নির্যাতিত মানবগোষ্ঠী শান্তি ও নিরাপত্তা খুঁজে পায় ইসলামের ছায়াতলে



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মীয়, জাতিগত, ভাষাগত সংখ্যালঘুর মানবাধিকারের দাবিতে সোচ্চার বিশ্ব সম্প্রদায় আইনগত ও সামরিক-বেসামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেও বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত মানবতার আহাজারি থামাতে পারছে না। বরং ইসলামে সংখ্যালঘুর অধিকার সংরক্ষণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত থাকার পরেও মুসলিমরাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। ‘ইসলামে সংখ্যালঘুর অধিকার’ সম্পর্কে ঐতিহাসিক পর্যালোচনা: পর্ব- ৪

পারস্যের মতো একই মানবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় আফ্রিকা ও স্পেন বিজয়ের সময়েও। আরিয়ান, পেলাসজিয়ান ও অন্যান্য বিরোধী মতের যে লোকেরা ঐতিহ্যগতভাবে এতকাল ছিল গোঁড়াদের হিংস্রতা ও বিদ্বেষের শিকার, আইনবর্জিত সৈনিকদের তৃপ্তির খোরাক এবং নৈতিকতাবর্জিত পুরোহিত শ্রেণির রসনার বস্তু; সে সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানবগোষ্ঠী শান্তি ও নিরাপত্তা খুঁজে পায় ইসলামের ছায়াতলে।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যে ইহুদি সম্প্রদায়ের শত্রুতার ফলে নবগঠিত মদিনার ইসলামী গণরাজ্য সূচনাকালেই প্রায়শ বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় ধ্বংসের মুখে এসে পড়েছিল- সেই ইহুদিরাও মুসলমানদেরকে রক্ষক হিসাবে পেল। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দিচ্ছে যে, খ্রিস্টান কর্তৃক অপমানিত, লাঞ্ছিত, লুণ্ঠিত ও ঘৃণিত হয়ে ইহুদিরা অমানবিকতা থেকে রক্ষা পেতে ইসলামের শাসন বিধানের মধ্যে আশ্রয় ও নিরাপত্তা গ্রহণ করায় এক মনুষ্যত্বপূর্ণ, স্বাধীন ও নিরাপদ জীবনের সন্ধান লাভ করে, যা তাদেরকে দিতে নিষ্ঠুরভাবে অস্বীকার করেছিল খ্রিস্টান জগত।

বস্তুত পক্ষে, ইসলাম মানুষকে সামগ্রিক সাম্য ও নিরাপত্তার এমন একটি ঐশ্বরিক বিধান দান করেছে, যা স্পষ্টতা ও সরলতার কারণে যতই পুরাতন হোক-না-কেন, জাগতিক সভ্যতার উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরম উৎকর্ষ লাভের উপযুক্ত। ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য দান করেছে একটি মানবিক অধিকার ও কর্তব্যের সঠিক উপলব্ধিভিত্তিক নমনীয় শাসনতন্ত্র, যার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যই হচ্ছে নাগরিক সমাজের জন্য সার্বজনীন সুশাসন নিশ্চিত করা। ইসলাম কর সীমিত করে, সব মানুষকে আইনের দৃষ্টিতে সমান করে দেয়, এবং স্বায়ত্তশাসনকে আদর্শ নীতি বলে গ্রহণ করে। ইসলাম নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে আইনের অধীনস্থ করে দিয়ে সার্বভৌম ক্ষমতার একক বা স্বেচ্ছাচারী অপব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে আর সেই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি ঐশ্বরিক নিদের্শ ও ধর্মীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং মানবিক স্খলন, পতনমুক্ত হয়ে একটি উন্নততর মানবিক ও নৈতিকভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

