দুই বাসের প্রতিযোগিতার মাঝে চাপা খেয়ে হাসপাতালে ট্রাফিক সদস্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দায়িত্ব পালনের সময় তুরাগ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মাঝখানে চাপা খেয়ে আহত হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের কনস্টেবল মিথুন। এ ঘটনায় বাস দুটিকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ ইমাম।

তিনি বলেন, দুটি তুরাগ বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে কনস্টেবল মিথুনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিটি স্ক্যানের পর বোঝা যাবে আঘাত কতখানি।

বাস দুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

   

সিলেটে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে। উচ্চ আদালতে এরই মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উদ্বোধনের সময় সিলেটে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনসহ সিলেটের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্থরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীর একা রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয় তাই এখানে এসে কাজ করছি। আমরা এখানে সকাল ৬টায় আসি আর বাসায় যাই দুপুর ১২ টায়। এর বিনিময়ে আমাদেরকে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। এতো কম টাকায় সংসার চালানো কঠিন। এসব নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পেটের টানে এসব করতে হচ্ছে’- আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে চুল বাছাইয়ের কাজ করা নারী শ্রমিক মীনারা বেগম।

শুধু মীনারা বেগমই নয়, তার মতো এমন শত শত নারী বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। আর স্বল্প বেতনে কাজ করিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

সরেজমিনে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে নারীদের চুল বাছাই আর পরিষ্কারের কাজ করতে দেখা  যায়। এসব শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ ও কিশোরী। মেয়েদের মাথার ঝরে পড়া চুল বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে চলে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ। তারপর চুলে থাকা নানা রকম ময়লা একটি সুঁচের মাধ্যমে সরিয়ে সেগুলোকে রাখা হয় আলাদা জায়গায়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে চুল বাছাইয়ের কাজ।

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

কাজ করা নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা ৬ ঘণ্টা কাজ করার বিনিময়ে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। আবার কেউ যদি সময়ের আগে বাসায় চলে যায় তাহলে সেদিনের বেতন থেকে টাকা কাটা হয়।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের গৃহবধূ নূরেকা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোর ৬টায় এখানে আসি আর যাই দুপুর ১২টায়। প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে ৬ ঘণ্টায় ৬০ টাকা দেওয়া হয়। এই বেতনে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আমরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নওগাঁর বিভিন্ন স্থান থেকে হকাররা চুলগুলো সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করে। প্রতিকেজি চুলের মূল্য ১২ হাজার টাকা আবার প্রকারভেদে ৯ হাজার টাকাও হয়। কেনার পরে প্রতিটি গ্রামে চুল ভাগ করে দেয়া হয়। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় নিদিষ্ট পরিমানে চুল তাদেরকে বাছাইয়ের জন্য দেওয়া হয়। এতে তারা মজুরি পায় ৬০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আশেপাশের সবাই এই টাকাই নারী শ্রমিকদের বেতন দেয়। যদি সবাই বাড়িয়ে তাইলে আমরাও বাড়িয়ে দিব।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি অবশ্যই পাওয়া উচিত। আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী করা যায়।

;

নাগরী লিপি রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি এবং ‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসিম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু। সিলেট জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

;

লাগেজ- ট্রলির চাকায় ঘুরছে কুলিদের ভাগ্য



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাগেজ- ট্রলির চাকায় ঘুরছে কুলিদের ভাগ্য

লাগেজ- ট্রলির চাকায় ঘুরছে কুলিদের ভাগ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াহুড়ো শুরু হত। মানুষের ভিড় ঠেলে ট্রেনের দরজার পাশে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেন যাত্রী নামার। ট্রেন থেকে যাত্রীর নামতে ব্যাগ বস্তা মাথায় নিতে তোড়জোড় শুরু হত। এরপর এগিয়ে দিত স্টেশনের গেট পর্যন্ত। যাত্রীরাও খুশি হয়ে বকশিশ দিত তাদের।

বলছি, রেল স্টেশনের লাল রঙের হাফ হাতা শার্ট পরে ছোটাছুটি করা কুলিদের কথা। সময়ের পরিক্রমায় আগের মতোই সেই কদর নেই কুলিদের। আধুনিকতার চাকায় ভর করেই স্টেশনের গেটে পৌঁছে যায় যাত্রীদের ব্যাগ বস্তা। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী কমলাপুর রেল স্টেশনে আসে-যায়। তবে কুলিদের ব্যস্ততা থমকে যায় ট্রেনের দরজায়।

কিন্তু সব কিছু থমকে গেলেও জীবন তো আর থমকে থাকে না। আধুনিক ব্যাগ, ব্যাগেজে দিন দিন আয়ের পথও সংকুচিত হচ্ছে কুলিদের। এখন চলন্ত ব্যাগ, লাগেজ আর ট্রলির চাকায় ঘুরছে লেবার শ্রমিকদের ভাগ্য। সংসার খরচ চালানো তো দূর, এখন নিজের পরিশ্রমের খাবার জোটানো দায় হয়ে পড়েছে কমলাপুর রেল স্টেশনের প্রায় আড়াই শত শ্রমিকের।


