মহান মে দিবস

শ্রমে ঘামে মাঠে ঘাটে যে জীবন

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রমিকের সরল হাসি, ছবি: নূর এ আলম

শ্রমিকের সরল হাসি, ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার উপর তপ্ত সূর্য। ঘামে ভিজে সপসপে শরীর। জীর্ণ মুখে মুক্তার মতো চক চক করছে ঘামের ফোঁটা। বিরতি দিয়ে টপটপ করে গাল-থুতনি বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা সেই ঘাম পড়ছে মাটিতে। রোদের এমন প্রখরতা; চোখ খুলে তাকানোটা দায়! আবহাওয়ার এমন বৈরিতায় দৃষ্টি কাড়ে মুখভর্তি হাসি নিয়ে দাঁড়ানো এক সরল চাহনী! তাকে দেখলে মনে হবে বলছেন ‘আজন্ম কাঁধে শোষণের চাকা বইবো না/ এবার লড়াই, এবার লড়াইয়ে অস্ত্র শানিয়ে দাঁড়া।’

সূর্যের উগ্রতা তোয়াক্কা করে তুরাগের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সরল চাহনীর এই নারী একজন দিনমজুর। ঢাকার আমিন বাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে তুরাগ নদীর তীরে বালু লোড-আনলোডের কাজ করেন তিনি। দিনভর উত্তপ্ত গরমে শ্রম দেন, তার বিনিময়ে যৎসামান্য মজুরির জুটে তার কপালে। তাদের বলা হয় শ্রমজীবী মানুষ। যাদের সংসারে অভাব লেগেই থাকে। দুবেলা ভালো খাবার জুটত না। সংসারের অভাব দূর করতে করেন অমানসিক পরিশ্রম।

ছবি: নূর এ আলম

এমন শ্রমজীবী মানুষের জন্য অধিকার রক্ষায় ১ মে পালিত হয় আন্তজার্তিক শ্রমিক দিবস। দিনটি মে দিবস বলেও পরিচিত। আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রম অধিকার আদায়ের এ দিনটি বছরের পর বছর ধরে বিশ্বব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। শ্রমিকদের সম্মানে মে দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ।

উনিশ শতাব্দীর আগে কারখানার শ্রমিকদের দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চাইতেও বেশি। কিন্তু কাজ অনুপাতে পারিশ্রমিক ছিল স্বল্প। যা তাঁদের জীবনধারণের জন্য যথাযথ ছিল না। একটা পর্যায়ে শ্রমিকপক্ষ ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণের দাবি জানায়। এ দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ১ মে নির্ধারণ করেন শ্রমিকেরা। কিন্তু কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেননি। ফলাফলে ১৮৮৬ সালের ৪ মে শিকাগোর হে মার্কেট নামক স্থানে ফের আন্দোলন গড়ে তোলেন শ্রমিকেরা। সেখানে পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি বর্ষণ করলে নিহত হন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক।


এ ঘটনার দুই বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে পালনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। পরের বছর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। পরে ১৯০৪ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী মে মাসের প্রথম দিন মিছিল ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে সব সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল ও শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের সাড়া হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন ১ মে বাধ্যতামূলক কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক দেশের শ্রমিকেরা মে মাসের ১ তারিখ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবি জানান। বিভিন্ন দেশে মে দিবস সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ দিনটির তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার দাবি।


শ্রমিকদের অধিকার ও দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মে দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় মে দিবস।

তবে শ্রমিকদের কাছে মে দিবস যেন আরেকটা দিন। এ বিষয়ে অনেকেই অবগত নন। কারণ এই দিনেও তাদের জীবিকার সন্ধানে বের হতে হবে। না হলে জুটবে না দুমুঠো ভাত। অনাহারে থাকবে পরিবারের সদস্যরা। সুতরাং যাদের জন্য শ্রম দিবস তাদের কাছে এই দিনটির কোন গুরুত্ব নেই। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের কাছে শ্রমেই ধর্ম, শ্রমই কর্ম। তাই তো বালু শ্রমিকসহ শ্রমিকদের মুখে একই বক্তব্য ‘আমাদের সব দিবসই সমান। কাম করলে টাকা না করলে কোন টাকা পায় না। এই জন্য আমাগো কোন ছুটির দিনও নেই। কাম করায় লাগবে। কাম না করলে সংসারই চলবে না।’

