‘সংসার রক্ষার চাইতে আইনের বিধান বড় হতে পারে না’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
হাইকোর্ট/ ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘স্বামী-স্ত্রীর ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটিয়ে দাম্পত্য জীবন বলবৎ রাখতে চাইলে আইনের বিধান যত কঠিনই হোক না কেন তা সংসার রক্ষার চেয়ে বড় হতে পারে না। একটি সংসার ভেঙে গেলে পাবিরবারিক, সামাজিক ও অর্থনেতিক বিপর্যয়ই ঘটে, সন্তান ও স্বজনদের উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি মামলার পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। স্বামীর বিরুদ্ধে এ আইনে করা মামলায় দণ্ডের পর ভুল বোঝাবোঝির অবসান হলে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত এ মন্তব্য করেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘আইনের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা যান্ত্রিক হতে পারে না। আইনের শাসনের মুল লক্ষ্যই হলো অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজে শৃঙ্খলা ও শান্তি সুনিশ্চিত করা। পারিবারিক বা দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি ও মনোমালিন্য অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। যৌতুকসহ নানা অজুহাতে স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন নি:সন্দেহে নিন্দনীয় ও গর্হিত অপরাধ। এরপরও স্বামী-স্ত্রীর ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটিয়ে দাম্পত্য জীবন চলমান রাখতে চাইলে আইনের বিধান যত কঠিনই হোক না কেন সেটি সংসার রক্ষার চেয়ে বড় হতে পারে না।’

গত ১০ এপ্রিল প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে ঐদিন থেকেই রায়টি পাওয়া যাচ্ছে।মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের লাভলী আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার গচিহাটা গ্রামের মো. সফিকুল ইসলামের বিয়ে হয় ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি। এরপর সফিকুল ইসলামের নৌ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে এই দম্পতি চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করে। বিয়ের তিন মাস পর ১২ এপ্রিল সফিুকুল ইসলাম স্ত্রীর কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

কাঙ্ক্ষিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। একই বছরের ৯ জুলাই লাভলী আক্তার একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান শফিকুল ইসলামকে। ১৭ জুলাই সফিুকুল ইসলাম শ্বশুর বাড়িতে এসে লাভলী আক্তারকে যৌতুকের জন্য ফের মারধর করেন।

২০১২ সালের ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় যৌতুকের অভিযোগে লাভলী আক্তার মামলা করেন সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিললে আদালত অভিযোগ আমলে নেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সফিকুল ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। বিচারের শুরু থেকে রায় পর্যন্ত পলাতক ছিলেন সফিকুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি পলাতক সফিুকুল ইসলাম নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর সফিকুল ইসলাম নিম্ন আদালতের সাজার রায় বাতিল চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে। ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর ও রুল জারি করেন।

এরই মধ্যে সফিকুল ও লাভলী একসঙ্গে বসবাস করতে থাকেন। একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় তাদের। এসব তথ্য জানিয়ে বাদী লাভলী আক্তার হলফনামায় জানান, তাদের দাম্পত্য জীবন বলবৎ আছে। মামলাটি আপোষের মাধ্যমে মীমাংসার আরজি জানান বাদী।

কিন্তু আইনে আপোষের সুযোগ না থাকায় হাইকোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৬১-এ ধারায় এ রায় দেন। আদালত বলেছেন, ‘১১ (গ) ধারা আপোষযোগ্য হলে এ ধারায় মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। এতে করে ট্রাইব্যুনালসমূহ মামলা জট থেকে যেমন রক্ষা পাবে, অন্যদিকে বিবাদমান ঘরে শান্তি ফিরে আসবে।’

   

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;