রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে আগুনে পুড়ে নিহত বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। দগ্ধ আরও বেশ কয়েকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত আসতে বললেন। এখানে এসে যা দেখলাম তা ভয়াবহ অবস্থা। বার্ন ইন্সটিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্নে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- বেইলি রোডে আগুন, আটকে পড়া ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার
- বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
- বেইলি রোডে আগুন: ৩ প্লাটুন আনসার মোতায়েন
- বাঁচার আকুতি নিয়ে ছাদে অর্ধশতাধিক মানুষ
- বেইলি রোডে আগুন, লাফিয়ে পড়ে আহত ১০ জন ঢামেকে ভর্তি
- আটকে পড়া ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার
- আল্লাহ আমার স্ত্রী ও শালিকে বাঁচাও
- সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বেইলি রোডের আগুন, হতাহতের শঙ্কা
- মেয়ে-নাতিকে না পেয়ে দিশেহারা বাসনা রানী
- আগুনে পুড়ে ছাই কাচ্চি ভাই ভবনের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের সারি
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও এনএসআই।