অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরি না থাকায় হুমকির মুখে কৃষি



তরিকুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ ও অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরি না থাকায় আমদানিকৃত খাদ্যশষ্য ও বীজ দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলা ফসল সংগ্রহোত্তর ক্ষতি, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বিতরণসহ ক্রমহ্রাসমান আবাদি জমিতে ক্রমবর্ধমান বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বাংলাদেশের কৃষির জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অন্যের সংস্থানের জন্য একদিকে বিদেশ থেকে কৃষি পণ্য সামগ্রী আমদানি করা হচ্ছে, অন্যদিকে শস্য বীজও আমদানি করতে হচ্ছে। বাজারে দেশীয় বীজের সরবরাহ একেবারেই কম। আগে হাট বাজারে দেশি শস্যের বীজ মিললেও এখন তা দুষ্প্রাপ্য। দেশীয় উৎপাদনে চাহিদা মেটাতে না পেরে চায়না, ভিয়েতনাম, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, মিশরসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চফলনশীল জাতের বীজ ও কৃষিপণ্য আমদানি করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আমরা আমাদের প্রয়োজনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি পণ্য আমদানি করলেও আগত কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও প্রাপ্ত নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদানের বিষয়টি সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ফলে বিদেশ থেকে ফসলের নানা ক্ষতিকর পোকামাকড়, রোগজীবাণু দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বালাইয়ের আক্রমণে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান কে বলেন, আমরা সবসময় পরিবেশের কথা চিন্তা করে কাজ করি। কৃষিজ পণ্য বা বীজ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে নিরোধ কেন্দ্রের কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। তা না হলে নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক সময়ে ফসলে নতুন পোকা বা ফসলের রোগ দেখি যা আমাদের ছোট সময়ে দেখিনি। অনেক সময়ে বিদেশ থেকে আনা বীজে ফসল না হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিদেশি কোনো কৃষিজ পণ্য আমদানি আগেই পণ্যগুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্যোগকালীন প্রয়োজন হয় খাদ্য বা কৃষি পণ্য আমদানির। তাছাড়া সব ফসল, ফল-মূল জলবায়ুজনিত কারণে আমাদের দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় কৃষি পণ্য আমদানির। উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজন সর্তকতার। পণ্য আমদানিতে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা না হলে বিদেশ থেকে ফসলের নানা ক্ষতিকর পোকামাকড়, রোগজীবাণু দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বালাইয়ের আক্রমণে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

কৃষিমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পৃথিবীর সব দেশেই কৃষি পণ্য আমদানি ও রফতানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে বর্তমানে মোট ৩০টি বন্দরে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫টি বন্দরে (বেনাপোল, হিলি, বুড়িমারি, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়) বীজ পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। বাকি ২৫টির অধিকাংশইর এ সার্ভিসটি নেই।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের সাথে পরিবাহিত হয়ে ধ্বংসাত্মক পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের জীবাণু দেশের অভ্যন্তরে বা আমাদের দেশ থেকে অন্যান্য দেশে অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধ করার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হচ্ছে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বা প্লান্ট কোয়ারেন্টাইন। বাংলাদেশে আমদানি ও রফতানি প্রায় ৯২ শতাংশ সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রামের মাধ্যমে হয়ে থাকে। বিদেশ থেকে আগত কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও প্রাপ্ত নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদানের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলেই কেবলমাত্র ছাড়পত্র দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং) উপপরিচালক (আমদানি) মুহাম্মদ লিয়াকত হোসেন খান বলেন, আমদানির দুটি পর্যায়ে আমরা কাজ করি একটি খাদ্য শস্য, অন্যটি বীজ। তবে প্রতিটি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমরা আমদানিকারকেরদের কিছু শর্ত দিয়ে থাকি যা তাদের অবশ্যই মানতে হয়। সকল ক্ষেত্রেই আমরা সকলকে পণ্য বা বীজ বাধ্যতামূলক ভিউমিগেশন (ধোঁয়ার মাধ্যমে জীবানু মুক্ত) করার পরে জাহাজকে বা পবিহনের জন্য তুলতে হয়। আমাদের দেশে আসলে বন্দর এলাকার নমুনা সংগ্রহ করে তার (তিনদিন সংরক্ষণ) কালচার করে। পরীক্ষায় উন্নিত হলে পণ্য ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়। ল্যাবরেটরির মান বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর নেননি। তবে এটা সত্য আমাদের সব কেন্দ্র সকল সুবিধা নেই। ৫টি কেন্দ্র বীজ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