ফলে বলা যায়, ইসলামের শাসন নীতিসমূহ, বিশেষ করে অমুসলমান ও সংখ্যালঘু সংক্রান্ত বিধানগুলোর প্রতিটিই এর প্রতিষ্ঠাতাকে অমর করেছে এবং এর সৌন্দর্য ও কার্যকারিতা জীবন বিধান হিসাবে ইসলামের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। অতএব, ঐতিহাসিকভাবে দেখতে পাওয়া যায় যে, ইসলামী জীবন ব্যবস্থা এর রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে এমন শক্তি ও তেজ দান করেছে, যা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থার শক্তি ও তেজের চেয়ে বেশি এবং অন্য যে কোনো আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থার চেয়ে গুণগত বিচারে শ্রেষ্ঠ। যে কারণে, এর প্রতিষ্ঠাতার সংক্ষিপ্ত জীবনকালের মধ্যেই ইসলামের এই ব্যবস্থা রোমান সাম্রাজ্যের চেয়েও অধিক বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে; ব্যবস্থাটি এর মৌলিক চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়ে এবং এর অধীনস্থ অঞ্চল ও মানুষের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিপীড়িত মানবতার উদ্ধারের একটি কার্যকরী, সাম্যভিত্তিক, সম্মানজনক, মানবিক ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসাবে মানব সমাজে আদরণীয় হয়।

ইসলামী জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থ ব্যবস্থায় ভারসাম্য, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের ভিত্তিতে নাগরিক সমাজের সকল সদস্যের মধ্যে ভারসাম্য সৃজনের পেছনে প্রাথমিক শাসকের আদর্শিক দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা, ত্যাগ, মহত্ত্ব আর স্বচ্ছতার অনুভূতিজাত আচরণ ও কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী উজ্জ্বলতম উদাহরণ হয়ে রয়েছে। শিবিরে, নগরে, মসজিদে, গৃহে, যে কোনো স্থানে তাদের সঙ্গে জনসংশ্লি¬ষ্ট বিষয়ে যে কোনো লোকই, যে কোনো সময়ে দেখা, সাক্ষাৎ ও যোগদান করতে পারতেন। প্রত্যেক শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাসক বা আমীর উল-মোমিনীন প্রকাশ্য জনসমক্ষে ওিই দিনের উল্লেখযোগ্য মনোনয়ন ও ঘটনাবলীর বিবরণ দিতেন। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা এই উদাহরণ অনুসারে কাজ করতেন।

এ হল সর্বোত্তম গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি; সর্বোৎকৃষ্ট জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা। ইসলামের খলিফা, যিনি একই সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক ও ধর্মীয় নেতা, তিনি কোনো ঐশ্বরিক আবরণ বা পুরোহিততান্ত্রিকতার আড়ালে অবস্থান করতেন না। রাষ্ট্রের প্রশাসনের ব্যাপারে তিনি তার প্রজাদের কাছে দায়ী থাকতেন। বিশেষ করে, প্রাথমিক খলিফাদের মধ্যে নাগরিক সমনাধিকার ও জনকল্যাণের প্রতি কঠোর নিষ্ঠা আর জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে অনাড়ম্বর-সরলতা ছিল আল্লাহর ভয় আর হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঠিক অনুসরণ থেকে উদ্ভূত। তারা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মতই মসজিদে প্রচার ও প্রার্থনা করতে; বাড়িতে গরীব ও দুঃখী মানুষকে নিজের সঙ্গে একত্রে বসিয়ে আপ্যায়িত করতেন; সকলকে সমান চোখে দেখতেন; অতি সামান্য অভিযোগ শুনতেও ক্রুটি করতেন না। অনুচরবর্গ নেই, জাঁকজমক বা উৎসবানুষ্ঠান নেই, তারা শাসন করতেন মানবিক হৃদয়বৃত্তি আর নিজেদের উন্নত-নৈতিক চরিত্রের বলে।