এমনই একজন শ্রমিক আনোয়ার হোসেন। ১০ বছর আগে দুলাভাইয়ের হাত ধরে কমলাপুরে লেবার শ্রমিকের পেশায় আসেন তিনি। এক দশক আগে লেবারের টাকায় নিজের গ্রামের ঋণ শোধ করেন। দৈন্যদশা অবস্থা কাটিয়ে পরিবারে কিছুটা স্বস্তি এনেছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সাথে সে আয় থমকে গেছে। স্বপ্ন ভেঙে কুলি পেশার শিকলে বাঁধা পড়েছেন তিনি।

আনোয়ার বলেন, আগের মতো আর কাজ কাম হয় না। মানুষও ডাকে না। দিনে ৩০০-৪০০ টাকা আয় করি- ঘর ভাড়া বাচ্চাদের পড়াশুনা চালাতে পারি না।আমাগো অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু আটকে গেছি একটা জালে। বাইরে যে অন্য কাজে যাব, কিন্তু কাজ পাই না। বাধ্য হয়ে এ কাজ ধরে আছি।

লেবারের আয়ের টাকায় সংসার চালানো কমলাপুর রেলস্টেশনের আড়াইশ’র বেশি লেবার শ্রমিকের জীবনের গল্প ঠিক আনোয়ারের মতোই । দীর্ঘদিন ধরে এক পেশায় থাকায় ছাড়তে পারেন না তারা। হতাশা আর তিক্ততার মাঝেও ঘাম ঝড়ান ভাগ্য বদলে। তবে ঘাম ঝড়িয়েও দৈন্যদশা থেকে মুক্তি মেলেনি হাজার বছরেও। হয়নি জীবন মানেরও উন্নয়ন।


লেবার শ্রমিকের সাথে জড়িতরা বলছেন, আধুনিক ব্যাগ ব্যাগেজ ব্যবহারে কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন তারা। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনও পড়ে কুলিদের এড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাই অর্থনৈতিক সংকটও বড় ভূমিকা রাখছে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলোর কাজের পরিধি কমাতে।

আব্দুর রাজ্জাক গাইবান্ধা থেকে কাছের এক আত্মীয়ের সাথে কমলাপুরে এসে ১২ বছর ধরে নিজের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। ভোর ৪ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত স্টেশনের প্লাটফর্মে কাটালেও আয় হয় মাত্র ৪০০-৫০০ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে পরিবারের জন্য থাকে মাত্র ১০০-২০০ টাকা।

ভাগ্যের উপর দোষ চাপিয়ে রাজ্জাক বলেন, আমাদের ২৫০ জনের বেশি মানুষ সবাই মুক্তি চায় কষ্ট থেকে। কিন্তু ভাগ্যের লেখন আর কি করমু। মানুষ তো না বুঝে অনেক অপবাদ দেয়। ছোটলোক বলে গালি দেয়। কিন্তু দুঃখ তো বোঝে না।


তিনি বলেন, বাড়িতে ১ মেয়ে দুই ছেলে পড়াশুনা করে। বাবা মা মিলে ৭ জনের সংসার। অল্প আয়ে চালাতে খুব কষ্ট হয়। কাজ না থাকলে আয় কেমনে হবে? মানুষ তো আর আমাদের ডাকে না।

সব পেশার মজুরির নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকলেও এই লেবার শ্রমিকের নিদিষ্ট মজুরি নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের নিয়ে নানা আলোচনা হলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক এই শ্রমিকদের নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারো। শ্রমের ন্যায্য মজুরি টাও জোটে না এসব মানুষের ভাগ্যে। দৈন্যদশা থেকে মুক্তির স্বপ্নে দরিদ্রতার জালে আটকে যাচ্ছে তারা দিনের পর দিন।

কুলিদের জন্য সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন কমলাপুর রেল স্টেশনে কুলিদের সর্দার মোবারক।

তিনি বলেন, আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে আমাদের বিতাড়িত করার ব্যর্থ চেষ্টা বার বার হয়েছে। আমরা এখন ট্রলি ব্যবহার করে মালামাল বহন করি। আমাদের মানুষ যা দেয় তা নেই। এখন আধুনিক ব্যাগ বের হয়েছে। অনেকে এই পেশা থেকে চলে যাচ্ছে। তবুও কেউ কেউ আঁকড়ে ধরে আছে। সরকার অন্যান্য পেশার মতো আমাদের জন্য যেন প্রণোদনার ব্যবস্থা করে।


 

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজিকুল জামান রতন বলেন, দিন দিন শ্রমিকদের কাজের স্থান কমে আসছে। শ্রমিকের বিকল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা যন্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি হয়েছে। যা কাজের পরিধিটা কমায় দিচ্ছে। আমরা সবাই প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের কথা বলি। কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক রয়েছে ৭০ শতাংশ। তাদের নিয়ে কেউ কথা বলে না।

তিনি মনে করেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক, কুলি, হকারসহ অন্যান্য শ্রমিক যারা আছেন তাদের অধিকার নয়ে কথা বলা জরুরি।

‘তাদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। এছাড়া তাদের কাজের স্থান নিরাপদ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে। তাই আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের এসব মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে হবে। সরকারের উচিত তাদের দিকে তাকানো।’

;