ভালো নেই হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের বিদ্যাপিঠ!



মো. জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ।

নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ।

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভালো নেই নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। হুমায়ূনের নিজ গ্রাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে ৩ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপীঠের বয়স একযুগ পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়টির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি পড়েনি। অত্যন্ত দৈন্যদশার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যাপীঠটি। দীর্ঘদিন হলেও বিদ্যালয়টি এমপিভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত ব্যবস্থা। বিশেষ করে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের ঢেউটিন ভেঙে ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। তাই বর্ষাকালে বিঘ্নিত হয় পড়ালেখার কার্যক্রম।

হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে নানা রকম আশ্বাস দিলেও বর্তমানে আর বিদ্যালয়টির খোঁজ নেন না কেউই।

তবে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও থেমে যায়নি হুমায়ূনের রেখে যাওয়া স্বপ্নের স্কুলের কার্যক্রম। হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পর তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বিদ্যালয়টি পরিচালনার হাল ধরেন এবং তিনি নিজেই বিদ্যালয়টি পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে যাচ্ছেন।

 বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন, বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর (বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী)। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর মেহের আফরোজ শাওনের করা নকশা অনুযায়ী শুরু হয় ভবন নির্মাণের কাজ। দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ শেষে ২০০৬ সালে মাত্র ৪৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের পাঠদান কার্যক্রম।

বিদ্যালয় ভবনে রয়েছে, মোট ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে ১২টি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একটি কক্ষে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ নামে বিশাল পাঠাগার। এছাড়া অন্য একটি কক্ষ অফিস রুম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর তাদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছে ১৫ জন এবং কর্মচারী রয়েছে ৩ জন।

বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১০ সালে আমি হুমায়ূন স্যারের হাত ধরে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করি। স্যার বিদ্যালয়টি নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তিনি আমাদের বলতেন, “তোমরা দেখে নিও, এ বিদ্যালয় একদিন সারাদেশে হইচই ফেলে দেবে। শহরের শিক্ষার্থীরাও একদিন এ স্কুলে লেখাপড়া করতে ছুটে আসবে।” কিন্তু এরই মাঝে স্যার না ফেরার দেশে চলে যান। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি স্যারের সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য।

বিদ্যালয়ের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে। ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ৬৫ জন  শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করে ৪০ জন। এ বছর (২০১৮) এসএসসি পরীক্ষায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয় এবং জিপিএ-৫ অর্জন করে ৯ জন।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সব সময়ই শতভাগ রেজাল্ট করে আসছি। জেলা পর্যায়েও আমাদের প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ঠ হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়টি অদ্যাবধি এমপিওভুক্ত হচ্ছে না। বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

   

নোয়াখালীতে পাওয়ার ট্রিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওয়ার টিলারে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।  

নিহত মো.রিফাত (৬) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁধের হাট এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো পাওয়ার টিলার । এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত পাওয়ার টিলারে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় পাওয়ার টিলারের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।  

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া আরও বলেন,নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়ার ট্রিলারটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৫ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। 

এদিকে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক।

বন্দর সূত্রে জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা  টা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিকেল ভিসা ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৮ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এব্ং ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক। অন্যদিকে ঢুকতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার পাসপোর্টধারীরা। তবে মেডিকেল ভিসার পাসপোর্টধারী ও ভারতীয় ভোটার- এমন নাগরিকদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই।

পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালক জমির উদ্দীন জানান, ৫ দিন বন্ধের কারণে বন্দরে আটকা পড়েছি। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারণ সমবপাদক জিয়াউর রহমান জানান, ভারতে নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে ৫দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে তাদের অনেক পণ্যবাহী ট্রাক ওপারে আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতাযাত বন্ধ আছে। তবে মেডিকেল ভিসা চালু আছে। আগামী ২১ মে থেকে সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক এবং ২৩ মে থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।

;

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;

‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ তাপসকে উদ্দেশ করে খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসি'র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন।

এ সময় একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এ সব কথা বলেন।

‘মেয়র মো. হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু, আমাদের সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা না করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, সামনে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতা আসছে, সেটিকে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা বরং একে অপরকে দোষারোপ না করি! দোষারোপের রাজনীতি না করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা একটি সুন্দর, নিরাপদ ঢাকা চাই। আমাকে কর্তৃপক্ষ যখনই ডাকবে, আমি তখনই হাজির হয়ে যাবো।

বর্তমান ডিএসসিসি মেয়রকে উদ্দেশ করে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দুই, তিনদিন আগে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি কষ্ট পেয়েছি!

আমরা গত বছর (২০২৩) দেখেছি, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের বেশি ছিল। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শ ৫ জন। পত্র-পত্রিকাতেও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। বর্তমান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের কোনো মিল নেই।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৯ সালে থেকে ডেঙ্গু বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও আমি ডেঙ্গু আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা না করে বিদেশে চলে যাইনি। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

;