মানুষের জন্য নিজের সমস্ত কিছু বিলিয়ে দিয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যেভাবে জীবন-যাপন করেছেন, তার অনুসারীগণও (রা.) একই সরল আর সাদাসিদা পন্থা অনুসরণ করেন। হজরত আবু বকর (রা.) মৃত্যু শয্যায় তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে যান শুধু এক প্রস্ত পোষাক, একটি উট আর একজন খাদেম। জেরুজালেমের আত্মসমর্পণ গ্রহণ করতে হজরত ওমর (রা.) সেখানে গিয়েছিলেন মাত্র একজন খাদেম সঙ্গে নিয়ে এবং তাকে সমান সুযোগ ও আরাম দিয়ে। হজরত ওসমান (রা.) মুক্ত হস্তে তার সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন। হজরত আলী (রা.) জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভাণ্ডার থেকে মানুষকে অকাতরে দান করে তাদেরকে নৈতিকভাবে আলোকিত করার পাশাপাশি সরকারী অর্থকোষ থেকে প্রাপ্ত ভাতা দুস্থ ও পীড়িতদের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন। তারা সকলেই ছিলেন কোরআন-সুন্নাহর আলোকে রচিত নীতি ও আচরণের দ্বারা অনুপ্রাণিত ‘মানবতার মহত্ত হেফাজতকারী’; মুসলমান-অমুসলমান-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সকল মানুষের শান্তি, সম্মান, মর্যাদা, নিরাপত্তা, আমানত আর সুখ-সুবিধার রক্ষাকারী।

ইসলামের মহান প্রতিষ্ঠাতার প্রথম প্রতিনিধি হজরত আবু বকর (রা.)-এর স্বল্পকালীন সময়ের কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় মরুউপজাতিগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার কাজে। দ্বিতীয় প্রতিনিধি হজরত ওমর (রা.) অধীনস্থ অঞ্চল ও এর মানবমণ্ডলীর সামগ্রিক বিকাশ, উন্নয়ন ও কল্যাণের প্রচেষ্টাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেন। তৎপরবর্তী হজরত ওসমান (রা.) এবং হজরত আলী (রা.) অন্তর্ঘাত ও বিভেদের মধ্যে শান্তি ও কল্যাণের প্রশ্নে আপোসহীন থেকে সামাজিক-রাষ্ট্রীয়-মানবিক স্বার্থে ব্যক্তিগত স্বার্থ, ক্ষমতা ও সুখ বিসর্জন দেওয়ার অনুপম নজির রেখে গেছেন।

এই চার জন মহতী প্রতিনিধির মাধ্যমে গড়ে ওঠা খোলাফায়ে রাশেদীনের সামষ্টিক শাসনামলে মুসলমানদের রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সীমিত ক্ষমতার অধিকারী একজন নির্বাচিত নেতা কর্তৃক শাসিত একটি ন্যায়ভিত্তিক, নৈতিকতা ও সমানাধিকারের মূর্ত প্রতীক একটি জনপ্রিয় সরকারের প্রতিচ্ছবি। সরকার প্রধানের বিশেষ ক্ষমতা সীমাবদ্ধ ছিল বিভিন্ন প্রশাসনিক ও নির্বাহী বিষয়ের মধ্যে যেমন: পুলিশের ব্যবস্থাপনা, সৈন্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক বিষয়ের পরিচালনা, অর্থ সম্পর্কীয় আয়-ব্যয় ইত্যাদির মধ্যে। কিন্তু বিধিবদ্ধ আইনের কাঠামো, তথা কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ করার অধিকার তার ছিল না। স্বাধীন বিচারালয়গুলো সরকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। আদালতের সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। আইন-আদালত কর্তৃক দণ্ডিত অপরাধীদের ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রাথমিক খলিফাদের ছিল না। আইন দরিদ্রের জন্য আর ধনীর জন্য, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তির জন্য আর মাঠের কাজে নিযুক্ত মজুরের জন্য, মুসলমান আর অমুসলমানের জন্য, সংখ্যাগুরু আর সংখ্যলঘুর জন্য, স্থায়ী বাসিন্দা আর মুসাফিরের জন্য সমান ছিল। যদিও সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থার আদি ও অকৃত্রিমতা শিথিল হয়ে যায়, তথাপি বহু পরেও, বংশানুক্রমিক শাসকদের আমলে, যে আমলে ক্ষমতা অনেক সময় সীমাহীন আর স্বৈরতান্ত্রিক হত, শাসকগণ আইনের সীমা লঙ্ঘন করলে আইনশাস্ত্রবিদদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ঘোষণা দ্বারা তাদেরকে সংযত ও নিবৃত্ত করা হত।

