তাদের চোখে বন্যা যেন মৃত্যুপুরী!



আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২১ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। বেড়াতে গিয়ে বন্যার কবলে পড়ে আটকা পড়েন তারা। গত সোমবার (২০ জুন) সকল অনিশ্চয়তার শঙ্কা কাটিয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে ফেরত আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রায় ৭০ ঘণ্টা পর তারা সেখান থেকে উদ্ধার হন। ফেরত আসা সকল শিক্ষার্থীর চোখেই বন্যা যেন একটি মৃত্যপুরী। যেখানে মৃত্যুকে অতি নিকট থেকে দেখে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বন্যায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীরা।

ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের একজন মারিয়া হাসিবা বলেন, মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। যেখানে আমরা একজন আরেকজনের সহায় ছিলাম। মৃত্যু, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, ধৈর্যধারণ করার ক্ষমতা একদম কাছ থেকে দেখেছি। যেখানে পরবর্তী এক মিনিটের নিশ্চয়তা ছিল না, যেকোন সময় মৃত্যু হতে পারে এটা ভেবেও নিশ্চিন্ত থাকার চেষ্টা করেছি। ওই কয়েকদিন কষ্ট হয়েছে শুধু ঘুম আর কাপড়ের জন্য। সম্পূর্ণ ভেজা কাপড় গায়ে শুকিয়েছে। গলা সমান পানির মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হয়েছে, স্রোত এতো বেশি যে যেকোনও সময় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এমন শঙ্কা কাজ করার পরও স্থির থেকেছি।

তাহসীন নাওয়ার প্রাচী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যেখানে লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৪০ জন। সেই লঞ্চে আমরা ১০০ জনের বেশি। যাত্রার মধ্যে চলতে থাকে কখনো আর্তনাদ আর কান্নার শব্দ। লঞ্চডুবির খবরে সব সময় আমরা মৃত্যুর সংখ্যা গুনি, সেই বিষয়টি মাথার মধ্যে ঘুরছিল। এমন সংখ্যাতেই কি আমি ও আমার বন্ধুদের জীবন শেষ হয়ে যাবে? ট্রমার চূড়ান্ত সময় পার করতে হয়েছে আমাদের।

এ ঘটনায় আজমল হোসেনে প্রান্ত নামে এক শিক্ষার্থী এতোটাই বিমর্ষ যে তিনি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছিলেন না। কিছুটা থেমে তিনি বলেন, দুর্যোগের পুরোটা সময় আমরা নিজেরাই একে অপরের প্রথম অবলম্বন ছিলাম। যখনই কেউ ঘাবড়ে গিয়েছে, আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে; আমরা তাকে মানসিক শক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আটকে পড়ার শুরু থেকেই তাদের অবস্থা গণমাধ্যম, প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছিলেন শোয়াইব আহমেদ। ফিরে আসার পূর্ববর্তী পুরো ঘটনার আদ্যপান্ত বর্ণনা করেন তিনি।

সুনামগঞ্জে আটকাপড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থী

শোয়াইব আহমেদ বলেন, আমরা ১৪ তারিখ রাতে সুনামগঞ্জে যাই। ১৫ তারিখ সেখানে গিয়ে পৌঁছাই। সেদিন তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা প্রথমদিন সুন্দরভাবে টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক উপভোগ করেছি। সব ঠিকঠাক চলছিল। পরের দিন (১৬ জুন) শিমুল বাগান ও বারিক্কা টিলা দেখতে আমাদের লঞ্চ যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু সেই বৃষ্টিই যে আমাদের জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন টেনে আনবে সেটা কেউ আন্দাজও করতে পারিনি।

পাহাড়ি ঢল আর মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পানি খুব তাড়াতাড়ি বাড়ছিল, আর নদীর স্রোত অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল। আর এখান থেকেই শুরু হল বিপদ। পরে আমরা শিমুল বাগান যাওয়া ছেড়ে শহরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করি। লঞ্চ থেকে বিশ্বম্ভপুর নেমে যাই। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চালবনের দিকে যাই। কিন্তু সেখানেও খুবই বাজে অবস্থা ছিল রাস্তার। কোমর সমান পানি ছিল রাস্তার উপর। সেই পানি ভেঙে অটোরিকশা নিয়ে আমরা যাই। অটোরিকশা থেকে নেমে সবার পা তখন নিথর হয়ে যাচ্ছিল, হাঁটতে পারছিল না। এরপর আমরা চালবনে গিয়ে একটা ট্রলারে উঠি। যেটা সুনামগঞ্জ শহরে নিয়ে যাবে। সেই ট্রলারে ওঠার আগ থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল, বৃষ্টির একেকটা ফোঁটা মনে হচ্ছিল বুলেটের মতো আঘাত করছে। আর প্রচুর বজ্রপাত হচ্ছিল। আমরা এক ঘণ্টার পথ প্রায় ৩ ঘণ্টায় পাড়ি দেই। এরপর আমরা সুনামগঞ্জ শহরে পৌঁছি।

তিনি আরও বলেন, এসময় এতো ভারী বর্ষণ হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল গুলি হচ্ছে। কোনোমতে সেখানে পানসী নামে একটি হোটেলে আমরা আশ্রয় নিই। ওই দিন রাতেই ১১টায় ঢাকায় ফেরার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বন্যার পানির কারণে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার সঙ্গে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকলো পানি। সন্ধ্যায় যেখানে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পানি ছিল, সকাল হতে হতে সেখানে গলা পানি।

আটকা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে আমরা ওখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ১৭ জুন পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় পাই। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সেখানে আমরা একটু রেস্ট নেওয়ার সুযোগ পাই। এর আগে আমরা কেউই আগের দিন ঘুমাতে পারিনি, ওয়াশরুম ব্যবহার করতে পারিনি।

