৮ মাসে কোরআনের হাফেজ ৯ বছরের কিশোর আশিক



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নয় বছরের কিশোর মো. আশিকুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

নয় বছরের কিশোর মো. আশিকুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র আট মাস সময়ে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে নয় বছরের কিশোর মো. আশিকুর রহমান। হাফেজ মো. আশিকুর রহমান উত্তরা বাইতুল মুমিন মাদরাসার শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইশ্বরপুর গ্রামের মোহাম্মদ বাবুল মিয়ায় ছেলে এই বিস্ময় বালক। বাবুল মিয়া পেশায় গাড়িচালক।

রোববার (৭ মার্চ) উত্তরার দক্ষিণ আজমপুর মুন্সি মার্কেটে অবিস্থত বাইতুল মুমিন মাদরাসায় হাফেজ আশিকুর রহমানকে এ উপলক্ষে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাইতুল মুমিন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীন বলেন, আশিকুর রহমান কোরআন মুখস্থ করার আগে এ মাদরাসা থেকেই মাত্র এক বছর সময় নিয়ে পবিত্র কোরআন দেখে দেখে সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা শেখে। এরপর হেফজ (মুখস্থ) করা শুরু করলে মাত্র আট মাস সময়ে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে শেষ করে। এটা একটি বিস্ময়কর ঘটনা।

মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীন আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণ কোরআন হেফজ করতে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই বছর সময় প্রয়োজন। সেখানে আল্লাহতায়ালার রহমতে হাফেজ আশিকুর রহমান মাত্র আট মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ করে শেষ করেছে।

তিনি বলেন, এটি আল্লাহতায়ালার বিশেষ রহমত ও মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বিশেষ মুজিজা।

বাইতুল মুমিন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীনের সঙ্গে হাফেজ আশিক, ছবি: সংগৃহীত

আশিকের শিক্ষক হাফেজ মাঈনুল ইসলাম বলেন, আশিকুর রহমান নাজেরা (দেখে দেখে) পড়া শেষ করে শুরুর দিকে দুই পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করতে থাকে। পরে প্রতিদিন ৭-৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ শোনাত। এভাবে মাত্র আট মাস সময়ে পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে ফেলে।

এখন সকালে আধা পারা (১০ পৃষ্ঠা), বিকেলে আধা পারা মোট এক পারা (২০ পৃষ্ঠা) করে পবিত্র কোরআন শুনাচ্ছে হাফেজ আশিকুর রহমান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল মুমিন মাদরাসার শিক্ষা সচিব হাবিবুল্লাহ সিরাজ, মুফতি এমদাদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা ফয়সাল মাহমুদ, মুফতি জহিরুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুল হক, হাফেজ মাওলানা মাইনুল ইসলাম, হাফেজ মামুনুর রশীদ, হাফেজ মাওলানা হুজাইফা, মুফতি আল আমিন সিরাজ, মাওলানা মাহদী হাসান, ক্বারী মাহদী হাসান ও মাওলানা আবুল বাশারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মেধাবী এই হাফেজের বাবা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া তার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

   

হজের সময় কোরআন হেফজের জন্য ১ হাজার সেশন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে নববিতে পবিত্র কোরআন পড়ছেন শিশু শিক্ষার্থীরা, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে নববিতে পবিত্র কোরআন পড়ছেন শিশু শিক্ষার্থীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজ মৌসুমে পবিত্র কোরআন হেফজের (মুখস্থের) জন্য বিশেষভাবে ১ হাজারটি সেশন চালুর অনুমোদনসহ আসন্ন হজের কার্য পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) মসজিদে হারাম ও নববির পরিচালনা বিষয়ক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস নতুন পরিকল্পনায় ঘোষণাকালে বলেন, সমন্বিত ব্যবস্থায় সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে মিল রেখে অতীতের সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে সৌদি সরকারের ২০২৪ সালের কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবারের কার্য পরিকল্পনাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় বিভিন্ন ভাষায় হজযাত্রীদের অনুবাদ সেবা দেওয়া হবে। তা ছাড়া মসজিদে থাকবে পবিত্র কোরআন পাঠ, মুখস্থ ও শিক্ষা বিষয়ক নানা প্রোগ্রাম।

এসব প্রোগ্রামের মধ্যে কোরআন পাঠ ও হেফজের বিষয়টি অন্যতম। আসন্ন হজ মৌসুমে সৌদি আরব ১ হাজারটি কোরআন হেফজের সেশন পরিচালনা করবে। যোগ্য-অভিজ্ঞ শিক্ষকরা হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন। কোরআন মুখস্থের অভিজ্ঞতা হজযাত্রীদের নানাভাবে উপকৃত করবে, এটা তাদের আত্মনিবেদনে বিশাল ভূমিকা রাখবে। উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী কোরআনের নৈতিকতা এবং এর মধ্যপন্থী বার্তা প্রচারের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।

শায়খ আস-সুদাইস বলেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- কোরআন মাজিদের শিক্ষার পরিধি বিস্তৃত করা। পরিকল্পনা মতে, মসজিদে হারাম ও নববিতে যে কেউ যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ কোরআন মুখস্থ করে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষককে শুনাতে পারবেন।