আরও পড়ুন: পর্ব-৩: ইসলামী রাষ্ট্র সব নাগরিকের জানমাল ও সম্মানের নিরাপত্তা দেয়

   

হজযাত্রীদের জন্য ২ শতাধিক বিশেষ গাইড, সাড়ে ৩ হাজার বাস



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শায়খ সুদাইস এক হজযাত্রীকে উপহার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

শায়খ সুদাইস এক হজযাত্রীকে উপহার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন হজে মসজিদ হারাম এবং মসজিদে নববিতে আগত বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং অসুস্থদের বিশেষ যত্ন ও সেবার লক্ষে বিশেষ দল নিয়োগ করা হয়েছে।

হারামাইন প্রেসিডেন্সির উদ্যোগে চলতি হজ মৌসুমে ‘ইনসানিয়্যুন’ মানবিক উদ্যোগ শিরোনামে এই কর্মসূচি পারিচালিত হবে। এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হবে। যারা অসুস্থ, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী- তারা নির্বিঘ্নে ও আরামের সঙ্গে গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববি পরিদর্শন, জিয়ারত ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করতে পারবেন।

মসজিদে হারাম এবং নববির ধর্ম বিষয়ক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এই কর্মসূচি উদ্বোধন করে বলেন, ‘মানবতাবাদী উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- আচরণ উন্নত করা এবং প্রেসিডেন্সি কর্তৃক প্রদত্ত পরিষেবাগুলোকে বিভিন্ন সেক্টর এবং বিভাগজুড়ে বিস্তৃতি করা। আমরা সব ধরনের হজযাত্রীদের জন্য একটি উপযুক্ত উপাসনার পরিবেশ উপহার দিতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য, মুসলমানদের উদার মনোভাব বাড়ানো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবার মান উন্নত করা।’

এই উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২ শ গাইড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা এই শ্রেণির হজযাত্রীদের ধর্মীয় চাহিদা মেটাতে প্রযুক্তি, মেধা ব্যবহার করবে। তারা অসুস্থ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হজযাত্রীদের ধর্মীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দিকনির্দেশনার জন্য নিবিঢ়ভাবে কাজ করবে।

এ সময় তিনি বলেন, হজপালনকারীদের সেবা দিতে ধর্মীয় বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, হারামাইনের ধর্মবিষয়ক অধিদপ্তর হজ মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় বিষয়ভিত্তিক ধর্মীয় পুস্তিকা তৈরি করেছে, যা হজযাত্রীদের দেওয়া হবে।

মিনা-আরাফাতের জন্য সাড়ে ৩ হাজার বাস : সৌদি আরবে হজ ব্যবস্থাপনায় সেন্ট্রাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি চলতি হজের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়, হাজিদের পরিবহনের জন্য ৩ হাজার ৫০০টি বাস প্রস্তুত। এসব বাস চলতি হজ মৌসুমে মসজিদে হারামের চারপাশে অবস্থিত ৯টি স্টেশন থেকে চলাচল করবে। বাসগুলো হজযাত্রীদের মিনা ও আরাফাতে আনা-নেওয়া করবে। এ জন্য ১২টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

হজের সফরে যেসব কাজ কখনও করবেন না



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর যারা হজপালনে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে হজে যাবেন- তাদের জন্য এই লেখা। কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, ব্যক্তিগত মতামত থেকে কিছু পরামর্শ। দয়াময় আল্লাহর ইচ্ছায় কয়েকবার মক্কা-মদিনা সফরের সুযোগ হয়েছে। সেই আলোকে কাছে থেকে দেখা বিষয়গুলো উত্থাপন করা হলো-

এক. উড়োজাহাজ থেকে নামার পর যে বাসে উঠিয়ে রানওয়ে পার করালো সেটাতে কেন বসার সিট নেই? আমরা কি টাকা কম দিছি? মুরগির খাঁচায় উঠাবে কেন? এয়ারলাইন্সগুলো এটার ব্যবস্থা করতে না পারলে হাঁটিয়ে নিতো! বাসে ৩-৪ মিনিটের পথ, তাতেই এই অবস্থা!