শ্রমজীবী মানুষকে জাগিয়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে সমাজ ও সরকারকে। দেশের অভ্যন্তরে আয় বৈষম্য যে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে, তা প্রতিহত করে শ্রমিকদের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে প্রতিহত হবে অন্যায়, নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মতো অশুভ শক্তি। এর মাধ্যমে মে দিবসের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নও ঘটবে। সেদিনের প্রত্যাশায় কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সুর মেলাবে সবাই– জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত/ জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত!/ যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি'/হাঁকে নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী,/নব জনম লভি' অভিনব ধরণী/ওরে ঐ আগত/আদি শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র-আচার/মূল সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার!/ভেদি' দৈত-কারা/আয় সর্বহারা!/ কেহ রহিবে না আর পর পদ-আনত।

   

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবেন, সেই পত্রের বিপরীতে যাতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করবে।

দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের আইএমটি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) গুলোতে তাদের চাহিদা মত জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়। ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করছে। গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।

আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোন প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় থানায় ১০ ঘণ্টা আটক এক নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দায়ের করা মামলায় গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় এক নারীকে ১০ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে সঠিক তথ্য জানার পর ওই নারীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুঃখপ্রকাশ করলেও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামী আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে। তবে ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন গ্রাহক নন। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে , অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫'শ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।

পুলিশের দাবি, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় বিদ্যুৎ আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপানার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কিসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান। তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেনি। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।

গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্যের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আদালত থেকে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়। তারা তাকে তাদের গ্রাহক হিসেবে নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে আটক করা হয়। গ্রামের পাশাপাশি স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১০ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ##

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির আইনে নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ভিসানীতির অধীনে নয়, অন্য অ্যাক্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে ৩টি ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছিল। ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ভিসা পলিসি’-এর আওতায় এটা (আজিজ আহমেদের) করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যেতে চাই। সাবেক সেনা প্রধানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউএসএ মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই। যেহেতু, সেনাবাহিনীর বিষয়, এ নিয়ে আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

বিশ্বের টালমাটাল পরিস্থিতিতেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটাল সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। সারা পৃথিবীতে পণ্যের দাম বেড়েছে, সংকটও বেড়েছে। এ বাস্তবতায় আমাদের এখানেও দাম বেশি। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নয়। কোথাও কিছু হলে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দাম বেশি, আমাদের দেশেও সঙ্গত কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি।

‘বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রিকশাচালকদের আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের কিছু করার ক্ষমতা নেই; অন্যের আশ্রিত হয়ে দেশের ভেতরে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচনে প্রতিহত করার নাম করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। দেশবিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। নানাজনে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঠিকই এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিকট অতীতে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশে এত ভোটার উপস্থিত হয় না। এখন পর্যন্ত ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে সত্যিকারের ভিসানীতি হলে, যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন এটা কার্যকর করা হয়। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রয়োজনে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব বলেন তিনি।

পেনি ওং বলেন, আমরা অভিন্ন ভাগ্য গড়তে একসাথে কাজ করতে চাই। আন্তর্জাতিক আইন কানুন মেনে ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। আমরা এই যাত্রায় সাথে থাকতে চাই।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একা সমস্যা নয়। আমরা এই সংকটের টেকসই সমাধান চাই। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বাড়াতে চায় দুই দেশ। মেরিটাইম সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া। আমরা এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের একটি চমৎকার সম্পর্ক আছে। গেল ৫২ বছরের পথ চলায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি মসৃণ ৪ বিলিয়ন ডলারের বিজনেস বাস্কেট। যদিও সাইজে এখনও যথেষ্ট ছোট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোটা ফ্রি ও ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস সুবিধা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অব্যাহত থাকবে। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ, তিনটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া। মানবপাচার কমাতে একসাথে কাজ করবে দুই দেশ। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। মিটিগেশনে সরাসরি যুক্ত থেকে সহযোগিতা করতে চায়। কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ হয়েছে। আমরা দক্ষ জনশক্তি রফতানির পক্ষে। দুই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে চাই।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;