২০১৯ সালেও দেশে থাকতে হবে, ইসিকে বললেন রব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯ সালের জানুয়ারির পরও দেশে থাকতে হবে সেটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেএসডির সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম রব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন না, নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আমরা বলেছি আপনারা জনগণ, আমরাও দেশের জনগণ। আমাদের মা-বাবা, সন্তান নিয়ে দেশে থাকব। ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর আমাদের ও নির্বাচন কমিশনকেও দেশে থাকতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, যাতে আপনারাও দেশে থাকবেন সে বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপি’র সহ-সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নেতা নঈম জাহাঙ্গীর, শাইরুল কবির প্রমুখ।

বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখনই তফসিল ঘোষণা না করতে বলব কমিশনকে। তফসিল আরো পেছানোর দাবি করব।’

সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংলাপে আমাদের দাবি হল সংসদ ভেঙে দেওয়া। ফলে সংলাপের সিদ্ধান্ত আসার পরেই তারা (ইসি) তফসিল ঘোষাণা করবে। সেটা যদি ৭ নভেম্বর হয় তাহলে ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণা করবে।’

এ সময় রব বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, তারা ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে অটল না।’

ইসির প্রতি ঐক্যফ্রন্টের আস্থা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মান্না বলেন, ‘এই কমিশনের প্রতি আস্থা রাখার কোনো বিষয় না।’

ইভিএম প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, ভোটাররা ইভিএম চায় না, রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম চায় না। নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ সংস্থা, তারা কেন ইভিএম চাইবে? কমিশনকে বলেছি, ইভিএম বিষয়ে আপনারা সিরিয়াস হবেন না। তবে তারা আমাদের ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায়নি।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রব বলেন, ‘সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েন হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোথাও কথা বলেনি। তার অর্থ হলো নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। আমরা বলেছি, অতীতের মতো নির্বাচনে সেনা বাহিনী রির্জাভ ফোর্স হিসেবে রাখলে হবে না। সেনাবাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন করতে হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফল ঘোষণার যে নীতিমালা আছে, রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসার যেভাবে সিল মেরে, স্বাক্ষর করে ফল ঘোষণা করে। এবার সেটা পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দিতে হবে। ফলাফলে পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষরও ফলে থাকতে হবে।  কারণ অনেক সময় কারচুপির জন্য পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর আগে নিয়ে নেওয়া হয়। ফল গণনার আগে এজেন্টদের স্বাক্ষর নেওয়া যাবে না।’

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপি’র সহ-সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নেতা নঈম জাহাঙ্গীর, শাইরুল কবির প্রমুখ।

বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

   

সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়। একাত্তরের পরাজিত ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ৭২'র সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ওয়াকিবহাল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংবিধানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে চেয়েছিলেন সেটি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধরে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা আছে বলেই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছিল এই সংগঠন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা উঠলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমারা কি আর জীবিত থাকি প্রশ্ন রেখে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখনো ওরা (স্বাধীনতা বিরোধী) স্লোগান দেয় পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয়। তাই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। ওরা সুযোগ পেলেই সাপের মত ছোবল মারতে চায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ওই কমিশনের আমি প্রধান ছিলাম। এই কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৃপণতার সঙ্গে মাত্র ৫০ কপি প্রকাশ করেছিল। একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংগঠনটির নাম বলতে চাই না। তাদের মূল এজেন্ডা ছিল আমার প্রতিবেদন। তারা বলেছিল, তারা ক্ষমতায় গেলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। হয়তো তারা আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না। সেই সুযোগটা তারা পাবে না। কারণ আজকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যেভাবে জেগে উঠেছে তারা আর আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের অবস্থানে থেকেছেন। নিজেদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। এজন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে অভিবাদন জানাই।

এ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেনসহ প্রমুখ।

;

নোয়াখালীতে পাওয়ার ট্রিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওয়ার টিলারে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।  

নিহত মো.রিফাত (৬) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁধের হাট এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো পাওয়ার টিলার । এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত পাওয়ার টিলারে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় পাওয়ার টিলারের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।  

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া আরও বলেন,নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়ার ট্রিলারটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৫ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। 

এদিকে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক।

বন্দর সূত্রে জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা  টা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিকেল ভিসা ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৮ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এব্ং ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক। অন্যদিকে ঢুকতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার পাসপোর্টধারীরা। তবে মেডিকেল ভিসার পাসপোর্টধারী ও ভারতীয় ভোটার- এমন নাগরিকদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই।

পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালক জমির উদ্দীন জানান, ৫ দিন বন্ধের কারণে বন্দরে আটকা পড়েছি। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারণ সমবপাদক জিয়াউর রহমান জানান, ভারতে নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে ৫দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে তাদের অনেক পণ্যবাহী ট্রাক ওপারে আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতাযাত বন্ধ আছে। তবে মেডিকেল ভিসা চালু আছে। আগামী ২১ মে থেকে সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক এবং ২৩ মে থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।

;

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;