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে নিজেদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছেন। চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির কথা বলা হলেও তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান চেম্বার প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেছেন, কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে সাধারণ বিক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছেন। সরকার ফুট হিসেবে দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা তা মানছেন না।

এদিকে, রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবার রংপুর মহানগরীসহ পুরো জেলাতে দুই লাখেরও বেশি গরু কোরবানি হয়েছে। খাসি হয়েছে প্রায় লাখেরও কাছাকাছি।

;

ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না দুই সহোদরের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের ছেলে রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান (৪৫)। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিউল খান ও হুমায়ুন খান ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা তিনজন মিলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

ট্যানারিতে ঢুকতে শুরু করেছে কাঁচা চামড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকেই ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ট্যানারিতে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। আগামী এক দিন লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে এখানে। এরপর প্রায় মাসজুড়েই লবণ মাখানো কাঁচা সংগ্রহ করা হবে।

সরকার ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি পশুর চামড়ার দাম বেঁধে দেয়। এ অনুযায়ী, এবার ঢাকার মধ্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিপিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,০০০ টাকা।

কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে ও চামড়া নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চামড়ার দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


ঢাকার কদমতলীর মেরাজনগর মাদরাসা মো. বাহারুল হক বলেন, দুটি ট্রাকে করে এক হাজারের বেশি চামড়া নিয়ে এসেছি। আসার পথে আমিনবাজারে সমস্যা হয়েছিল। একটি দল গাড়ি থামিয়ে চাঁদা চেয়েছিল। তবে চামড়া ট্যানারিতে দিব বলে সেখানে বিক্রি করিনি। পরে ট্যানারিতে নিয়ে আসি। বাজারমূল্য হিসেবে যে দাম, সেই হিসেবে দাম পেয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা থেকে ৬০০টির বেশি চামড়া নিয়ে এসেছেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মোটামুটি দাম পাচ্ছি। আর কোথাও যাচাই করিনি। সড়কে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে অবস্থিত আজমির লেদারের মালিক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এখানে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া ঢুকছে। এগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে অন্তত দুই আড়াই মাস রাখা যাবে। আমরা সরাসরি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনছি। আগেই কথা বলা ছিল। সেগুলোই নিচ্ছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, লবণ যুক্ত চামড়া ১২০০ টাকা করে। লবণ মাখাতে ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই খরচ বাদ দিয়ে কাঁচা চামড়া কেনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুপুরের দিক থেকেই চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

চামড়া শিল্পনগরীর প্রস্তুতির বিষয়ে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, দুপুর থেকে এরমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি কাঁচা চামড়া ট্যানারিতে ঢুকেছে। এ বছর আমাদের ছয় লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি আজ ও আগামীকাল আরও চামড়া ঢুকবে। এ পর্যন্ত চামড়া পরিবহনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। আমাদের টিম কাজ করছে।

;