‘আমরা বিক্রি না হলে বউ-বাচ্চার পেটে ভাত জোটে না’

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
‘আমরা বিক্রি না হলে বউ-বাচ্চার পেটে ভাত জোটে না’, ছবি: ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

‘আমরা বিক্রি না হলে বউ-বাচ্চার পেটে ভাত জোটে না’, ছবি: ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে সবে। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের আধুনিক চক সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাত ভরে উঠেছে মানুষের আনাগোণায়। সংখ্যায় ওরা ২০০-২৫০ জন। তাঁদের পরিচয় শ্রমিক, আরও স্পষ্ট করে বললে দিনমজুর। কেউ নির্মাণ-শ্রমিক, কেউ আসবাবের কাজ করেন, কেউবা করেন বাসা-বাড়ির মালামাল উঠানামা।

কেউ এলেই বসা থেকে এক দৌড়ে ঘিরে ধরে শ্রমিকের দল, আর অক্লান্ত গলায় হাঁক ছাড়তে থাকেন, ‘ভাই/স্যার আমাকে কিনেন…!’ মে দিবসের দুদিন আগে গত সোমবার ভোরের চিত্র এটি। তবে শুধু এইদিন নয়, মানুষ বিক্রির এই হাট বসে প্রতিদিনই। এভাবেই চলে আসছে অন্তত ৫০ বছর ধরে।

‘ঘরে ছয় ছেলে মেয়ে আর আমি ও আমার স্ত্রী। এই সময়ে আটজনের সংসারের ঘানি টানা কত কষ্টের বুঝতেই তো পারছেন। ভোর হওয়ার আগেই তাই এখানে আসি বিক্রি হওয়ার আশায়।’-এক টানে বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গেলেন আবদুর রহিম। ‘তারপর’ বলে প্রশ্ন ছুঁড়লেও কথা বের হচ্ছিল না এই মধ্যবয়সীর মুখ থেকে। গলায় কি যেন দলা পাকিয়ে আছে। একটু পর স্যাঁতস্যাঁতে চোখে বলতে শুরু করলেন, ‘আমি বিক্রি না হলে বউ-বাচ্চাদের পেটে ভাত জোটে না। তাই শরীর যতই খারাপ হোক প্রতিদিন চলে আসি। কোনো সময় নিয়মিত কাজ পাই, কখনো পাই না।’


কথা বলতে বলতেই এক ব্যক্তি এসে নির্মাণকাজের জন্য আবদুর রহিমকে নিতে চান। দরদাম শেষে ‘বিক্রি’ হতেই মুখে এবার খুশির হাসি। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের ভাত নিয়ে আজ আর কোনো টেনশন নেই।’

৩৫ বছর ধরে এখানে ‘বিক্রি’ হওয়ার আশায় আসেন সত্তরোর্ধ আবুল কাশেম। বয়স যথই ছোবল বসাক, সবসময় নিজেকে সবল দেখানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছেন এই প্রবীণ। বয়স লুকানোর রহস্য জানতে চাইলে কাশেমের মুখে অট্টহাসি। বলতে শুরু করেন,‘বয়স বেশি বললে কে কাজে নেবে? বলবে এই বুড়ো বয়সে কোনো কাজ পারবে না। তাই চেষ্টা করি নিজেকে সুস্থ দেখাতে।’ কি কাজ করেন এমন প্রশ্নে ভোলার আঞ্চলিক ভাষায় কাশেম জানালেন, তিনিও নির্মাণশ্রমিক।

ভোলার বোরহানউদ্দিনের বাসিন্দা কাশেম বহুবছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে থাকছেন পরিবার নিয়ে। এতবছর বেশ ভালোভাবে কাজ করে গেলেও এখন বয়স ভাড়ায় প্রায় সময় থাকছেন অসুস্থ। কিন্তু তবুও তাঁকে প্রতিদিন ভোরে কাজের উদ্দেশে বের হতে হয় বাসা থেকে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কাজ করার জন্য কোনোদিন পান ৭০০ টাকা, কোনোদিন পান ৮০০টাকা।

বয়সে অনেকটাই তরুণ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মোহাম্মদ ইসমাইলও এখানে ৫-৬ বছর ধরে এসে কাজ খুঁজে নিচ্ছেন। মে দিবস সম্পর্কে জানেন নাকি-এমন প্রশ্নে বললেন, ‘জানি, কিন্তু জেনে কি হবে? ওইদিনও তো কাজ করতে হবে। কাজ না করলে খাব কি?’



ইসমাইলের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলতে শুরু করেন, ‘পেটে যদি ভাত না থাকে দিবস পালন করে কি হবে? সবকিছুর দাম যে এত বেশি। আমরা কি খাই, কীভাবে খাচ্ছি-কেউ তো খবর নেয় না। আবার দেখা যায় ১ হাজার টাকায় ভাড়া করে দিন শেষে হুট করে ছুতা বের করে ধরিয়ে দিচ্ছেন ৭০০-৮০০টাকা। যে যেভাবে পারে সেভাবেই আমাদের ঠকান। সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে।’-শ্রোতা পেয়ে যেন দুঃখের গল্পের জানালা খুলে দিলেন ইট-বালি বহন করার এই শ্রমিক।

