ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা জানি, ভোজ্যতেল সংরক্ষণ বা সরবরাহের ক্ষেত্রে নীল রঙের কেমিক্যালের ড্রাম ব্যবহার করা হয়। যার ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি প্যাকেট বা পাত্রে ভোজ্যতেল বাজারজাত করা যাবে না।’

তারা আরও বলেন, ‘ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই সঠিকমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে-অপরিণত শিশুর জন্ম, মহিলাদের গর্ভধারণে সমস্যা, শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, জন্মগত ত্রুটি, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, রাতকানা, চোখ শুষ্ক হয়ে অন্ধত্বের সৃষ্টি হয়, শিশু মৃত্যু বৃদ্ধি এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। ড্রামের অস্বাস্থ্যকর এসব তেল গ্রহণের কারণে এই পরিস্থিতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

তারা জানান, সরকার ১৬ মার্চ ২০২২ তারিখের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর ননফুড গ্রেডেড ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত ও পরিবহন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ জারি করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা আরো বাড়ানো হয়। সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২২ এবং খোলা পাম অয়েল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই সময় সীমার পর অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধকরণ শতভাগ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও সরকার এটি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’’

ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও গ্রীন ভয়েস'র কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাবের সম্মানিত সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের আহবায়ক ও মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

   

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (৫ মে) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে দুই দিনব্যাপী ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে এই কনফারেন্স আয়োজন করে।

কনফারেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ ভালো করছে। এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকা আয়েশা খান। প্যানেল আলোচক ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।

;

কাভার্ডভ্যান চালকের নেতৃত্বে ৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা ছিনতাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক নিহতের ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০) এবং চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই রিকশা জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে হায়াতুল ইসলাম জানান, গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপ-ডাউন যাতায়াতের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার রিকশা ঠিক করে গ্রেফতাররা। পরবর্তীতে মাঝপথে কৌশলে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম। তিনি পেশায় কাভার্ডভ্যানচালক। ৯ মাস আগে তিনি যে কাভার্ডভ্যান চালাতেন, সেটি মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যান তিনি। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরি করা শেখেন। শরীফুলের চক্র তিনজনের। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪টি রিকশা ছিনতাই করতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে নিহত অটোরিকশাচালক শাহ আলমের রিকশায় দুজন যাত্রী ওঠেন। পরবর্তীতে পথিমধ্যে তার রিকশাটি অজ্ঞান পার্টি রিকশাটি নিয়ে যায়। শাহ আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় স্বজনেরা উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা শরীফুল ইসলাম, তার সহযোগী চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার (৪ মে) রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার শরীফুল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি গত ৯ মাসে শতাধিক রিকশা চুরি করেছেন। এমন কী শাহ আলমের রিকশা ছিনতাই করার পরেও অন্তত ৯টি অটোরিকশা ছিনতাই করেছেন। এই সব রিকশা তারা ফুল মিয়া ও অপর একটি চক্রের কাছে বিক্রি করতেন।

ডিসি হায়াতুল ইসলাম আরো বলেন, চোরাই রিকশা কেনার সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো একটি গ্রুপকে গ্রেফতার করতে মিরপুরে আমাদের অভিযান চলছে। শরীফুলের পলাতক এক সহযোগীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অটোরিকশাচালকদের উদ্দেশে ডিসি হায়াতুল ইসলাম বলেন, রিকশাচালকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাত্রীদের কাছ থেকে কিছু খাবেন না। তাহলেই আপনাদের গাড়ি লুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

;

খাগড়াছড়িতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে রোববার (৫ মে) ভোর ৫ টা থেকে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কালবৈশাখীর ঝড়ো তাণ্ডবে রামগড়, মানিকছড়ি ও দীঘিনালায় সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি বসতবাড়ি ও ফলজ বাগানের ক্ষতি হয়েছে।  

স্থানীয়রা জানান, মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে রামগড় বাজার, দারোগা পাড়াসহ জালিয়াপাড়া-রামগড় সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। এ ছাড়া রামগড়-জালিয়াপাড়া বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ভেঙ্গে এবং গাছের ডালপালা পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রামগড়ের দারোগা পাড়ায়, ফেনীর কুল, মহামুনী ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রামগড় ছাড়াও মানিকছড়ি, দীঘিনালায় কাল বৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রামগড়ের নাকাপা এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল জানান, ফজরের আজানের পর পর বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে বাড়ির টিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়।  ফলবাগানের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কালবৈশাখীতে।

রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল জানান, রোববার ভোরের কালবৈশাখীতে পৌর এলাকার অনেক বসতবাড়ি ও বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা কাজ করছেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। আজ বিকলের মধ্যে উপজেলা থেকে এ তথ্য পেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে।

;

৩৬৩ স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ট্রাফিক বিভাগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৩৬৩ স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ট্রাফিক বিভাগের

৩৬৩ স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ট্রাফিক বিভাগের

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন অপরাধ করতে না পারে সেজন্য অনুমোদিত স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ডিএমপির মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১ টি এবং ১ হাজার ৩৫০ টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদিত গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদিত গাড়িগুলোকে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০ টি অনুমোদিত, ৭৪ ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪ টি অনুমোদিত, ৪৬ ফিটনেসবিহীন ও ৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ ৯ টি অনুমোদিত, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭ টিডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪ টি অনুমোদিত, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ ৩৪ টি অনুমোদিত, ৫৩ ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক গুলশান বিভাগ ১৫ টি অনুমোদিত, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদিত, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ ৪২ টি অনুমোদিত, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

;