বিজয়কে সুসংহত করতে বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো, বিএনপির মত সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, অশুভ শক্তি। এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মুজিবনগর প্রথম সরকারের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, স্বাধীনতা পাবার পর আমাদের কোন অর্জন বাকি আছে যেটা আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্জন করার বাকি আছে সেটা আমি নিজেই আমার বক্তব্যে বলেছি। বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো, বিএনপির মত সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, অশুভ শক্তি। এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি, সকল অপশক্তি যারা আমাদের সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক এদের আমরা পরাজিত করবো, পরাভূত করবো, প্রতিহত করবো এবং আমাদের লড়াই কে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। বিজয়ের স্বপ্ন তোরণ অভিমুখে।

বিএনপি দিবসটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোন দাবিকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রীসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন, কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাবো ২১০০ সালের মুজিব বাংলায়, এটাই হউক আমাদের শপথ।

   

বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেলের ভাড়া বৃদ্ধি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি বলছে, যানজটে নাকাল দেশবাসীকে যাতায়াতে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে রেলখাতের উন্নয়নে লাখো কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন নতুন রেলপথ ও রেল স্টেশন নির্মাণ, নতুন কোচ ও ইঞ্জিন আমদানি করে এই খাতকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে রেলসেবা জনগণকে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাইছেন। ঠিক তখনই রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখার দাবি জানাচ্ছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিয়ে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে।

>> ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

>> ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

>> ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

>> ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

>> ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।

পর্যবেক্ষণে আরও দেখা গেছে, রেলখাতকে লাভজনক করার ঘোষণা দিয়ে ২০১২ সালে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। একইসাথে ২০১২ সালের ভাড়া বৃদ্ধির সময় ট্রেনের ওই সময়ে বিদ্যমান সেকশনাল রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরে আসলেই কি রেল লাভবান হয়েছিল? ওই বছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রেলের লোকসান ছিল ১২২৬ কোটি টাকা। এতে বুঝা যায় কেবল ভাড়া বৃদ্ধি করে লাভবান হওয়া বা লোকসান কমানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বর্তমানে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে যে হারে রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, এতে যাত্রীরা রেল বিমুখ হবে, রেলে টিকিটবিহীন যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা বাড়বে, রাজস্ব আয় কমবে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লুটপাটের সুযোগ আরো বাড়বে। রেলের আয়বর্ধক খাত যেমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রেন থেকে আয় বাড়ানো দিকে না ঝুঁকে রেলওয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে আয় বাড়ানোর যে আকাশকুসুম পরিকল্পনা করছে সেটি কার্যত ব্যর্থ বলে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলকে বিকশিত করার লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরে এখনো ৬০ শতাংশ রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ, ৮০ শতাংশ লোকোমোটিভ ও ৬৩ শতাংশ কোচ মেয়াদোত্তীর্ণ, যার অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। পরিকল্পনার গলদে ট্রেনের টিকিট ১০দিন আগে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের, অথচ ৯০ শতাংশ যাত্রী ১০দিন আগে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারে না, অন্যদিকে বাসের টিকিট তাৎক্ষণিক পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের টিকিট যাত্রীরা সহজে কাটতে পারে না, ফলে কখনো কালোবাজারি বা স্টেশনের পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের দোকান থেকে টিকিট কিনতে হয়। এভাবে টিকিট ক্রয়ের কারণে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষ অনেক সময় প্রতারিত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কখনো কখনো রেলে কর্তব্যরতদের ম্যানেজ করে বিনা টিকিটে ভ্রমণে বাধ্য হন অনেক যাত্রী।

তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটলে মাঝপথে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে, এমন পরিস্থিতিতে রেললাইনের আশেপাশে দোকান থাকে না বলেই অনেকে অনাহারে অর্ধা‌হারে কষ্ট ভোগ করতে হয়। লাইনচ্যুতি ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক যাত্রীর চাকুরি, পরীক্ষা, বিদেশের ফ্লাইট, আদালতের হাজিরার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে যোগ দিতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাধারণ মানুষকে রেলমুখী করে নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি করে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

