গাইবান্ধার ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ১৩৯টি উপজেলার সাথে গাইবান্ধার দুটি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু সাঈদ। তিনি ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১ টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মুত্তালিব।

এদিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬০টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটারের মধ্যে ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে আবু সাঈদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট এবং জিএম সেলিম পারভেজ ঘোড়া প্রতীকে পান ১৩ হাজার ৭৬ ভোট।

এছাড়া ১২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল বিন ওয়াহেদ ফিরোজ (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সাত্তার (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৯০৫ ভোট।

অপরদিকে, ১৮ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে সংরক্ষিত আসনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম (হাঁস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাপিয়া পারভিন (প্রজাপতি) পেয়েছেন ১২ হাজার ৭০৬ ভোট।

এরআগে, ভোট চলাকালীন সময়ের দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আবু সাঈদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ ভোট কারচুপি, এজেন্টদের মারধর, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট এবং স্থানীয় সাংসদ তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আর্থিক সুবিধা ও হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ এবং এ সকল বিষয় একাধিকবার নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

জিএম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা আ.লীগের এবং সদ্য সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

এদিকে, গাইবান্ধায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া অপর উপজেলা সাঘাটায় চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।

গত ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারপত্র দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল। ফলে নির্বাচনের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিশ্চিত হন অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু। পরদিন ২৩ এপ্রিল দুপুরের অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ফলে নির্বাচনে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন ভোটারের মধ্যে ২৭ হাজার ৪৩২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে ৮ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোস্তম আলী (গ্যাস সিলিন্ডার)। তিনি জুমারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মিলন সরকার (বই প্রতীক) পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৩ ভোট।

এছাড়া ১৭ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রওশন আরা বেগম (প্রজাপতি )। তিনি পদুমশহর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজনীন বেগম (হাঁস) পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬০ ভোট।

   

এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে বাধ্যতামূলক এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ফরম পূরণের সাথে হোম ভিজিটের নামে অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ।

জানা যায়, চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী বিষয়ে এবং চর্তুথ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু এ কলেজে সুকৌশলে নির্ধারিত ফি নেওয়ার পরও বিবিধ নাম দিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আরও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

এ বছর ওই কলেজ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে অতিরিক্ত বিবিধ নাম দিয়ে কিভাবে টাকা নিচ্ছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান। তিনি দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের হোম ভিজিট বাবদ ২০০০ টাকা,পরীক্ষায় পাস করার পর প্রশংসাপত্রসহ সনদের জন্য ১০০০ টাকা ও বাকি টাকা নতুন বিল্ডিং নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে নেয়া হচ্ছে ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, 'কলেজ থেকে এইচএসসি ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও হোম ভিজিটের নামে অতিরিক্ত টাকা রশিদের মাধ্যমে নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কষ্ট হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত টাকা রশিদের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্তু টাকাগুলো কোন খাতে কত টাকা আমাদের বলা হয়নি। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিভাবকরা ।'

জানতে চাইলে পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান জানান, 'এটি প্রাইভেট কলেজ। এখানে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। বিবিধ নামে যে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেগুলো হোম ভিজিট, প্রশংসাপত্র ও কলেজ উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।'

এদিকে পলাশ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার জানান, 'নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরণের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। আর হোম ভিজিটের নামে টাকা আদায় করারও কোন বিধান নাই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

;

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

;

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে গিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) জানানো হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে স্বজনেরা উদ্বিগ্ন।

আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান।

মুমতারিন ফেরদৌস ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন।

ডিবি মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ভারতে একটি বাংলাদেশি মুঠোফোন ও একটি ভারতীয় মুঠোফোন ব্যবহার করেন। নম্বর দুটি কখনো বন্ধ আবার কখনো খোলা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। আনোয়ারুল আজিমের কী হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।’

আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তবে ১৬ মে সংসদ সদস্যের মুঠোফোন থেকে আবদুর রউফের কাছে ফোন আসে। তিনি ফোন ধরতে পারেননি। পরে আবার তিনি ফোন করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পান। এর পর থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তিনি।

;

র‍্যাব হেফাজতে মৃত্যু, নান্দাইল থানার এসআই প্রত্যাহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাব হেফাজতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে নান্দাইল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) রাতে নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নান্দাইলে গৃহবধূ রেখা আক্তার (২০) মৃত্যু মামলার আসামি তার শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই নাজমুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নান্দাইল মডেল থানায় ডেকে নেন এসআই নাজমুল। সেখানে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কিছুক্ষণ পরে তাদের ছেড়ে দেন। থানার সামনে আসতেই র‍্যাবের একটি দল আজিজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এর পর শুক্রবার সকালে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করে।

এ মৃত্যুর ঘটনায় সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম র‍্যাবের হেফাজতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন শনিবার দুপুরে সুরাইয়া খাতুনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামে।

নান্দাইল মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসআই নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন। এর চাইতে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শামীম হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন, কাজের প্রতি তার আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই, তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

;