তিনি বলেন, ওই সময়টা ছিল উদ্বেগ, ভয় আর উৎকণ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল খাদ্যসংকট। মুড়ি আর গুড় ছাড়া কিছুই পাচ্ছি না আমরা। পুলিশ লাইন্সে গিয়ে আমাদের যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল খাবার ও ঘুম; সেটার ব্যবস্থা হয়। পরদিন ১৮ জুন সকালে স্থানীয় পুলিশ সুপার লঞ্চ ভাড়া করে আমাদের তুলে দেন। সিলেটে পাঠানোর জন্য পুলিশ একটি লঞ্চের ব্যবস্থা করে। সেটিতে করে আমরা যাত্রা শুরু করি সকালে। এই লঞ্চটা আমাদের সবার জীবনের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা দিয়েছে। দুপুর ২টায় লঞ্চ যাত্রা শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র চারভাগের একভাগ যেতে পারে। রাত হওয়ায় নাবিক কিছুই দেখতে পারছিলেন না, নদীর স্রোত এত বেশি ছিল যে নাবিক লঞ্চের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিল না। এসবের কারণে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চ গিয়ে সুরমা নদীর পাশে একটা জায়গায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সবার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এর আগে লঞ্চের দুটো ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তাই আমরা সবাই নিজেদের জীবনের আশা ছেড়ে দিচ্ছিলাম।

শোয়াইব আহমেদ আরও বলেন, লঞ্চ ওখানে আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ৯৯৯ এ কল করি। কিন্তু অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাদের ইমার্জেন্সি বোটগুলোও সাহায্য করতে আসতে পারছিল না।

পরে রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিকে ওই জায়গা থেকে সরানো হয় এবং লঞ্চ আবার চলতে শুরু করে। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে (১৯ জুন) ছাতকের কাছাকাছি একটি ফেরিঘাটে নোঙর করে। তখন সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তারা আমাদের ওই ঘাটেই অবস্থান করতে বলে। আমরা সেখানে অবস্থান করি এবং সকাল ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর ৫টি স্পিডবোট আমাদের ওখানে গিয়ে পৌঁছায়। আমরা সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। এতটা বাজে রাত আমাদের জীবনে কখনো আসেনি। পরে আমাদের সবাইকে গোবিন্দগঞ্জে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে এই লঞ্চ জার্নি। প্রায় ২০ ঘণ্টা পর আমরা ছাতক এসে পৌঁছাই। পরে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে আমাদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়। শোয়াইব আহমেদ বলেন, আমরা যে সবার সঙ্গে আবার দেখা করতে পারব, সেটা ভাবতেই পারিনি। বেঁচে আছি, এটা ভেবেই আনন্দে কাঁদছি বারবার।

‘আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন পুরোটা সময়– বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রক্টর স্যার, বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার এবং বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলার সব বাহিনীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিতে চাই।’

উল্লেখ্য, সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১২টি জেলায় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলার বন্যা পরিস্থিতি তীব্র।

   

মুজিবনগরে দুই চেয়ারম‌্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষ, আহত ১৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
মুজিবনগররে দুই চেয়ারম‌্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষ, আহত ১৩

মুজিবনগররে দুই চেয়ারম‌্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষ, আহত ১৩

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের মুজিবনগরে দুই চেয়ারম‌্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষে ১৩ জন আহত হ‌য়ে‌ছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মু‌জিবনগর উপ‌জেলার মহাজনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম তোতার কাপ পিরিচ সমর্থক ইসলাম শেখ (৬০), রমজান (২৬), শাজাহান ( ২৫), আব্দুর ছাত্তার (৫৫), আনারুল (৫০), পিতা লোকমান শেখ । এদের সবার বা‌ড়ি মহাজনপুর গ্রামে।

অপর দিকে আমাম হোসেন মিলুর আনারস প্রতীকের আহতরা হলেন- সোহরাব হোসেন কালু (৪৮), সাইদ (২২) , সাহাবুদ্দীন (৫২), রাসেল (২২) , হাবিবুর (২২), উজ্জল (৩৩), মেহেরাব (২২), রমজান (১১)। এদেরও বা‌ড়ি মজাজনপুর গ্রা‌মে।

আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে নিয়ে যায়। আহত ইসলাম হোসেনের মাথায় বাঁশের আঘাত গুরুতর হওয়ায় মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে‌ছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ত‌বে এলাকায় পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মুজিবনগরের মহাজনপুর বাজারে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি রফিকুল ইসলাম তোতা ও সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলুর সমর্থক‌দের ম‌ধ্যে উত্তেজনা ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস পাশাপাশি হওয়ায় প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা শুরু হয়।

এক পর্যা‌য়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং আমাম হোসেন মিলু গ্রুপের লোকজন রফিকুল ইসলাম তোতার কাপ পিরিচের অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করে। এতে উভয় প‌ক্ষের ম‌ধ্যে সংঘ‌র্ষে আহত হয় ১৩ জন। খবর পে‌য়ে মুজিবনগর থানা ও কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পে মি‌লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে মু‌জিবনগর থানা।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, প‌রি‌স্থি‌তি নিয়‌ন্ত্রেণে যা যা করণীয় তাই করা হ‌চ্ছে।

;

বৃষ্টির আশায় পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনা করে রাজধানীর মিরপুর পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় পল্লবি ১২ সেকশনের ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা দারুর রাসাদ এর উদ্যোগে এ নামাজে ইমাম ছিলেন বাইতুল আজমত জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।

এর আগে ভোর থেকে ওই মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেয় এ ইসতিসকারের নামাজে।

;

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;