দুই. মক্কার হোটেলে উঠার পর থেকে শুনছি অনেক সমস্যা এই হোটেলে। ওয়াইফাই নেই, লিফটের সংখ্যা কম, বাথরুমে টিস্যু দেয় না, ফিল্টারে পানি নাই আরও কত কি! অনেক হাজি ১০ জন ক‍্যাপাসিটির লিফটে ৬-৭ জন উঠলে বাকীদের উঠতে দেয় না। একটু চেপে দাঁড়ালে অন্যরা উঠতে পারত, সেটা করে না। আবার নিজের লোক উঠানোর জন্য ৪-৫ মিনিট লিফট এক ফ্লোরে আটকে রাখে।

তিন. হোটেল ছেড়ে গেলাম মিনার তাঁবুতে। সাধারণত তাঁবুর ফোমের বেডগুলো হয় খুব ছোট। এবার শুরু হলো নানা কথা, ফোম না দিয়ে কার্পেট দিলে ভালো ছিল; আরামে শুতে পারতাম!

চার. সকালে খাবারের মেনুতে কেন ডিম সিদ্ধ দিল? তার চেয়ে দুপুরে ওইটা দিলে ভালো হতো। রাতে কি এই চর্বিওয়ালা গোশত খাওয়া যায়? খাবার দিতে এত দেরি কেন? খাবারের পরিমাণ এত বেশি কেন? অপচয় হচ্ছে। আল্লাহ জানেন, পরিমাণ কম দিলে কী যে হতো!

পাঁচ. ওয়াশরুম ও অজুখানার সংখ্যা এত কম কেন? সৌদি আরবের তো জায়গার অভাব নেই। তার ওপর আমরা এত এত টাকা দিচ্ছি হজে আসতে। মাটির নীচে ১ হাজার ওয়াশরুম বানায় না কেন? যদিও সেগুলো বছরে একবার লাগে। মিনায় ৩ দিন দিন, আরাফাতে ১ দিন ও মুজদালিফায় ১ রাত ব্যবহার করা হয়।

ছয়. অজুর জন্য ৩-৪ জনের পেছনে সবসময় লাইন ধরতে হয়। তাই কেউ কেউ লাইন ভেঙে অজু করে (অন্যের হক নষ্ট করে) দ্রুত আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে চায়। কেউ আবার নারীদের অজুখানায় ভিড় কম দেখে সেখানে যেয়ে অজু করে। এদিকে নারীরা নানা মন্দ কথা বলে, নিষেধ করে। তারা এসব গায়ে না মেখে, নারীদের কথার জবাব দিতে দিতে অজু করতে থাকেন।

সাত. মিনার তাঁবুতে ইবাদত-বন্দেগির বদলে চলে আড্ডা ও পরনিন্দার আসর। বাকি সময় ঘুম ও খাওয়া। মিনা ও আরাফাতে বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে (সুন্নত/ওয়াজিব) মতানৈক্য, পরস্পরে ঝগড়া। এর কোনোটাই কাম্য নয়।

আট. মিনা-আরাফাতের টয়লেটের দরজায় ধুমধাম আওয়াজ করে। ভেতরে লোক থাকলে দরজায় যে একটা লাল সিগনাল দেখায়, সেটা জানা নেই। অনেকে আবার টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্ল্যাশ করে না।

নয়. প্রত্যেকের হাতের বেল্টে তাবুর নম্বর দেওয়া আছে। তবুও এক তাঁবুর লোক অন্য তাঁবুতে এসে বিছানা দখল করে থাকে। ফলে ক্রাইসিস তৈরি হয়, তাদের চলে যেতে বললে শুরু হয় নয়া ঝামেলা।

দশ. অনেকে ৪-৫টা বেড একসঙ্গে করে ওপরে চাদর বিছিয়ে দেয়। ফলে সহজে বোঝা যায় না, এখানে কয়টা বেড আছে। এতে লোক ঘুমায় ২-৩ জন। এভাবে নিজেরা আরাম করে ঘুমায়, অন্যরা কষ্টে থাকে।

এগারো. তাঁবুর বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে বিনামূল্যে চা-কফি দেয়। এগুলো দেওয়া হয় সৌদি মোয়াল্লিমের ব্যবস্থাপনায়। একবার চা শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশাল ঝগড়া শুরু হয়। পরে তাঁবুতে এসে দুই-তিন সিদ্ধান্ত নেয়- হজ অফিসে লিখিত অভিযোগ দেবে!

