হত্যা মামলার আসামিদের জামিন, বিচারককে জুতা নিক্ষেপ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে ইয়াকুব আলী (৮৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার সাত দিনের মাথায় ১৬ আসামির জামিন মঞ্জুর করায় বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছেন মামলার বাদী। এ ঘটনায় হত্যা মামলার বাদী মিনারা আক্তারকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলী আদালত-১ এর বিচারক অলরাম কাজীর আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আদালত এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোর্ট পুলিশকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।

বাদী মিনারা আক্তার সাতমেরা এলাকার ইয়াকুব আলীর মেয়ে।

স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর জমি নিয়ে বিরোধে ইয়াকুব আলীর মৃত্যু হয়। ওই দিনই রাতেই মিনারা বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার প্রধান আসামিসহ ৩ জন বাদে ১৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।

তবে নিহতের পরিবার বিচারকের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টাকার বিনিময়ে বিচারক অন্যায়ভাবে আসামিদের জামিন দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে মিনারা আদালত প্রাঙ্গণে চিৎকারসহ আর্তনাদ করলে তাকে আটক করে পুলিশ। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আজ আমার বাবার কুলখানি। এর মাঝে তারা আমাদের দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে আসে। আদালত বিবাদীর পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে তাদের জামিন দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। মিনারার বড় বোন ফাহিমা আক্তার বলেন, আমরা বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু আদালত কিভাবে হত্যা মামলায় আসামিদের জামিন দিলো এটা আপনারাই বলুন। আমরা কোন ভুল করিনি। আমরা বাবা হত্যার বিচার দাবি করছি।

মিনারার ভাবি রৌশনা বেগম অভিযোগ করে জানান, বিচার চাইতে এসে আমাদের বাদীকে উল্টো আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা তার পরেও আসামিদের জামিন দিয়ে উল্টো আমার ননদকে আটক করেছে আদালত। আমরা হত্যার বিচারসহ মিনারার মুক্তি চাই।

মিনারার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব বলেন, আদালত যে কোন রায় দিতে পারে, কিন্তু আমরা কখনো দেখিনি যে হত্যা মামলায় আসামিদের সরাসরি জামিন দিতে। আমরা দেখেছি বিচারক অলরাম কাজী ৩০৭ ধারার মামলার জামিন দিতে গড়িমসি করে। ৩২৩ ধারার মামলার ক্ষেত্র বিবেচনায় হাজতে নেন। তাহলে ৩০২ ধারার মামলায় তিনি কিভাবে জামিন দিলেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাকিবুত তারেক বলেন, এই মামলায় যারা মূল আসামি তারা অনুপস্থিত ছিল। সম্ভবত মূল আসামি না থাকায় অন্যদের আদালত বিবেচনা করে জামিন দিয়েছে। এর মাঝে রায় শেষে বাদী আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বিচারককে লক্ষ্য করে তার পায়ের জুতা নিক্ষেপ করেন।

পঞ্চগড় জেলা জজ আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) জামাল হোসেন বলেন, শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন দিলে বাদী কাঠগড়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এসময় নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তাকে সেখান থেকে নামানোর জন্য চেষ্টা করা হয়। এদিকে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তরুণী বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় আমরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারকদের আলোচনা চলছে। তবে আদালতের নির্দেশ পেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী আদালতে কোর্ট পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

   

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;