বাংলাদেশে পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের ৪৬ সেনা-সীমান্তরক্ষী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন দেশটির আরো ৪৬ সেনা ও বিজিপি সদস্য।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে৷ মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢ়তলী-জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্তপথে নতুন করে ৪৬ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে মঙ্গলবার সকালে আশ্রয় নেওয়া ১২ জনের সঙ্গে নতুনদেরও হেফাজতে রাখে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি'র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি এবং বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপিসহ মিয়ানমারের অন্তত ৩৩০ নাগরিক। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে বিজিপির সদস্য ছিলেন ৩০২ জন। এছাড়াও তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

 

 

   

ভারী বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার আভাস আবহাওয়া অফিসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টিতে ৪ মে অথবা ৫ মে থেকে খুলনা, রাজশাহী অঞ্চলসহ সারা দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ কমা শুরু করবে এবং ২ মে সিলেট, চট্টগ্রামে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ৪ মে এর পর থেকে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঢাকা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে ৪ ও ৫ মে থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে।

আগামীকাল বুধবার (১ মে) সকাল ৯টায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট শেষ হলেও কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা তীব্র থাকতে পারে। এতে আবারও হিট অ্যালার্ট জারির সম্ভাবনা আছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা আবারও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস পার করল এপ্রিল। এ মাস জুড়ে একটানা দীর্ঘ তাপপ্রবাহের বিস্তার ছিল প্রায় সারা দেশে। এ সময়ে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিলে গড়ে নয়টি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি। এতেই তাপমাত্রা হয়ে ওঠে অসহনীয়।

জেলার ওপর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় আগেই জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।

এর আগে গতকাল দুপুর ২টায় যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রা থাকছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ঘরে।

;

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে পিটিয়ে হত্যা, র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে সাবের হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে ২ এবং টেকনাফ থেকে ৪ জনসহ মোট ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫।

মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ( মিডিয়া ) মো. শামীম হোসেন।

র‍্যাব জানায়, টেকনাফে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. ইয়াছিন (৩৫)সহ মোট ৬ জন আসামিকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ এবং র‍্যাব-১৫ এর যৌথ একটি আভিযানিক দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ইয়াছিন (৩৫), মো. সালমান (২৭), আব্দুল্লাহ (৪৩), সোহাগ (৩২), বাবলু (২৮), আব্দুল জব্বার (৩১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে র‍্যাব জানতে পারে নিহত সাবের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। তারই দোকানের সামনে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে। ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরের ব্যবসা শুরুর পর হতেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচা-বিক্রিতে ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।

পরবর্তীতে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে সাবের মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জানালে ইয়াছিন ও অন্যান্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এরপর গত ২ এপ্রিল ইয়াছিনের দোকান বন্ধ থাকায় সেই দোকানের সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখে সাবের। আর এ কারণে ইয়াছিন সাবেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন সাবের প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং আরও একজন পলাতক আসামি নুর হোসেন সহ ৪/৫ জন মিলে ধারালো টিপ ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংস হামলা চালালে সাবের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যায় সাবের।

এই ঘটনায় সাবেরের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। তারপর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিলে র‍্যাব তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করলে অবশেষে তাদের পল্টন ও টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

;

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাত দিন সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

এর মধ্যে সোমবারই তিনজন মারা গেছেন বলে জানিযেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত ২২ এপ্রিল থেকে কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করে সারাদেশ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বলছে, হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

;

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ৬ হাজার কেজি আম বিনষ্ট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ মেট্রিক টন আম জব্দের পর গাড়ির চাকায় বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার বলেন, দেবহাটা থেকে ১ ট্রাক অপরিপক্ব আম বিষাক্ত কেমিক্যালের সাহায্যে পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে বলে জানতে পারি। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন ও উপসহকারী ইয়াসির আরাফাত সঙ্গে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলিপুর চেকপোস্ট থেকে আমের গাড়ি জব্দ অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে কৃত্রিমভাবে পাকানো ৬ মেট্রিক টন অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে পালিয়ে যান অসাধু ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমগুলো গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে বিনষ্ট করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

;