১৪২৬ বর্ষবরণের আয়োজন

বৈশাখী সাজে আলো ছড়াবে বাহারি টিপের সম্ভার



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি কৃতজ্ঞতা: সারানা, ক্রাফটোমাইজ ও আরটোপলিস।

ছবি কৃতজ্ঞতা: সারানা, ক্রাফটোমাইজ ও আরটোপলিস।

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন এক রঙা ছোট-বড় গোল ও লম্বাটে বর্ণীল বিভিন্ন ধরণের টিপ পাওয়া যেত।

হালকা সাজ মানেই পোশাকের সাথে মানানসই রংয়ের টিপ ললাটে জুড়ে দেওয়া। পরবর্তী সময়ে আসলো পাথর খচিত ছোট-বড় আকৃতির বেশ জাঁকজমক টিপের প্রচলন। বাহারি পাথরের টিপের আধিপত্য ছিল বেশ লম্বা সময়।

তবে গত কয়েক বছরে টিপের ধরণে এসেছে বেশ বড়সড় পরিবর্তন। এখন হাতে তৈরি, হাতে আঁকা, হাতে কাটা কিংবা ছোট চার্মযুক্ত টিপের দিকেই নারীরা ঝুঁকছেন বেশি। এমন টিপের মাঝে ঐতিহ্য, সৌন্দর্য ও আধুনিকতা মিলেমিশে একাকার। হালকা সাজের সঙ্গে এমন একটা টিপেই যেন পরিপূর্ণতা চলে আসে পুরো সাজ-পোশাকে।

বৈশাখের আয়োজনে দেশীয় পোশাকের সঙ্গে এমন টিপ না থাকলে অপূর্ণ রয়ে যাবে পুরো বাঙালিয়ানা বৈশাখের সাজ। তাইতো টিপের খোঁজ ও টিপ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে বার্তা লাইফস্টাইলে আজকের বিশেষ আয়োজনটি।

সারানা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706542049.jpg

আসন্ন বৈশাখ উপলক্ষে অসংখ্য নতুন নকশার টিপ এনেছে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সারানা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও উদ্যোক্তা নওরিন আক্তার জানান, বৈশাখের অন্যতম মোটিফ হিসেবে থাকছে মাছের নকশার টিপ। পাশপাশি গ্রীষ্মকালকে মাথায় রেখে এনেছেন তরমুজ আকৃতির টিপ। এছাড়া প্রায় ২৫টি ভিন্ন ও নতুন চার্মযুক্ত টিপ প্রাধান্য পেয়েছে সারানার এই বৈশাখের আয়োজনে।

চার্মের মাঝে হাতি, পেঁচা, ইলিশ মাছের সঙ্গে প্রজাপতিও ঠাঁই পেয়েছে টিপের পাতায়। এছাড়া ১০টি ভিন্ন ও নতুন ধরনের ফুলের বিডস থাকবে টিপের সঙ্গে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706573933.jpg

‘ক্রেতারা মূলত কোন ধরনের টিপ বেশি পছন্দ করেন’? এমন প্রশ্নের মুখে নওরিন আক্তার জানান, ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছেন টিপের পুরো ক্যানভাস জুড়ে নকশা থাকা টিপগুলো। এছাড়া বড় ফুল ও জ্যামিতিক নকশার টিপের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বরাবরই বেশি থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706603194.jpg

একজন টিপপ্রেমী ও টিপের কারিগর হিসেবে নওরিন বলেন, ‘সাজে যদি ফিকশন থাকে, তবে টিপ নিয়েও করা যায় নিরীক্ষা। পোশাকের সাথে একদম কনট্রাস্ট রঙের টিপ পরা যেতে পারে। টিপের ক্যানভাসে যদি থাকে পেঁচা, হাতি অথবা মাছের মোটিফ, বৈশাখী আবেদনে বেশ একটা প্রাণ চলে আসবে। আবার সাদা-লাল শাড়ির সঙ্গে বড় একটা লাল ফুলেল টিপও সাজে নিয়ে আসবে বাঙ্গালিয়ানা’। সারানার টিপগুলো পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মাঝে।

