রাজশাহীতে জমে উঠেছে মুখরোচক ইফতার বাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে জমে উঠেছে মুখরোচক ইফতার বাজার

রাজশাহীতে জমে উঠেছে মুখরোচক ইফতার বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর ঘুরে আবারও শুরু হয়েছে মাহে রমজান। পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজশাহীর ইফতার বাজার। বেলা যত গড়িয়েছে ততই জমজমাট হয়ে উঠেছে ইফতার বাজার। তাই পাল্টে গেছে চিরচেনা এ রাজশাহী শহরের চিত্রও।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রচলিত ইফতারির পাশাপাশি নানান স্বাদের বাহারি আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাহারি এসব ইফতারির স্বাদ নিতে দুপুরেই দূর-দূরান্ত থেকে ভোজনবিলাসীরা ছুটে এসেছেন। ঐতিহ্যবাহী খানদানি ইফতারি কিনতে দেখা গেছে দীর্ঘ জটলা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে প্রথম তারাবি ও সেহেরির পর শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলের মূল কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে ইফতার। আর দিনটি সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় দুপুরে গড়িয়ে বিকেল হতেই কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে মানুষ এখন ভিড় করছেন ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে। রামজানের প্রথমদিনের এ অসহনীয় গরমের মধ্যে তাই ধুম পড়ে গেছে ইফতার কেনাকাটার। রমজানের প্রথমদিনই জমে উঠেছে রাজশাহীর ইফতার বাজার।

মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার গলি পথেও ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসে গেছেন মৌসুমি দোকানিরা। মহানগরীর সাহেববাজার, আলুপট্টি, কুমারপাড়া, সোনাদীঘির মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড়, লক্ষ্মীপুর, কাদিরগঞ্জ, বিন্দুরমোড়, নিউমার্কেট, গণকাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ইফতার। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দোকানগুলোতে রকমারি ইফতার তৈরি হয়েছে এ বছরও।

ঘিয়ে ভাজা বোম্বে জিলাপি, রেশমি জিলাপি, স্পেশাল ফিরনি, ক্ষিরসা, ফালুদা, নবাবী টানা পরোটা, কাশ্মিরী পরোটা, চিকেন মসলা, রেশমি কাবাব, তেহারি, কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, মাঠা-ঘোল ও নানা রকমের জুসসহ জনপ্রিয় ইফতার সামগ্রীগুলো এবারও শুরুতেই মন কারছে রাজশাহীর মানুষের। প্রথমদিন ইফতারে স্বাদের ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আনতে সাধ ও সাধ্যমত সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

নগরীর শিরোইল কলোনী থেকে এসেছেন মাসুদ ইসলাম (৩২)। পরিবারের জন্য প্রথম রোজার ইফতারে বাহারি আইটেমের সংযোজন করতেই তিনি এসেছেন এখানে। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রথম রোজায় এখানে আসি বড় বাপের পোলায় খায়সহ অন্যান্য ইফতারি কিনতে। গত দুই বছর করোনার কারণে আসতে পারিনি। তবে শুধু প্রথম রোজায় আসা হয়। পেস্তা শরবত, দইবড়া, জিলাপিসহ বেশ কিছু আইটেম কিনেছি। এই ইফতারির স্বাদ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। সুযোগ থাকলে প্রতিদিন আসতাম।

ইফতার কিনতে আসা নিউমার্কেট এলাকার ক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে রহমতের প্রথমদিন। আর এদিনে পরিবার-পরিজন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করবেন। যার জন্য রেশমি জিলাপি, স্পেশাল ফিরনি, ক্ষিরসা ও পরোটা কিনেছেন। তবে গণকপাড়া আসতে আজ যানজটের মধ্যে পড়তে হয়।

রাজশাহী নগরীর আমানুল্লাহ হক বাতেন বলেন, বুট, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি ও জিলাপিসহ বিভিন্ন ইফতার পণ্যের দাম এবার গত বছরের চেয়ে বেশি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য রমজান শুরু হওয়ার আগে যা ছিল রমজানের প্রথম দিনেই সেই সব পণ্যের মূল্য বেড়েছে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে বেশি দামেই স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করছেন ক্রেতারা।

রাজশাহীর রেলগেইট এলাকায় ইফতার নিয়ে বসেছেন আব্দুল গাফফার। তিনি বলেন, গত দুই বছর তো করোনার জন্য ব্যবসাই করতে পারিনি। এবার তেমন বাঁধা নাই। তবে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আজ মোটামুটি ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এই যে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে ইফতারি কিনতে, এটা তো ঐতিহ্যবাহী। এটা সবাই খেতে চান। আমাদের কাছে অনেক ধরনের ইফতারি আছে। এখন পর্যন্ত বিক্রি করে কুলাতে পারছি না। সন্ধ্যার আগ মহূর্তে এই ভিড় আরও বাড়বে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

