কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু বাইপাস এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব-৭। সোমবার (১৫ অক্টোবর) ভোররাতে তাদের আটক করা হলেও মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে রামু থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আটকরা হলেন, রামু থানার কনস্টেবল ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী পাচারকারী ইয়াছিন আরফাত। এসময় আরও একজন কনস্টেবল পালিয়েছেন বলে র্যাব সুত্র জানায়। আটক সবাই ফেনীর বাসিন্দা।
র্যাব-৭ সুত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে র্যাব- ৭ এর একটি অভিযানিক দল রামু বাইপাস সড়কে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস আটক করে। মাইক্রোবাসটি নিয়ে রামু থানা পুলিশ নৈশকালীন টহল দিচ্ছিল। ওই মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবার চালানটি উদ্ধার করে। এসময় কস্টেবল ইকবাল ও তার সহযোগী ইয়াছিনকে আটক করে র্যাব।
এবিষয়ে জানতে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসানের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনছুর বার্তা২৪.কমকে জানান, আটক গাড়িটি বহু আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কিভাবে কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঢাকা জেলার সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকেই ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ট্যানারিতে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। আগামী এক দিন লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে এখানে। এরপর প্রায় মাসজুড়েই লবণ মাখানো কাঁচা সংগ্রহ করা হবে।
সরকার ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি পশুর চামড়ার দাম বেঁধে দেয়। এ অনুযায়ী, এবার ঢাকার মধ্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিপিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,০০০ টাকা।
কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে ও চামড়া নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চামড়ার দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ঢাকার কদমতলীর মেরাজনগর মাদরাসা মো. বাহারুল হক বলেন, দুটি ট্রাকে করে এক হাজারের বেশি চামড়া নিয়ে এসেছি। আসার পথে আমিনবাজারে সমস্যা হয়েছিল। একটি দল গাড়ি থামিয়ে চাঁদা চেয়েছিল। তবে চামড়া ট্যানারিতে দিব বলে সেখানে বিক্রি করিনি। পরে ট্যানারিতে নিয়ে আসি। বাজারমূল্য হিসেবে যে দাম, সেই হিসেবে দাম পেয়েছি।
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা থেকে ৬০০টির বেশি চামড়া নিয়ে এসেছেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মোটামুটি দাম পাচ্ছি। আর কোথাও যাচাই করিনি। সড়কে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে অবস্থিত আজমির লেদারের মালিক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এখানে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া ঢুকছে। এগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে অন্তত দুই আড়াই মাস রাখা যাবে। আমরা সরাসরি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনছি। আগেই কথা বলা ছিল। সেগুলোই নিচ্ছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, লবণ যুক্ত চামড়া ১২০০ টাকা করে। লবণ মাখাতে ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই খরচ বাদ দিয়ে কাঁচা চামড়া কেনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুপুরের দিক থেকেই চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
চামড়া শিল্পনগরীর প্রস্তুতির বিষয়ে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, দুপুর থেকে এরমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি কাঁচা চামড়া ট্যানারিতে ঢুকেছে। এ বছর আমাদের ছয় লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি আজ ও আগামীকাল আরও চামড়া ঢুকবে। এ পর্যন্ত চামড়া পরিবহনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। আমাদের টিম কাজ করছে।
খাগড়াছড়িতে ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে কায়াকিং করতে নামে পানিতে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ইসরাফিল মানিকছড়ি গুচ্ছগ্রাম এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা যায়, দুপুরে মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে কায়াকিং করতে নামে নিহত ইসরাফিলসহ তিনজন। কায়াকিংয়ের একপর্যায়ে পাড়ে নেমে পুনঃরায় লাফ দিয়ে কায়াকিং বোটে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় ইসরাফিল। সাঁতার না পারায় তাৎক্ষণিক পানিতে তলিয়ে যায়। পরে পার্কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল উদ্দিন জানান, পরিবারের সম্মতিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হচ্ছে।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার খড়িবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় (১৮) উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নাকইল এলাকার সারোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করতে নিয়ামতপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় হৃদয়। দ্রুত গতিতে থাকায় খড়িবাড়ি বাজারে নিয়ামতপুরগামী রাস্তার বাঁকে আমগাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সরকার নির্ধারিত ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ থেকে ২৮ টাকা এবং ভেড়ার চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা। তবে সেই দামে বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। অনেকে ছাগলের চামড়া প্রতি পিচ ৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন। এখন এসব ছাগলের চামড়া কেউ নিতে চাচ্ছে না। যারা কিনছেন তাও ১০ টাকা পিচ কিনছেন।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় চামড়া বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন।
কল্যাণপুর থেকে ছাগলের ১০টি চামড়া নিয়ে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আসেন মৌসুমি ব্যবসায়ী আবুল কালাম। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, একে একে ছয় জন ক্রেতার কাছে এই চামড়া নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু তাদের কেউই কিনতে আগ্রহ দেখাননি। পরে এক ক্রেতা ১০টি চামড়ার জন্য মাত্র ১০০ টাকা দিয়েছেন।
আবুল কালামের মত একই অভিযোগ ধানমন্ডি এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনের। গরুর চামড়ার সাথে ১৯টি ছাগলের চামড়া নিয়েছি। একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এখানে আসার পরে কেউ চামড়া কিনতে চাচ্ছেনা। এখন এক ব্যাপারিকে দিয়ে দিছি। বিক্রি করে যা পায় আমাকে দিতে।
ছাগলের চামড়ার দাম এত কম কেন? জানতে চাইলে সাইন্সল্যাব এলাকার এক আড়তদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, একটা চামড়া ১০ টাকা দিয়ে কিনলেও এর পেছনে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ট্যানারিতে বিক্রির সময় ২০-৩০ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। এ কারণেই এখন কেউ ছাগলের চামড়া কিনতে চান না।