শবেকদর: শেষ নবীর উম্মতের জন্য বিশেষ উপহার



মাহমুদা নওরীন, অতিথি লেখক, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
শেষ নবীর উম্মতের জন্য বিশেষ উপহার শবেকদর, ছবি: সংগৃহীত

শেষ নবীর উম্মতের জন্য বিশেষ উপহার শবেকদর, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিবস- রজনী, মাস-বছর সবই আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি। তারপরও এসবের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। যেমন ঈদের রাত, লাইলাতুল কদর, জুমাবার, ঈদের দিন, রমজান মাস বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে লাইলাতুল কদর অনন্য ও অনুপম মর্যাদার অধিকারী।

এ রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে নামকরনের অনেক কারণ রয়েছে। ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, এ রাতকে লাইলাতুল কদর বলার অর্থ হলো- এ রাত অতীব মূল্যবান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন। কদরের আরেক অর্থ তাকদীর বা ভাগ্য নির্ধারণ। এ রাতে আল্লাহতায়ালা পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের নিকট হস্তান্তর করেন, যাতে সব মানুষের জন্ম, মৃত্যু, রিজিক, বৃষ্টি ইত্যাদির তারিখ ও পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকে। এমনকি এ বছর কে কে হজ করবে তাও লিখে দেওয়া হয়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)- এর মতে যে চারজন ফেরেশতাকে এ সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয় তারা হলেন- হজরত জিবরাঈল (আ.), হজরত মিকাঈল (আ.), হজরত ইসরাফিল (আ.) ও হজরত আযরাঈল (আ.)। -কুরতুবি

লাইলাতুল কদর এক অনুপম ও তুলনাহীন রাত। এ রাতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন সর্ব প্রথম এ রাতে নাজিল হয়। ফলে এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের (৮৩ বছর ৪ মাসের) ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতাদের সর্দার হজরত জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতাদের এক বিরাট জামাত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং বিশ্ববাসীর মধ্যে কল্যাণ ও প্রাচুর্য বিতরণ করেন।

হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) তার বিখ্যাত গ্রন্থ গুনিয়াতুত তালেবিনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করেছেন আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরে হজরত জিবরাঈল (আ.) কে সিদরাতুল মুনতাহার সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করার নির্দেশ দেন। হজরত জিবরাঈল (আ.) আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ফেরেশতাদের দল নিয়ে নূরের পতাকাসহ পৃথিবীতে আগমন করেন। তারা পৃথিবীর চার জায়গায় পতাকা উত্তোলন করেন।

১. কাবা শরিফে, ২. বায়তুল মোকাদ্দাসে, ৩. মসজিদে নববীতে ও ৪. তুরে সিনা মসজিদে। তারপর ফেরেশতাগণ সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েন। তারা ইবাদতকারী প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে যে সব ঘরে কুকুর, শুকর, প্রাণীর ছবি থাকে সেসব ঘরে এবং মদ্যপায়ী, ব্যভিচারী ও সুদখোর প্রমুখের ঘরে প্রবেশ করেন না।

লাইলাতুল কদর কখন?
হজরত উবাদা ইবন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, একদা নবী করিম (সা.) তার কক্ষ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন, তখন দু’জন সাহাবি একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া করছিল। তিনি পৌঁছেই বলেন, আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক-অমুক ঝগড়া করার কারণে নির্দিষ্ট তারিখ আমাকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তোমরা রমজানের শেষ দশকের নবম, সপ্তম, পঞ্চম রাতে তা খোঁজ করো।’ –সহিহ বোখারি

সহিহ মুসলিম শরিফে আছে, হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, লাইলাতুল কদর হচ্ছে- ২৭ রমজানের রাত। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও অন্যান্য ইমামগন লাইলাতুল কদর ২৭ রমজানের রাতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), ইবন উমর (রা.) এবং হজরত মুয়াবিয়া (রা.) প্রিয় নবী (স) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, লাইলাতুল কদর হলো- ২৭ রমজান।

লাইলাতুল কদর শেষ নবীর উম্মতের জন্য উপহার
লাইলাতুল কদর শেষ নবীর উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার এবং মহান নেয়ামত। ইমাম মালেক (রহ.) মুয়াত্তায় বর্ণনা করেছেন যে, নবী করিম (সা.) জানতে পারলেন যে, পূর্বেকার উম্মতের বয়স অনেক দীর্ঘ হতো, সে তুলনায় নিজের উম্মতের বয়স অনেক কম। সুতরাং আমার উম্মতের আমলের পরিমাণ এ হায়াতের ব্যবধানে পূর্বেকার উম্মতের আমলের পরিমাণের সমান হবে না। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রিয় নবী (সা.) মর্মাহত হন। অতঃপর আল্লাহতায়ালা তার উম্মতকে লাইলাতুল কদর প্রদান করেন, যাতে এ ব্যবধান দূরীভূত হয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কেরামের সামনে বনী ইসরাঈলের এক আবেদ ব্যক্তির কথা বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বিরামহীনভাবে এক হাজার মাস জিহাদ করেছেন। নবী করিম (সা.)-এর এ বর্ণনা শুনে সাহাবায়ে কিরাম সে লোকটির প্রতি ঈর্ষান্মিত হয়ে পড়েন। তখন আল্লাহতায়ালা এ দীর্ঘ সময়ের বিকল্প হিসেব উম্মতে মুহাম্মদীকে লাইলাতুল কদর প্রদান করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে পূর্বেকার উম্মতের মধ্যে কেউ আবেদ বলে গন্য হতো না যে পর্যন্ত সে বিরামহীনভাবে এ হাজার মাস ইবাদতে মশগুল থাকতেন। আল্লাহতায়ালা শেষ নবীর উম্মতের এ রাত প্রদান করে ঘোষণা করেন যে, এ রাত এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

আরও পড়ুন: 
পবিত্র শবেকদর: শান্তি ও সার্বিক কল্যাণের রাত

শবেকদর প্রাপ্তির মাধ্যম

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;