বারো. কিছু লোক এখানেও ধূমপান করেন। আবার অনেক হাজি ‘জামালের মা’কে (নিজের স্ত্রী) খুঁজতে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে অবাধে ঘুরতে থাকেন।

তেরো. হজের সময় যেখানেই হেঁটে পার হই, একটা বাক্য সবসময় শুনতে পাই, ‘আমরা এখানে টাকা দিয়ে এসেছি, কারও দয়ায় আসিনি; সার্ভিস পাবো না কেন?’ আরেকটা বিষয়, কোনো বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময়ের পরের প্রশ্নই থাকে, ‘কত টাকা দিয়ে এসেছেন?’

চৌদ্দ. তাঁবুতে এত এত লোক গাদাগাদি করে থাকতে গেলে অসুবিধা হবেই। যদিও মাত্র কয়েকটি রাতের ব্যাপার। কিন্তু কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। ন্যূনতম সহযোগিতা-সহমর্মিতার মানসিকতা নেই আল্লাহর ঘরের মেহমানদের।

পনেরো. মিনা ও আরাফাতের তাঁবুতে বেডগুলো চাপাচাপি করে রাখা, তাতে মানুষে চলাচলের রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের বেড মারিয়ে নিজের বেডে যেতে হয়। যাদের বেড আপনার রাস্তায় ওপর হয়, তারা খুব বিরক্ত হন। বলেন, ‘আপনার বেডে কেমনে যাবেন, সেটা আমি জানি না। কিন্তু এখান দিয়ে যেতে পারবেন না।’

ষোলো. একজন বলে এসি বাড়ান, আরেকজন বলে কমান। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি না। মজার বিষয় হলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তাঁবুতেই নেই। এটা অন্য জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

সতেরো. মুজদালিফার খোলা ময়দানে কারও জায়গা নির্দিষ্ট করা নেই। যে যেখানে পারছে, চাদর বিছিয়ে শুয়ে পরছে। এই সুযোগে অনেকে বেশি জায়গা দখল করছে, অন্যপাশে লাগেজ রাখছে- যেন ধারেকাছে কেউ আসতে না পারে। আপনি বেশি জায়গা নিয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন, অথচ আরেকজনের বসার সুযোগ নেই।

আঠারো. বিয়ের অনুষ্ঠানে পাঁচশ-এক হাজার লোকের একবেলা খাবারের আয়োজন করতে আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে ২০-২২ লাখ লোকের ৫ দিনের আয়োজনে (থাকা, খাবার খাওয়া, যাতায়াত) একটু সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একটু ধৈর্য ধরলেই হয়।

ঊনিশ. এক হাজি সাহেব ২০ রিয়ালের মোবাইল রিচার্জ কার্ড কিনেছেন। কিন্তু নিয়ম না জানায় রিচার্জ করতে পারছেন না। এক বাংলাদেশি হজকর্মী নিজ থেকে এগিয়ে গেল। সে অনেকদিন থেকে সৌদি থাকে। কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যায় সেও পারল না। হাজি সাহেব চিৎকার ও গালাগাল শুরু করলেন। আশেপাশের লোকজন বলছেন, ‘দয়া করে শান্ত হোন। ২০ রিয়ালের জন্য হজ নষ্ট করবেন না।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা!

বিশ. তাঁবুর বাইরে ফ্রিজভর্তি পানির বোতল ও জুসের প্যাকেট দেওয়া থাকে। এখান থেকে অনেকে একাই এক কেইস্ (৪০-৪৫ টা) নিয়ে নেয়, ফলে অন্যরা আর পায় না। আর কোনো কিছু ফ্রি’তে বিতরণ করতে দেখলে অনেক হাজি সেখানে ভিড় করে, ধাক্কা-ধাক্কি করে- এগুলো কতটা ঠিক?