পরিকল্পনা ঘোষণাকালে মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম আরও বলেন, ১৬ হাজার কর্মীর পাশাপাশি এবার জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় হজের মৌসুমে ১০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। তারা পবিত্র দুই মসজিদের ১০টি ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি কর্মঘণ্টা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।

এ ছাড়া মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে তিন লাখের বেশি কোরআনের কপি, দুই মসজিদের ৩০ হাজার পয়েন্টে হজের সময় প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ বোতলে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি বিতরণ করা হবে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও সেবা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অ্যাপ ও রোবট ব্যবহৃত হবে।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮১০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

সোমবার (২০ মে) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ২৭ হাজার ৬৩ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৭৭টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩২টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এদিকে, সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

হজের সময় সৌদিতে তাপদাহের আশঙ্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজের আনুষ্ঠাকিতায় হাজিরা, ছবি: সংগৃহীত

হজের আনুষ্ঠাকিতায় হাজিরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির প্রধান আয়মান গোলাম।

আসন্ন হজে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্ক করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আয়মান গোলাম বলেছেন যে, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের মাঝামাঝিতে। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।

বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, হজ করতে আসা মুসল্লিদের ওপর তীব্র গরমের প্রভাব কমাতে তাদের বাসস্থানকে পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা রাখা হবে হজ আয়োজনকারীদের অন্যতম অগ্রাধিকার। বিশেষ করে মিনা এবং আরাফাতের ময়দানে তাঁবুতে অবস্থান এবং হজের পাঁচতিন চলাচলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

রোগীদের হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদির নির্দেশনা
যারা দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন তাদের হজে যাওয়ার সময় চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রোগীরা হজে গিয়েও যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করতেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন কোনো রোগে যদি আপনি ভুগে থাকেন এবং বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে ভুলবেন না। যেন সৌদিতে আসার ও যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান।

এ ছাড়া বিদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আসার আগেই ‘নেইসেরিয়া মেনিনজিটিডিস’ ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং নিজ দেশের দ্বারা ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টির প্রমাণপত্র নিতে হবে।

বিদেশি হজযাত্রীদের পোলিও, কোভিড-১৯ এবং ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। এতে করে সব হজযাত্রীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া সৌদিতে বসবাসরত যারা হজ করতে চান তাদের হজ সংক্রান্ত ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করতে হবে।

এই ভ্যাকসিন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের পবিত্র মক্কা নগরীতে হজের জন্য যেতে মন্ত্রণালয়ের সেহাতি অ্যাপে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।

;

হজযাত্রী কমেছে ৩৭ হাজারের বেশি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে প্রবেশ করছেন হাজিরা, ছবি: নূর এ আলম, বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে প্রবেশ করছেন হাজিরা, ছবি: নূর এ আলম, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হজের খরচ বাড়ায় গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৩৮ হাজার কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা। করোনা পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন বাংলাদেশি হজপালনে যান। যদিও বাংলাদেশের জন্য হজরে কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। গত বছর হজ কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কম ছিল নিবন্ধন সংখ্যা। যদিও সরকারি-বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার প্রাক-নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

কিন্তু হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির দরুণ কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও এবার নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। অবশেষ ৮৩ হাজার ২০৯ জন চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৩১৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজপালন করবেন। আর ব্যবস্থাপনাসহ এবার হজে যাচ্ছেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে ৩৭ হাজার ৭৬৭ জন।

যদিও এখন পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৭৭১ জন ও বেসরকারি মাধ্যমে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন যাত্রী হজের জন্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করে রেখেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার হজের মূল খরচ বেড়েছে। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে মানুষদের মধ্যে। এ কারণে অন্যবারের তুলনায় কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা।

আরও পড়ুন : বদলি হজ কখন করাবেন

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, হজের ব্যয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হজে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে।

বিষয়টি নিয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, হজ কোটা পূরণ না হওয়ার প্রভাব তাদের ব্যবসায় পড়বে। কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় অনেক ট্রাভেল এজেন্সি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চলতি বছর একজন বাংলাদেশিকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে গড়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ হবে, যা অনেক আগ্রহীকে হজ পালনে নিরুৎসাহিত করেছে। বিমানভাড়া, সৌদি আরবে বাসাভাড়া, মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত ব্যয়সহ মোয়াাল্লিম ফি অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে মূল হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

হাব নেতাদের মতে, আগে মোয়াল্লিমের জন্য নির্ধারিত ফি ছিল এক হাজার থেকে ১২ শ রিয়াল, বর্তমানে তা করা হয়েছে পাঁচ হাজার রিয়াল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিমানভাড়া করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সৌদি সরকারের শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ অন্যতম।

তাদের মতে, হজের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের করার কিছু নেই। তবে বিমানভাড়া নির্ধারণ বা ভাড়া কম রাখার বিষয়টি সরকার হস্তক্ষেপ করে হজের খরচ কমানোর ব্যবস্থা করতে পারত।

২০০৯ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে দাড়ায় ৬০ হাজার ১৪৬ জনে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন।

;