জিপি’র অডিট: রিভিউ শুনানিতে ভাগ্য নির্ধারণ বৃহস্পতিবার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণফোন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে তাদের অডিটকৃত দাবির প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় কত টাকা দেবে তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)।

আপিল বিভাগ গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদেশ দিয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আর ২৬ জানুয়ারি গ্রামীণফোন আদেশের বিপরীতে রিভিউ আবেদন করে ৫৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করে।

এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে টাকা পরিশোধ না করে তাহলে বিটিআরসি আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে আপিল বিভাগের রায়ে উল্লেখ রয়েছে। সে অনুসারে প্রশাসক বসানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিটিআরসি।

এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবারের রিভিউ আবেদনের শুনানিকেই ধরা হচ্ছে অডিট বিষয়ে গ্রামীণফোনের ভাগ্য নির্ধারণের দিন।

আপিল বিভাগের রায়ের বিপরীতে গ্রামীণফোন যে আবেদন করেছে সেখানে ৫৭৫ কোটি টাকা এক বছরে সমান বারোটি কিস্তিতে পরিশোধ করার প্রস্তাব করেছে অপারেটরটি।

দুই পক্ষে আইনজীবীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, যেখানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মহমুদুল হোসাইনসহ আপিল বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতিরা উপস্থিত থেকে আগে দেওয়া তাদের রায়ের বিষয়ে গ্রামীণফোনের রিভিউ প্রস্তাব শুনবেন।

এর আগে ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের জন্ম থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে হিসেব নিয়ে বিটিআরসির করা অডিটে মোট ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করা হয়। যার মধ্যে বিটিআরসির অংশ ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি আর এনবিআরের অংশ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।

বিটিআরসির পাওনা দাবির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটির টাকার মধ্যে মূল দাবি ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার ওপর। আর বাকি ৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা হিসেব করা হয়েছে ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি ধরে, যেটি মূল টাকার ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে হিসেব করা হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি বিটিআরসি আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করে। সেখানে বিটিআরসি’র দাবিকৃত মূল টাকার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৫৭৫ কোটি টাকা জমা দেয়ার আবেদন করে।

রিভিউ পিটিশান দাখিল করার দিনে বিষয়টি সম্পর্কে গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতে নির্দেশনায় দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনায় অংকটি তাদের কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে, যেটি মূল দাবির ৮৭ শতাংশ। আর সে কারণেই বিষয়টি তারা পুনঃবিবেচনার জন্যে আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগ গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও তারা এর সার্টিফাইড কপি পায় ২৯ ডিসেম্বর। আর নিয়ামানুযায়ী এক মাসের মধ্যে রিভিউ আপিল দাখিল করেন তারা।

এর আগে পাওনা দাবি আদায়ে গত বছরের ২২ জুলাই অপারেটরটিকে সকল রকমের অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি, যেটি এখনো বিদ্যমান আছে।

এর আগে রবি’র কাছে বিটিআরসি’র ৮৬২ কোটি টাকা অডিট দাবির প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাদেরকে প্রতি মাসে ২৭ কোটি টাকা করে পাঁচ মাসে ১৩৭ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশনা দেন। সে অনুসারে প্রথম কিস্তি তারা পরিশোধও করেছে।

ফলে তাদের সকল অনুমোদনও গ্রামীনফোনের সঙ্গে বন্ধ করা হলেও সেটি পরে তুলে নেওয়া হয়।

এর আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই অপারেটরের ব্যন্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া হলেও সেটি আবার তুলে নেয় বিটিআরসি।

   

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;

বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশর থেকে বোয়িংয়ের দু’টি উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত বিমানের ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। আদালতে দুদক শাখা জানায়, চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক মামলাটি তদন্ত করছেন।

চার্জশিটভুক্তরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক, সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার।

এ ছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপপরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

অব্যাহতি সুপারিশকৃত ১৪ জন হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান ফারুকী, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামিম, উপমহাব্যবস্থাপক জিয়া আহমেদ, সাবেক চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজাদ রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক (শাহিন), ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা ও সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার। এদের মধ্যে থেকে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তে নাম আসায় নতুন করে ৭ জনকে আসামি করা হয়। 

;

কাচ্চি ভাই’র মালিক সোহেল সিরাজের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় মালিক সোহেল সিরাজকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ জামিন মঞ্জুর করেন। সিরাজের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, মোখলেছুর রহমান বাদলসহ প্রমুখ আইনজীবী।

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, সোহেল সিরাজ ঘটনার সময় বিদেশে ছিলেন। এ ঘটনায় তার কোনো অবহেলা নেই। এ মামলায় আগে গ্রেফতার চারজন জামিনে আছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আয়কর দাতা। জামিনে মুক্তি দিলে তিনি পালাবেন না। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৭ মে রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমেগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে।

৮ মে সিআইডি তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১০ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যায়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করে। ঘটনার পরপরই সোহেল সিরাজ দেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান। সিরাজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

;

কনডেমড সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ের আগে কনডেমড সেলে নেওয়া যাবে না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার (১৫ মে) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, চূড়ান্ত রায়ের আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেওয়া যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ আপিল করেন।

তার আগে, সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এরপর গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।

;