ক্রাফটোমাইজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706627149.jpg

ক্রেতাদের পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখেই ছোট ও বড় দুইটি ভিন্ন আকৃতির টিপ প্রাধান্য পেয়েছে ক্রাফটোমাইজের বৈশাখী টিপ সংগ্রহে। প্রতিটি বৈশাখী টিপের পাতায় ৫-৬টি ভিন্ন ভিন্ন নকশার টিপ পাওয়া যাবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706648576.jpg

ক্রাফটোমাইজ মূলত অলংকার তৈরির কাজ করে থাকে। অনলাইন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা লায়লা ইসমাত জাবিন জানান, গহনার সাথে ক্রেতাদের উপহার দেওয়ার জন্যে টিপ তৈরি করেছিলেন। সেখান থেকে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়ে এবারের বৈশাখেই প্রথমবারের মতো টিপ এনেছে ক্রাফটোমাইজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706669007.jpg

আকৃতি ও থিমভিত্তিক টিপের নকশা অনুযায়ী রয়েছে চমৎকার সকল নাম। বড় টিপের পাতার ৫টি ভিন্ন থিমের টিপ হলো: কামিনী, রঙ, অংকন, আদি, বৃহন্নলা, এবং ছোট টিপের পাতার ৩টি ভিন্ন থিমের টিপ হলো: কামিনী, রঙ, অংকন। প্রচারমূলক মূল্যে প্রতিটি টিপের পাতা পাওয়া যাবে ১০০ টাকায়।

আরটোপলিস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706691824.jpg

আধুনিক ও ভিন্ন ঘরানার টিপের পরিসরে ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছেম আরটোপলিস-এর সুমাইয়া সায়েদ। বৈশাখে নতুন টিপের জন্য ফ্লোরাল ঘরানার টিপ প্রাধ্যান্য পেয়েছে এবারের সংগ্রহে। সুমাইয়া জানান, প্রচলিত লাল-সাদা টিপের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে এসেছে অনেকেটাই। ক্রেতারা এখন বেশি ঝুঁকছেন রঙিন টিপের প্রতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706715256.jpg

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি টিপ কয়েকবার মাত্র ব্যবহারের পর টিপটি অথবা টিপের আঠা নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দারুণ বিষয় হলো, আরটোপলিস এনেছে পুনঃব্যবহারযোগ্য টিপ। তিপের উপরাংশের মেটাল কিংবা প্লাস্টিকের চার্মটি সাবধানতার সঙ্গে উঠিয়ে পছন্দনীয় ভিন্ন টিপে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে বি৬০০০ আঠা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706731214.jpg

তবে একই টিপের আঠা নষ্ট হয়ে গেলে সুমাইয়া নেইলপলিশ গ্লু ব্যবহার পরামর্শ দেন। তিনি নিজেও টিপের আঠা পুনরায় ঠিক করতে এই পদ্ধতিই ব্যবহার করেন। সঙ্গে তিনি টিপের নিচের অংশে আঠা ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

বিভিন্ন ডিজাইন ও আকৃতির আরটোপলিসের প্রতি পাতা টিপের মূল্য পড়বে সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা।

বৈশাখের সাজে নতুনত্ব ও ভিন্নতার আমেজ আনতে প্রচলিত ধারার বাইরে এমন ঘরানার টিপ সমাদর পাবে সবসময়ই। পুরো সাজসজ্জার সরঞ্জামে টিপের সংগ্রহ রাখতে ভুলবেন না যেন।

আরও পড়ুন: এবারের বৈশাখে কোন মোটিফে কেমন পোশাক!

আরও পড়ুন: সংগ্রহে রাখার মতো সেরা পাঁচ ‘লাল লিপস্টিক’

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;