সময়ের বয়স যতই বাড়তে থাকে ততই কমতে শুরু করে ভিড়। কারণ বিক্রি হওয়া শ্রমিকেরা যেতে শুরু করেন কাজে। কিন্তু অন্তত ৫০ জন শ্রমিকের অপেক্ষা যেন ফুরাচ্ছে না। একটু আগেই ঘড়ির কাটারা মিলেমিশে জানান দিয়েছে সময় এখন ৯টা। সেটি দেখে চল্লিশোর্ধ হাফিজের কপালে ঘামের পারদ যেন বেড়েই চলেছে। তিনিও অন্যদের মতো দাঁড়িয়েছিলেন ‘বিক্রি’ হতে। অপেক্ষা করতে করতে সকাল ১০টা বেজে গেলেও আরও অনেকের মতো থেকে যান অবিক্রিত। ঘড়ির দিকে একবার চোখ বুলিয়ে হাফিজ বুঝে যান কপাল-লিখন। কি আর করা। ইট-বালি ভরার ঝুঁড়িটা পিঠে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন হাফিজ। তবে ফেরার সময় শেষবারের মতো একটা চেষ্টা করলেন হাফিজ। ফোন দিলেন ‘নব্যবন্ধু’ আবদুল খালেককে। খালেক বিক্রি হয়েছেন তাঁরই সামনে। প্রতিদিন একই সঙ্গে ‘মানুষ বিক্রি’র এই অঘোষিত হাটে দাঁড়াতে দাঁড়াতে তার সঙ্গে পরিচয় হাফিজের। ‘তুমি যেখানে কাজ করছো সেখানে কি আর লোক লাগবে? লাগলে কথা বলে দেখো তাদের সঙ্গে। মজুরি কম হলেও আমি কাজ করতে রাজি।’–খালেককে দুঃখ নিয়ে বলে গেলেন হাফিজ। খালেক ওদিকে কথা বলে উত্তর দিলেন হাফিজকে।

কি উত্তর দিয়েছেন সেটি জানতে আর হাফিজের সঙ্গে কথা না বললেও চলে। তার মলিন চেহেরাতেই যেন লেখা আছে সব!!

   

রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ, মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান জয়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ ও মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে এ দুজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুর মোহাম্মদ মন্ডল (আনারস) ৪৫ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ভোটে হেরেছেন।

এদিকে মিঠাপুকুরে ৭০ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান (হেলিকপ্টার) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৮ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সাদমান ইশরাক (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, দুই উপজেলায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ছিল। তাই কোথায় কোন গোলযোগ হয়নি।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বিজয়ী হয়েছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই।

কুমারখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান আবারো বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল।

এরআগে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ায় চার উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন।

কুষ্টিয়ার ৪ উপজেলায় ৪৪ ইউনিয়নের ৪১৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ৩০৬০। মোট ভোটার ১১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬জন।

নির্বাচনে জেলার ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন অংশগ্রহণ করে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

রায়পুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেছে দুই কিশোরের শরীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরায় উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেছে দুই কিশোরের শরীর। পরে আশঙ্কজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- আশারামপুর বাজার এলাকার রিকশা চালক তাহের মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া (১৬) ও সৌদি প্রবাসি কাইয়ূম শিকদারের ছেলে আরিফুল শিকদার (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী সুফিয়া বেগম জানান, তিনি ছাদে ধান শুকানো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় ছাদের এক কোণে আরিফুল ও নাঈম নামে দুই কিশোর দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পাশে ফিরে তিনি দেখতে পান ছাদে পাশাপাশি পড়ে রয়েছে তারা।

পরে এগিয়ে গিয়ে ওই দুই কিশোরের জামা ও শরীর পুড়ে যাওয়া দেখতে পান তিনি। আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের ছাদ থেকে পাঁচ মিটার দূরে রয়েছে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন। তবে কিভাবে ওই লাইন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তার ধারণা দিতে পারেননি ওই নারী।

স্থানীয় যুবক মনির হোসেন বলেন, শব্দ শুনে মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়ে দেখতে পান আহত নাঈমের শরীরের অর্ধেক অংশ ছাদের ওপর ও বাকি অংশ বাহিরে থাকা অবস্থায় পড়ে আছে। তার পুরো শরীর পুড়ে গেছে। আহত আরিফুলের পুড়ে গেছে বাঁ পাশের হাত ও হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত। পরে তাদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আহত আরিফুল শিকদারের মা আঁখি নূর জানান, তার ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরিফুলের হাত ও পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঝলসে গেছে।

আহত নাঈমের বাবা রিকশা চালক তাহের মিয়া বলেন, তার ছেলে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। নাঈমের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।

আহত নাঈম বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আহত নাঈমের স্বজনরা জানান, নাঈমের শরীরিক অবস্থা আশঙ্কাজন।

পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত নাঈম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত আরিফুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিসাধীন বলে জানান তিনি।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

ইছামতি নদী থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার দেবহাটার ইছামতি নদী থেকে আহছান হাবিবুল হক (৪৫) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার আয়নাল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভারত-বাংলাদেশ সীমানার কোমরপুর এলাকার নদীরচর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার হয়।

কোমরপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার এনামুল হক জানান, ইছামতী নদীতে ভেসে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। পরে দেবহাটা থানা পুলিশ ও বিজিবি’র উপস্থিতিতে অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের পরনে ছিল কালো টি শার্ট ও জিন্স প্যান্ট তার গায়ের রং শ্যামলা। মরদেহের প্যান্টের পকেটে থাকা আইডি কার্ডের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে ভারতীয় বিএসএফকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকালে দেবহাটা থানা পুলিশ ও ১৭ বিজিবি শাখরা ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদ জানান, ভারতীয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবি’র পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি সরকারি নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;