সূত্র জানায়, সীমিত কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার, শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উন্নত কৃষি ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেও বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগান দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গত অর্থবছরে এক কোটি ৮৬ লাখ মেট্রিক টন উদ্ভিদ ও উদ্ভিজাত পণ্য আমদানি করতে হয়েছে যা মাত্র পাঁচ বছর পূর্বেও ছিল মাত্র এর অর্ধেকেরও কম। তাছাড়া যে পরিমাণে আমরা পণ্য আমদানি করি তার মাধ্যমে যেকোন পণ্য দিয়ে বা যেকোন ভাবে বিদেশ থেকে ফসলের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর বালাই দেশে প্রবেশ করে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। গমের ব্লাস্টের কারণে উৎপাদন কমেছে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন আবার ভুট্টার ফল অর্মি ওয়ার্ম প্রবেশের মাধ্যমে আশানুরূপ ভুট্টার ফলন পাওয়ার সম্ভবনা কম।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে দানাদার খাদ্যশস্যের পাশাপাশি শাক সবজি ও ফলমূল উৎপাদনে দেশে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। কিন্তু উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য রফতানির এক বিশাল সম্ভবনা থাকলেও সেই সুযোগ আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের দেশে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে এখনো অর্গানিক ফার্মিং/ কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ব্যাপক প্রসার ঘটেনি। ফলে প্রথাগতভাবে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক, সার ইত্যাদি ব্যবহার হচ্ছে। আর কনট্রাক্ট ফার্মিং ছাড়াই কৃষিজাত এই সব পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত তাতে কি কি ইনপুট (সার, কীটনাশক ইত্যাদি) কি মাত্রায় কখন প্রয়োগ করা হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে শাক সবজি সংগ্রহ করে কীটনাশক অবশিষ্টাংশের বিষক্রিয়ার মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কোনো ল্যাবরেটরি না থাকায় দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য এম.আর.এল অথবা একসেপটেবল ডেইলি ইনটেক (এডিআই) মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কোন অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরি নাই। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র এবং ইন্টারন্যাশনাল প্লান্ট প্রটেকশন কনভেনশন (আইপিপিসি) এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড আর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এর বিধি বিধান অনুসরণ করা সকল দেশের জন্য বাধ্যতামূলক। এ বিধি-বিধান অনুসরণ করার জন্য পৃথিবীর সকল দেশই আলাদাভাবে স্বতন্ত্র স্বাধীন সংস্থা সৃষ্টি করেছে যা বাংলাদেশে হয়নি। ফলে বাংলাদেশে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম গতি লাভ করছে না। উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করা হয়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি, কৃষিজাত পণ্য আমদানি-রফতানিতে ও প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন কাযক্রমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি না থাকায় যে কোনো সময় অজানা বিদেশি ধ্বংসাত্মক রোগজীবাণু প্রবেশ করে খাদ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ঢাকার শ্যামপুরস্থ কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ একটি ল্যাবরেটরি রয়েছে। সেটাকে আন্তর্জাতিক মানের করার কাজ চলছে বলে জানাগেছে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

   

লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসি’র ডালসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১:৪০ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন থেকে রওয়ানা দেবেন। ফ্লাইটির (বাংলাদেশ সময়) ৪ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

;

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবিতে করেছে রাজশাহীর সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন দাবি তুলে ধরেন।

