উল্টে গেছে দিন-রাত, পাল্টায়নি জীবন

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমি এক যাযাবর।
পৃথিবী আমাকে আপন করেছে, ভুলেছি নিজের ঘর।
আমি এক যাযাবর।
আমি এক যাযাবর।
আমি গঙ্গার থেকে মিসিসিপি হয়ে ভল্গার রূপ দেখেছি।
অটোয়ার থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে প্যারিসের ধুলো মেখেছি।’

ভূপেন হাজারিকার গানের কথাগুলোর মতোই যেন কায়িক শ্রমিকদের জীবন। যারা ঘরের মায়া ছেড়ে পরিবার থেকে দূরে এসে দুমুঠো খাবারের সন্ধানে রাতকে করেছেন দিন। আর দিন করেছেন রাত। তবে শ্রমের গ্যাড়াকলে দিন-রাতের হিসেবটা পাল্টে গেলেও পাল্টায়নি এসব শ্রমজীবীর মানুষের জীবন। দিন-রাত খেটে মরলেও হয়নি সামান্য উন্নয়নের ভাগিদার।

বলা হচ্ছে- বালু ও কয়লা শ্রমিকদের কথা। ভূপেন হাজারিকার গানে প্যারিসের ধুলো মাখার কথা বলা হলেও এসব মানুষের কপালে জুটেছে গাবতলী ও আমিন বাজারের সংলগ্ন তুরাগ নদীতে গড়ে ওঠা কয়লা ও বালি ব্যবসার ধুলো। পরিশ্রমী এসব মানুষের শরীরের ঘামে কয়লা-বালির ব্যবসায় এসেছে প্রসরতা। যার সুবিধা ভোগ করছে বিত্তশালীরা। অন্যদিকে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানো’র মতো শ্রমিকদের অবস্থা।

তুরাগে সরজমিনে দেখা যায়, বাঁশ-পলিথিনের তৈরি অসংখ্য খুপড়ি ঘর। বেলা বেড়ে দুপুর গড়ালেও সেখানে প্রতিটি ঘরে শুয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শ্রমিকরা। কারণ এরাই রাতকে দিন বানিয়ে ভাগ্য বদলানোর বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।


তাদের মধ্যে মো. রানা হোসেন। আমিন বাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে কাজ করেন। স্ত্রী ও ছেলে মিলিয়ে তিনজনের সংসার। বাবা-মা থাকেন গ্রামে। পরিবারের একটু সচ্ছলতার জন্য রাতে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি দিনের অর্ধবেলা ঘুমিয়ে বাকি অর্ধ বেলা করেন পানের দোকানদারি। আর নারী শ্রমিকরা করেন বিভিন্ন দোকানে পানি বয়ে দেওয়ার কাজ।

রানা হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, দিন দিন খরচ বাড়ছে। সবকিছুর দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের ইনকাম বাড়ছে না। এখন সবকিছুর যে দাম সারাদিন ইনকাম করেও একদিনের খরচ জোগানো অসম্ভব। বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হয়। আবার নিজেদেরও বিভিন্ন খরচ থাকে। এই খরচ জোগার করতেই সারা রাত ঘাটে মাল আনলোডের কাজ করি। দিনের বেলা অধিকাংশ সময় ঘুমাই। আবার ঘুম থেকে উঠে একটা পানের দোকান আছে সেখানে বসি। বউও কাজ করে। বিভিন্ন দোকানে পানি টেনে দিয়ে সামান্য কিছু ইনকাম হয়। দুইজনের এই ইনকামের টাকায় সংসার চলে।

ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন আবির আহমেদ। প্রায় ৫ বছর ধরে কয়লা-বালি লোড আনলোডের কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে মা-বাবাসহ ৫ জনের পরিবার। আব্বা অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করেন। খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে না। আমি কাজ করে যে টাকা পাঠায় সেই টাকায় সংসার চলে। আমরা রাতের বেলা কাজ করি। রাতে এখান থেকে গাড়ি লোড হয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বালি পাঠানো হয়। তাছাড়া জাহাজ আসলে সেগুলো আনলোডও করতে হয়। সারা রাত জেগে কাজ করি আর দিনের বেলা অধিকাংশ সময় ঘুমা্ই।


আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ভোর থেকে কাজ শুরু করি। যতক্ষণ ক্লান্তি না আসে ততক্ষণ কাজ করতে থাকি। কাজ করলে টাকা পায়। না করলে না খেয়ে থাকতে হয়। আমাদের টালি গুণে টাকা দেয়।

শ্রমিকরা জানান, ৮ ঝুড়ি বালি টানলে ২০ টাকা পাওয়া যায়। আবার কোন সময় ৬ ঝুড়ি বালি টানলেও ২০ টাকা পান তারা। সারাদিন বালি টেনে যতগুলো ‘টালি’ হয় দিনশেষে সেই টালি গুণে টাকার হিসাব হয়। এই শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই, তেমনি কাজের সময়ও নির্ধারিত না।

‘কর্মক্ষেত্রে দিন ও রাতের কাজের আলাদা মজুরি হওয়া উচিত’ বলে মনে করেন বাংলাদেশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি (সম্পাদক নির্বাহী পরিষদ, বিলস) আবুল কালাম আজাদ। ‘দিনে এবং রাতে কাজের মজুরি পার্থক্য হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা দেয়া হয় না। এটা শোষণের আরেকটি নমুনা’- বলেন আজাদ।