এখানে কিছু কথা লেখা হলো, এগুলো সাধারণ বিষয়। এমন আচরণ হাজিদের কাছ থেকে কাম্য নয়। কষ্ট সহ‍্য করা, ধৈর্যধারণ, ভদ্র আচরণ, পরস্পরে সহযোগিতা-সহমর্মিতা হজের সফরের প্রয়োজনীয় বিষয়। আর হজের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও কমবেশি সবারই জানা, তার পরও এমন আচরণ ও কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন মনোভাব থাকলে, কি দরকার কি ছিল এত কষ্ট করে হজ করার? এর চেয়ে অনেক কম টাকায় ফাইভ স্টার মানের হোটেলে আরাম করে এক-দেড় মাস থাকলেই তো ভালো হতো!

আল্লাহতায়ালা সবাইকে ভুল ও ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে সবার হজ কবুল করুক। আমিন।

;

মক্কায় বাংলাদেশি হজযাত্রীর ওপেন হার্ট সার্জারি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটি, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটির বিশেষজ্ঞরা ওপেন হার্ট সার্জারি করে এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর জীবন রক্ষা করেছেন।

সুবাক ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি হজযাত্রী হোটেলে অবস্থানকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

হোটেল কর্তৃপক্ষ রেড ক্রিসেন্টকে খবর দিলে বাংলাদেশি ওই হজযাত্রীকে দ্রুত আল নূর হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়- তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক অপারেশনের জন্য কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটিতে নিয়ে যান, যেখানে আরও উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তার হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি শিরা বন্ধ হয়ে গেছে। পরে কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটির বিশেষজ্ঞরা তার ওপেন হার্ট সার্জারি করেন। অপারেশনের পর তাকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।

উল্লেখ্য যে, হজের সময় হজযাত্রী সব ধরনের চিকিৎসা সৌদি সরকার বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। চলতি হজে হাজিদের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব।

দেশটি জানিয়েছে, চলতি বছর হজের মৌসুমে হাজিদের চিকিৎসায় ড্রোন ব্যবহার করা হবে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজের মৌসুমে চিকিৎসার জন্য ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত হাজিদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজে এ ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ড্রোনগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা হবে। এগুলোর মাধ্যমে মিনা ও আরাফাতের ময়দানের আশপাশের হাসপাতালে রক্ত ও ল্যাবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। চলতি বছরের আসন্ন বার্ষিক হজের মৌসুমে এগুলোকে ব্যবহার করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপের ফলে রক্ত ল্যাবে পৌঁছাতে মাত্র দুই মিনিটের মতো সময় লাগছে। যেখানে স্বাভাবিক ব্যবস্থায় এ জন্য অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যয় করতে হতো।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ উপলক্ষে মক্কা অঞ্চলে ১৬টি হাসপাতাল, ১২৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা দেওয়া হবে। এর বাইরে মক্কা ও মাশায়েরে হারাম এলাকায় ৫টি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হবে। এ ছাড়া আজইয়াদ ইমারজেন্সি হাসপাতাল, আল হারাম হাসপাতাল, মসজিদে হারামের ৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ মিসফালা রোডে দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাজিদের সেবার নিয়োজিত থাকবে। প্রস্তুত থাকবে ৮০টি ছোট অ্যাম্বুলেন্স, ৭৫টি বড় অ্যাম্বুলেন্স, ৩৩টি সহায়ক অ্যাম্বুলেন্স দল মসজিদে নামিরা ও জাবালে রহমত, মিনার তাঁবু, মুজদালিফা ও জামারাত এলাকায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ২০০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টায় হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, সৌদি আরবে হজপালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই পুরুষ। এর মধ্যে মক্কায় তিন জন এবং মদিনায় দুই জন।

;

সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৪৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

শনিবার (২৫ মে) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৩৭ হাজার ৬৯৯ জন।

বাংলাদেশ থেকে ১০৪টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৪৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৩৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এদিকে, সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই পুরুষ।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। যা শেষ হবে ২২ জুলাই।

;