মহানগরীর গণকপাড়া এলাকার রহমানিয়া রেস্তোরাঁর কর্মী রেজাউল করিম জানান, তারা সব রকমের ইফতারের আইটেমই তুলে এনেছেন। যাতে সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারা যায়। যেমন তাদের আছে স্পেশাল ফিরনি, শিক কাবাব, মাটন লেগ রোস্ট, স্পেশাল গরুর তেহারি। এছাড়া ছোলা, বুট, বেগুনিসহ অন্যান্য নিয়মিত ইফতার আইটেম তো রয়েছেই। রমজানের প্রথমদিনে গরমের মধ্যেও ভিড় বেড়েছে।

এদিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়ন্টসহ বিভিন্ন এলাকার হোটেল-রেস্তোরাঁর সমানে বাহারি ইফতারের পসরা সাজানো হয়েছে। সামনে পণ্যের তালিকা সম্বলিত ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোজাদারদের আকর্ষণ করার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর সামনে ডেকোরেশন করা হয়েছে। ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য এবং ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য কেউ কেউ ঢাকা থেকে বাবুর্চিও নিয়ে এসেছেন। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ রকমারি ইফতার দিয়ে সাজিয়েছেন ইফতারের প্যাকেজ। রোজাদারদের জন্য দিচ্ছেন বিভিন্ন অফারও।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সরকার যেকোনো অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা অন্যায় করেন, যারা গাড়ি ভাঙচুর করেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তারাই গ্রেফতার হন।

বিএনপির আন্দোলন বন্ধে সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে দলটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে শুক্রবার জাগো হিন্দু পরিষদ আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

৫ জুন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা চাইতে গত সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

জামায়াতের ঘোষিত সেই কর্মসূচির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের ৫ তারিখের কর্মসূচি বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, বিষয়টি দেখছি।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি সুজন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহসভাপতি সুব্রত পাল।

;

রাসিক নির্বাচন: প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

প্রথমে ৪ মেয়র প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নৌকা, জাতীয় পার্টি মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপনকে লাঙ্গল, জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ারকে গোলাপ ফুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মুরশিদ আলমকে হাতপাখা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শেষে ৩০টি ওয়ার্ডের ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। কোনো প্রার্থী একা কোনো প্রতীক চাইলে তাকে সেটি দেয়া হয়। তবে কোনো প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করা হয়। লটারিতে যে প্রার্থীর নাম ওঠে, সেই প্রার্থী তার পছন্দের প্রতীক পান।

এ দিন প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আসেন। প্রতীক পেয়ে শ্লোগান দিতে দিতে ফিরে যান।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমূখী একটি দল। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিকাশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত ও খুঁশি হয়, সারাদেশের মানুষকে নিয়ে একটি আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আজকে নির্বাচনে প্রতীক নিলাম, এটার মাধ্যমে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমি খুবই আশাবাদী এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো ইন্শাল্লাহ। এই নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাসিকের সাবেক মেয়র।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, আল্লাহ যদি তৌফিক দেন আজ থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবো। যতদূর সম্ভব নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাবো, এটিই আমার প্রত্যাশা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দেখছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করছি।

উল্লেখ্য, আজ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নামছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। নগরীর মোট ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

বাজেট পুরোটাই গরিবের জন্য: অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুরোটাই গরিব মানুষের জন্য।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারাই আগে বলতেন এ দেশে অনেক মধ্য আয়ের মানুষ আছে, কিন্তু তারা ট্যাক্স দেয় না। সময় এসেছে তাদের ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে। এরা সবাই যদি ট্যাক্স দিতো তাহলে অন্যদের ভাগে কম ট্যাক্স দিতে হত। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে সবাইকে ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুই কোটি মানুষের চাকরি ব্যবস্থার জন্য বলেছিলাম। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়েছি। এটা খারাপ না, আমাদের ভালোই অর্জন। আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আমি চাকরির ব্যাপারে যেসব কমিটমেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাজেটে করেছিলাম সেগুলো দিয়েছি। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ কালচারটা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। এ দেশে যা জিনিস তৈরি হবে, তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটবে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

;

রংপুরের সুইপার কলোনিতে আগুন, সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রংপুর নগরীর নিউ জুম্মাপাড়া সুইপার কলোনিতে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০-১২টি পরিবারের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বাদ যায়নি বিছানা, খাট, এমনকি রান্না করা ভাতের পাতিলও।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আগুন নেভাতে সহযোগিতা করা হেলাল মিয়া বলেন, কলোনির মমেনা বেগমের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়া আগুনে অনেকগুলো পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারও ঘরে থাকা সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত সেই মমেনা বেগম জানান, অসুস্থ ছেলের স্ত্রী দেখতে গেছি হাসপাতালই ছিলাম। সেখান থেকে শুনেছি বাড়িত আগুন লেগেছে। আসি দেখি কিছু নাই।

রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার বাদশাহ মাসুদ আলম বলেন, আমাদের তিনটি ইউনিট সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে মোট ১০টি পরিবারের ১০টি বসতঘর, তিনটি রান্নাঘর ও দুইটি গোয়ালঘর পুড়ে গেছে।

;