‘দেশের প্রচলিত শ্রম আইন হচ্ছে, রাতে যাদের কাজ করানো হবে তাকে কোন ভাবে তার অনুমতি ছাড়া কাজ করাতে পারবে না। আর যদি রাতে কাজ করাতে হয় তাহলে তাকে ওভারটাইম হিসেবে মজুরি দিতে হয়। তার মানে আপনি দিনে ৮ ঘণ্টার কাজে যে মজুরি পান রাতে কাজ করলে সেই মজুরির দ্বিগুণ দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানের কোন শ্রমিকদের দ্বিগুন মজুরি দেয়া হয় না।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটা মানুষের দিনের ঘুম আর রাতের ঘুমের পার্থক্য আছে। একজন শ্রমিকের ভালো থাকতে সুস্থ্য থাকতে রাতের ঘুম দরকার। কিন্তু সেটা তো আর হয় না। তাই রাতে কাজ করা শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি অবশ্যই দেয়া উচিত। আমার ধারণা মালিকপক্ষ সেটা করেন না। ফলে নিরুপায় হয়ে শ্রমিকরা এই মজুরিতে কাজ করেন।

   

উপজেলা নির্বাচন: কালিয়াকৈরে সেলিম, শ্রীপুরে দুর্জয়ের বিজয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।

নির্বাচনে কালিয়াকৈর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আজাদ ও শ্রীপুরে বিজয়ী হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাই জামিল হাসান দুর্জয়।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গাজীপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ আজাদ মোটারসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেরম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: কামাল উদ্দিন সিকদার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬২ হাজার ৩০৪ ভোট।

অপরদিকে, শ্রীপুর উপজেলায় ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বি, মো: আব্দুল জলিল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫৩২ ভোট। জামিল হাসান দুর্জয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এড. রহমত আলীর ছেলে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির বড় ভাই।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

সিলেটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৩টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টা চলে ভোটগ্রহণ। পরবর্তীতে স্ব স্ব উপজেলায় ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ৯জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তিন উপজেলায় তিনটি পদে ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন।

তিন উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন-

জৈন্তাপুর

সিলেটের জৈন্তাপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল গফফার । তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪হাজার ১০ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন সাহাদ উদ্দিন। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ২৩ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা কবির আহমদ। তিনি চশমা প্রতীকে ১৫ হাজার ১৪২ ভোট পেয়েছেন।

মহিরা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা.সুনারা বেগম।তিনি কলস প্রতীকে ২৭ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা.পারভীন আক্তার।তিনি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫হাজার ৭৪২ভোট।


গোয়াইনঘাট উপজেলা

গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত (কোষাধ্যক্ষ) শাহ আলম স্বপন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৬৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুবউদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭হাজার ৭০০ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খোদেজা রহিম কলি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৬৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মরিয়ম বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১২৫ ভোট।

কোম্পানীগঞ্জ

কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ শামীম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২হাজার ২১৩ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো.লাল মিয়া। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ১২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.ইকবাল হোসেন। তিনি মাইক১৮ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আয়শা বেগম। তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিরন জাহান হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১২হাজার ৪৩২ ভোট।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

মোহাম্মদপুরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কিশোর গ্যাং লিডার আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রায়েরবাজারের বোর্ডবাজার এলাকা থেকে ফরহাদ নামে এক কিশোর গ্যাং লিডারকে আটক করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত আটটার দিকে তাকে আটক করা হয়। তবে তাকে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা নানাভাবে তদবির করছেন। এই ফরহাদ সাবেক এক কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

বিষয়টি ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মিজানুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। আমি এখন বাহিরে। থানায় ফিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ তবে সেই যুবক কোন সাবেক কাউন্সিলের লোক জানি না। কেউ কোনো সুপারিশ করছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী বেগী নামে এক মহিলাকে আটক করতে যান। এসময় তাকে ছিনিয়ে নিতে ওই এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার ফরহাদ ও ল্যাংড়া হাসানসহ বেশ কয়েকজন বাধা দেয়। পরে পুলিশ তাদের মধ্যে ফরহাদকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

আরও জানা গেছে, তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে শাহ আলম জীবন নামে এক যুবলীগ নেতা থানায় বসে আছেন। সাবেক এক কাউন্সিলর কিশোর গ্যাংয়ের এই লিডারকে ছাড়াতে জোর তদবীর করছে।

এসি মিজান আরও বলেন, আমরা কিশোর গ্যাং নির্মুলে কাজ করছি। ফরহাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

গাংনীতে ফের চেয়ারম্যান খালেক, বাকি পদে নতুন মুখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। ৫ হাজার ৪৩০ ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এসেছে নতুন মুখ।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারি রির্টার্নিং কর্মকর্তা।

চেয়ারম্যান পদে এমএ খালেক আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট। অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জুয়েল (ঘোড়া) ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট এবং বিএনপির বহিস্কৃত নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো (কৈ মাছ) ৪ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ফারুক হাসান। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি ৪৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দেলোয়ার হোসেন মিঠু (তালা) প্রতীকে ৩২ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন নাছিমা খাতুন। ফুটবল প্রতীকে তিনি ৩৫ হাজার ৪০৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন (হাঁস) ৩২ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়েছেন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;