ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় বিচারক মো. মাসুদ আলী। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেলে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদর উপজেলার দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এসময় কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে ভ্যানচালক রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এলোমেলো হয়ে ভ্যান রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোহাগ আহম্মেদকে একমাত্র আসামি করে মামলা রুজু হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ওই মামলার আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।

;

আন্দালিব রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ

  • Font increase
  • Font Decrease

সেতু ভবনে হামলার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পার্থকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মহাখালীতে সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার করা হয়।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আরও প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৪১ জনকে।

এ নিয়ে গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারা দেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গ্রেফতারের এ তথ্য জানা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই গ্রেফতার অভিযান চলছে।

;

পার্থকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আন্দালিব রহমান পার্থ

আন্দালিব রহমান পার্থ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আদালতে এই আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন-উর-রশিদ জানিয়েছেন, বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে ব্যারিস্টার পার্থকে গ্রেফতার করা হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থকে মহাখালীতে সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আরও প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৪১ জনকে।

এ নিয়ে গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারা দেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গ্রেফতারের এ তথ্য জানা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই গ্রেফতার অভিযান চলছে।

;

রায় থেকে তদন্তে অরিত্রির আত্মহত্যা মামলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী/সংগৃহীত

ছবি: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী/সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঁচ দফা পিছিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক রায় ঘোষণা না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য, ছিল। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও সর্বশেষ ৩ মে রায় ঘোষণার তারিখে পেছানো হয়।

মামলার দুই আসামি হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। তারা জামিনে আছেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ২০ মার্চ অরিত্রিকে আত্মহত্যা প্ররোাচনার অভিযোগে দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। চার্জশিটের ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।

ওই ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

;