তারা বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে মোট কর্মচারীর মধ্যে ৯৫ শতাংশ বেসরকারি কর্মচারী। এই সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশের প্রায় ৪০০টি সরকারি কলেজ ও ৩টি সরকারি মাদ্রাসায় বেসরকারি কর্মচারীরা বিগত ৫ থেকে ৩৫ বছর বা তারও অধিককাল ধরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে। আমাদের মাসিক বেতন ৫০০০ থেকে ৯০০০ টাকা। এই অল্প বেতনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি। সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা পরিচালনাকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে জনবল নিয়োগ দেয়। কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলী মোর্তুজা পনির।

আলী মোর্তুজা পনির বলেন, মাউশি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট মামলার নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশ মানেননি। আমরা চাকুরি স্থায়ী করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৮ই নভেম্বর ২০২০ থেকে ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি কলেজ ও ৩টি মাদ্রাসায় কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি এবং অনশন কর্মসূচি পালন করি।

তিনি বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর, সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতা প্রদান এবং অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই দাবিগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে বেসরকারি কর্মচারীরা চলমান নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবে।

তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরে আরও বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতাদি প্রদান করতে হবে। বহুদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করাতে হবে ও কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এহসানুল কবীর, মনোয়ার হোসেন মনু, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সরদার, মহিলা সম্পাদক অঞ্জনা রাণী রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলফাজ উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, মো: আবুল কালাম আজাদসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দ।

;

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম রংপুর
পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে অঞ্চলে পাঁচ জেলায় রবি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দিবে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

১০টি শস্য আবাদের জন্য এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য উল্লেখিত বীজ ও সার পাবেন। এতে উপকৃত হবেন কৃষকরা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টা, পেঁয়াজ, সরিষা, গম, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, মসুর, সয়াবিন, মুগ ও খেসারি ডালের আবাদ বৃদ্ধিতে এই বীজ এবং সার বিনামূল্যে কৃষককে দেওয়া হবে। তবে যে জেলায় যেসব ফসলের আবাদ ভালো হয় সে জেলার কৃষককে ওই ফসলের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। 

প্রণোদনা হিসেবে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ জন কৃষকের মধ্যে রংপুর জেলায় প্রণোদনা পাবেন ৪০ হাজার ১১০ জন কৃষক। গাইবান্ধায় ৩৮ হাজার ২০০ জন, কুড়িগ্রামে ৪৮ হাজার ৮২০ জন, লালমনিরহাটে পাবেন ২৬ হাজার ৯০০ জন এবং নীলফামারীতে প্রণোদনা পাবেন ২২ হাজার ৪৪০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।

তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে,  রংপুর জেলার কৃষকদের ভুট্টা, গম, সরিষা, চীনাবাদাম এবং শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে রবি মৌসুম। তবে কবে থেকে প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষককে দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘বিএডিসি (বীজ) কর্তৃপক্ষ আমাদের বীজ সরবরাহ করে। রবি মৌসুমেও তারাই বীজ সরবরাহ করবেন। সরিষার আবাদের সময় হয়ে গেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষককে বীজ দেওয়া হবে। বাকি বীজ পর্যায়ক্রমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

;

কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৫ সালে কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সার চাওয়ার অপরাধে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলেন আপনারা (বিএনপি), সেজন্য এখনও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি, তারপরও ক্ষমতায় যেতে চান। 

হানিফ বলেন, আপনারা খুনির দল, হত্যাকারীর দল, কোন সাহসে আপনারা আবার ক্ষমতায় যেতে চান? এই সরকার জনগণের সরকার। আপনারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।

কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে থেকে আমরা বলতে চাই, কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্নীতিবাজ কোন মানুষের নেতৃত্বের সরকার মানুষ দেখতে চায় না। আপনাদের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেটা আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। আমেরিকার জরিপে দেখেছেন এখনো ৭০ ভাগ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালে নিহত হওয়াদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

;