ঘূর্ণিঝড় 'রেমালে'র প্রভাবে উপকূলের বাঁধে ভাঙন আতঙ্ক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলে বইছে জড়ো হাওয়া। বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। এ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রাসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়লে নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট এই তিন জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে (সাইক্লোন শেল্টারে) নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খুলনা জেলার ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়রা মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ মঠেরকোনা মঠবাড়ি দশহালিয়ায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাববুনিয়া বেড়িবাঁধের মতো মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে গোবরা, হরিণখোলা-ঘাটাখালী, মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ, দশহালিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ শিকারী জানান, আগে বাঁধের নিচে ৬০ ফুট পর্যন্ত চওড়া ছিল। ঢালের মতো বাঁধের ওপরের অংশে ছিল ১০-১২ ফুট। এখন ঠিকাদার-ওয়াপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাঁধের নিচের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ওপরে সংস্কার করা হয়। এতে বাঁধের ওপরে ১০-১২ ফুট ঠিক থাকলেও নিচের দিকে মাটি কমে যাওয়ায় বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে বাঁধ সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই পানির তোড়ে সহজে বাঁধ ভেঙে যায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপকূলে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার পর সুন্দরবন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড- বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনায় বাঁধ মেরামত ও টেকসই করতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যায়নি কোথাও। তবে আজ সকাল থেকে কিছু মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আবিয়ার রহমান জানান, এ অঞ্চলে সাধারণত জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। পানি বাড়লে ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকলে তারা মালামাল সরিয়ে উঁচু স্থানে রাখতে পারেন। এছাড়া এ এলাকার অনেক মানুষ মনে করেন যে, অনেক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসবে বললেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে এবারও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

   

নিরব ঢাকায় সরব পুলিশ, দায়িত্বের মাঝেই ঈদের আনন্দ



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। কর্মব্যস্ত রাজধানী ছেড়ে অনেকেই ছুটে গেছেন নাড়ির টানে আপন ঠিকানায়। ফলে রাজধানীজুড়ে নেমে এসেছে নিরবতা। নেই আগের মতো কর্ম ব্যস্ততা। আর এই নিরব ঢাকার নিরাপত্তা ও সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা।

সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। থানা পুলিশের মতো সমান তালে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। যদিও আগের সেই ব্যস্ততা নেই। তবে ফাঁকা সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখছে ট্রাফিক পুলিশ।

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবু সালেক।

এই ঈদ নিয়ে টানা তৃতীয় ঈদ কাটছে পরিবারের বাইরে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই নিয়ে তৃতীয় ঈদ, ছুটি পাইনি। এমন কি পায়ে ব্যথা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ট্রেনিংয়ে থাকায় ঈদের ছুটিতে যেতে পারিনি। আর শেষ সময়ে ছুটি পেলেও টিকিট না পাওয়ায় বাড়িতে যেতে পারিনি। কারণ আগে থেকে ছুটি দেওয়ার ঘোষণা আসে না। ফলে শেষ সময়ে এসে ছুটি পেলেও সেটা আর নেওয়ার উপায় থাকে না। আমাদের তো নিজস্ব গাড়ি নেই। বাস ট্রেনের টিকিট না পেলে তো যাওয়ার উপায় থাকে না। আবার মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি আছে।


তিনি আরও বলেন, ট্রেনিং করতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। ঈদের ছুটি শেষ না হলে নতুন ছুটিতেও যেতে পারবে না। শুধু আমি না, যে কেউ অসুস্থ হলে তাকেও দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে। এটাই পুলিশের দায়িত্ব। আমাদের সব সময় দায়িত্বের মাঝে থাকতে হয়। এতেই আমাদের ঈদের আনন্দ।

পরিবারের জন্য মন খারাপ হলেও দায়িত্বের মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেন ট্রাফিক কনস্টেবল লুৎফর রহমান।

তিনি বলেন, বাবা-মা বেঁচে নেই। স্ত্রী ও তিন সন্তান ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিজ বাড়িতে থাকে। গত ঈদে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই নিয়ম অনুযায়ী এবার ছুটি পাবো না। পরিবারের জন্য মন খারাপ হলেও কাজের মাঝেই আনন্দে আছি। সবার ছুটে চলা দেখার মাঝেই আমাদের আনন্দ।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির দায়িত্বরত প্রত্যেক সদস্যের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছেন। ঈদের দিন দুপুরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পোলাও, মাংস, ফিরনি, কোমল পানীয় সরবরাহ করা হয়েছে।

;

পশু কোরবানি দিতে গিয়ে ঢামেকে ৯৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে ঈদুল আজহা। ঈদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত, গরুর লাথি এবং মাংস কাটতে গিয়ে ৯৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর সাড়ে বারোটার টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. আমান।

তিনি বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় আমাদের এখানে ৯৪ জন এসেছে। আহতদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে সেলাই এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ডেমরার সারুলিয়া থেকে গরুর শিংয়ের আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. বাবুল (৫৫) নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে ১০২ নং ওয়ার্ডের ভর্তি দেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত অবস্থায় ৯৪ জন জরুরি বিভাগে এলে হাসপাতালের জরুরিভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

;

বগুড়ায় ভটভটি উল্টে স্কুলছাত্র নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার আদমদিঘীতে বাবার সঙ্গে কোরবানির গরু আনতে গিয়ে ভটভটি উল্টে আহোনা আবিদ দোহা (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল ৭ টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে আদমদীঘি থানার বাবলা তলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দোহা আদমদিঘী থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের সাইদুজ্জামান তোতার ছেলে এবং নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, সাইদুজ্জামান তোতা তার ছেলেকে সাথে নিয়ে খামারে রেখে আসা কোরবানির গরু আনতে ভটভটি যোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাবলাতলা নামক স্থানে মোড় ঘোরার সময় ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ভটভটির নিচে চাপা পড়ে সাইদুজ্জামান ও তার ছেলে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে আদমদিঘী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দোহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ভটভটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের

পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিকে অভিনন্দন জানিয়ে শান্তির পক্ষে কাজ আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নতুন করে পুনর্গঠিত হয়েছে তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির পক্ষে তারা কাজ করবে। অতীতের মতো সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে দেশ গড়ার কাজে সরকারকে সহায়তা করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে মানুষের মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা আশা করি, সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেন।

নামাজ শেষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মাহবুবউল আলম হানিফ।

;