আরও বলেন, ভারতে শেয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে আজমীর জংশন পর্যন্ত ১৬৪২ কিলোমিটার দূরত্বে ১টি প্রথম শ্রেণির বার্থ সিটের ভাড়া মাত্র ৬৯০ রুপি, সেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৩৪৬ কিলোমিটার (প্রকৃত দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারেরও কম) ১টি নন এসি বার্থ সিটের ভাড়া ৮১০ টাকা। শেয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে বনগাঁও ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে লোকাল ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ রুপি। আর বাংলাদেশে ১টি টিকিট কাটতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমকে কমিশন দিতে হয় ২০ টাকা।

সহজ ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন খাতে পণ্য ক্রয় বা ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে গ্রাহককে নানামুখী ছাড় দিলেও রেলের ক্ষেত্রে উল্টো আচরণ করছে। অর্থাৎ রেল প্রশাসনের মতোই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাত্রীদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে শুধুই বেহিসাবি মুনাফা করে যাচ্ছে। ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে রেলে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য পরিবহন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের পণ্যবাহী ট্রেনে ৫০ থেকে ৭৫টি পর্যন্ত কোচ ব্যবহার করে খরচ কমিয়ে আনে। এমন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে সারা দেশে রেলপথে পণ্য পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মাছ, মাংস, সবজি ও নিত্যপণ্য পরিবহন করা গেলে এদেশেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অন্যদিকে রেলের অনিয়ম-দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করে, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি নানামুখী লাভজনক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রেলকে ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে সৎ, নিবেদিতপ্রাণ, চৌকস, ব্যাপক দেশি-বিদেশি কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ একঝাঁক দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা প্রয়োজন। একইসাথে শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে রেলের উপর জেঁকে বসা দুর্নীতিবাজ কালো বিড়ালের বিষদাঁত উপরে ফেলার এখন সময়ের দাবি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ন মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

;

ভারী বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার আভাস আবহাওয়া অফিসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টিতে ৪ মে অথবা ৫ মে থেকে খুলনা, রাজশাহী অঞ্চলসহ সারা দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ কমা শুরু করবে এবং ২ মে সিলেট, চট্টগ্রামে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ৪ মে এর পর থেকে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঢাকা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে ৪ ও ৫ মে থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে।

আগামীকাল বুধবার (১ মে) সকাল ৯টায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট শেষ হলেও কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা তীব্র থাকতে পারে। এতে আবারও হিট অ্যালার্ট জারির সম্ভাবনা আছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা আবারও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস পার করল এপ্রিল। এ মাস জুড়ে একটানা দীর্ঘ তাপপ্রবাহের বিস্তার ছিল প্রায় সারা দেশে। এ সময়ে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিলে গড়ে নয়টি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি। এতেই তাপমাত্রা হয়ে ওঠে অসহনীয়।

জেলার ওপর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় আগেই জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।

এর আগে গতকাল দুপুর ২টায় যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রা থাকছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ঘরে।

;

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে পিটিয়ে হত্যা, র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে সাবের হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে ২ এবং টেকনাফ থেকে ৪ জনসহ মোট ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫।

মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ( মিডিয়া ) মো. শামীম হোসেন।

র‍্যাব জানায়, টেকনাফে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. ইয়াছিন (৩৫)সহ মোট ৬ জন আসামিকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ এবং র‍্যাব-১৫ এর যৌথ একটি আভিযানিক দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ইয়াছিন (৩৫), মো. সালমান (২৭), আব্দুল্লাহ (৪৩), সোহাগ (৩২), বাবলু (২৮), আব্দুল জব্বার (৩১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে র‍্যাব জানতে পারে নিহত সাবের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। তারই দোকানের সামনে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে। ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরের ব্যবসা শুরুর পর হতেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচা-বিক্রিতে ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।

পরবর্তীতে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে সাবের মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জানালে ইয়াছিন ও অন্যান্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এরপর গত ২ এপ্রিল ইয়াছিনের দোকান বন্ধ থাকায় সেই দোকানের সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখে সাবের। আর এ কারণে ইয়াছিন সাবেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন সাবের প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং আরও একজন পলাতক আসামি নুর হোসেন সহ ৪/৫ জন মিলে ধারালো টিপ ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংস হামলা চালালে সাবের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যায় সাবের।

এই ঘটনায় সাবেরের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। তারপর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিলে র‍্যাব তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করলে অবশেষে তাদের পল্টন ও টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

;

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাত দিন সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

এর মধ্যে সোমবারই তিনজন মারা গেছেন বলে জানিযেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত ২২ এপ্রিল থেকে কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করে সারাদেশ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বলছে, হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

;