শিশুর সুস্বাস্থ্যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
প্রতিবার আঁকাআঁকির পর হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবার আঁকাআঁকির পর হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু নিজের সুস্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখাই যথেষ্ট নয়, শিশুদের সুস্বাস্থ্যে দিকেও সমানভাবে নজর দিতে হবে।

শিশুদের প্রতি যতই বাড়তি যত্ন নেওয়া হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে হবে একদম ছোট থেকেই তাদের মাঝে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলানোর জন্য। একদম সাধারণ এই অভ্যাসগুলো শিশুদের মাঝে একদম শুরু থেকেই গড়ে তুলতে পারলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/28/1561703181139.jpg

শিশুরা সহজে খাবার খেতে চায় না। প্রায় প্রতিটি মায়ের একই অভিযোগ, কোন খাবারই সন্তান খেতে চায় না একদম। নিত্যদিন ভিন্ন ঘরানার খাবার তৈরি করেও শিশুদের পছন্দ বোঝা সম্ভব হয় না।

এহেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দেন অনেকেই সন্তানদের হাতে। চিপস, কেক, সুইট বান, জ্যুস মোটেও স্বাস্থ্যকর কোন খাবার নয়। এতে পুষ্টিগুণ তো একেবারেই থাকে না, উল্টো অস্বাস্থ্যকর নানা উপাদানে ভরা থাকে এই মুখরোচক খাবারগুলো।

সন্তান খাবার খেতে না চাইলেও প্রাকৃতিক উপাদান তৈরি বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করে শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ধরুন আপনি শিশুকে ফুলকপি খাওয়াচ্ছেন। গল্পের ছলে তাকে ফুলকপির পুষ্টিগুণের কথা বলুন। ফুলকপি তার শরীরের জন্য কেন ভালো, খেলে কি হবে- এইগুলো জানান। দেখবেন শিশুর আগ্রহ তৈরি হবে ও খেতে চাইবে।

নিয়মিত দাঁত মাজার অভ্যাস

শিশুদের একটা-দুটো দাঁত ওঠার পর থেকেই দাঁত মাজার অভ্যাসটা তৈরি করতে হয়। বিশেষত নিজে হাতে ব্রাশ ধরে দাঁত মাজার মতো বড় হয়ে গেলে এই অভ্যাসটি অবশ্যই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে এই কাজটিও শিশুদের কাছে বিরক্তিকর লাগে এবং তারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে দাঁত মাজার জন্য জোর না করে একসাথে দাঁত মাজতে হবে। দাঁত ও টুথপেস্টের ছোট গল্প তৈরি করতে হবে। একসাথে দাঁত মাজার সময় মজা করতে হবে। আনন্দময় পরিবেশে দাঁত মাজার মতো একঘেয়ে কাজ সারতে পারলে শিশুরা নিজ থেকেই আগ্রহী হবে দাঁত মাজার ক্ষেত্রে।

দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/28/1561703168588.jpg

বেশিরভাগ শিশু রাতে ঘুমাতে চায় না একদম। রাত জাগার অভ্যাস দেখা দেয় একদম ছোট সময় থেকেই। এতে করে শিশুর সাথে তার বাবা-মায়ের ঘুমের সাইকেলেও ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের সাইকেল দ্রুত ঠিক করতে না পারলে, বড় হলে সমস্যা তৈরি হবে। বিশেষত যখন স্কুলে যাওয়ার সময় চলে আসবে, তখন সকালে ঘুম থেকে ওঠা শিশুর জন্য বিভীষিকার মতো মনে হবে।

তাই শিশুর ঘুমের সাইকেল ঠিক করার জন্যে নিজের ঘুমের সাইকেলটিও এগিয়ে নিন। সকল কাজ দ্রুত শেষ করে দশটার মাঝেই রাতে ঘুমের আয়োজন করে ফেলুন। টানা কয়েকদিন এমন করতে পারলে নিজ থেকেই ঘুমের সাইকেল ঠিক হয়ে যাবে।

বাইরে খেলার অভ্যাস

শিশুদের জন্য বাইরে খেলা যতটা জরুরি, ততটাই সত্যি হলো- বাইরে খেলার মতো স্থান এখন একেবারেই নেই। তবে বাসার চেয়ে কিছুটা দূরে কোন পার্ক বা স্থানীয় খেলার মাঠ থাকলে সেখানেই নিয়ে যান শিশুকে। উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রধান সহায়ক। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তবে বারান্দা অথবা ছাদে নিরাপদ স্থানে খেলা করতে নিয়ে যেতে হবে।

টেবিলে বসে নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/28/1561703144406.jpg

অবশ্যই শিশুদের মুখে তুলে খাওয়ানো হলে পেট ভরে খাওয়ানো হয়। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি শিশুর নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তোলা প্রয়োজন। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতো তাকেও টেবিলে বসিয়ে তার সামনে খাবার দিয়ে নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এতে করে খাবার খাওয়ার সময় শিশুরা আপনপনে খাবার খাবে ও মাকে জ্বালাতন করবে না।

হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস

এই অভ্যাসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যতই চোখে চোখে রাখা হোক না কেন, ময়লা জিনিসে তারা হাত দেবেই। এছাড়া খেলাধুলার সময়, আগ্রহবশত কোন জিনিস ধরার সময়, আঁকাআঁকির সময় হাত নোংরা হয়েই যায়। পরে এই নোংরা হাতে কিছু খেলে কিংবা মুখে দিলেই বিপত্তি। তাই শিশুদের শেখাতে হবে, যেকোন কাজ, খেলা ও জিনিস ধরার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার অভ্যাসটি। এতে করে শিশুর সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে অনেকখানি।

আরও পড়ুন: শিশুদের আত্মার খোরাকে সাহিত্য, শিল্পকর্ম ও সংগীত!

আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য খেলাধুলা কেন প্রয়োজন?

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;