ছোট লাল বইয়ের বড় নেতা



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাও সেতুং, ছবি: সংগৃহীত

মাও সেতুং, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা বিশ্বে চীনা কমিউনিস্ট নেতা মাও সেতুং এর গ্রন্থকে অভিহিত করা হয় 'ছোট লাল বই' নামে, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ছাপানো বই হিসাবে স্বীকৃত।

কমিউনিস্ট গুরু কার্ল মার্কসের গ্রন্থ 'বড় লাল বই' অভিধায় প্রতীকী পরিচিতি পেয়েছে আর মাওয়ের বই পেয়েছে 'ছোট লাল বই' শীর্ষক উপাধি। তবে রাজনৈতিক গ্রন্থের মধ্যে মাওয়ের বই বহুল প্রচারের জন্যও বিশ্ববিখ্যাত এবং ইতিহাস সৃষ্টকারী।

মাও সেতুং-এর উদ্ধৃতি নির্ভর একটি অনুপ্রেরণীয় রাজনৈতিক ও সামরিক দলিল হিসেবে পিএলএ ডেইলি (পিপলস লিবারেশন আর্মি ডেইলি) এর একটি অফিস দ্বারা 'ছোট লাল বই' সংকলিত হয়েছিল। প্রাথমিক প্রকাশনায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যানের ২৩টি বিষয় যুক্ত করে ২০০ নির্বাচিত উদ্ধৃতি দিয়ে বইটি তৈরি হয়।

বইটি প্রথম ৫ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালে একটি সম্মেলনের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাতে ও মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল। প্রতিনিধিদের এবং বইয়ের সংকলকদের মতামতের উপর নির্ভর করে, ২৫টি বিষয়ে ২৬৭টি উদ্ধৃতিতে উন্নীত করা হয়।

শুধু 'ছোট লাল বই' নয়, মাও রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মুদ্রণ ছিল একই সময়ে খুব বেশি পরিমাণে। অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে মাও সেতুং-এর রচনাবলী, চার খণ্ড, যা ১৪টি ভাষায় ২,৮৭৫ মিলিয়ন কপি ছাপা হয়। মাও সেতুং এর নির্বাচিত প্রবন্ধ, (বিভিন্ন সংস্করণে মোট ২৫২ মিলিয়ন কপি) এবং তার একক নিবন্ধ বই, এবং কবিতার বই ছাপা হয় বহু মিলিয়ন কপি।

১৯৬৬ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারণা বিভাগ চেয়ারম্যান মাও সেতুং এর উদ্ধৃতি বিদেশে প্রচারের অনুমতি দেয়। বিদেশি প্রয়োজন মেটাতে, চীনা বিদেশি ভাষা প্রেস-এর সম্পাদকগণ অবস্থার প্রয়োজনীয় পুনঃপাঠ গ্রহণ করে। তারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ সালে চীনা নেতা লিন পিয়াও স্বাক্ষরিত একটি দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপায়।

১৯৬৭ সালের মে মাসের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, জাপান, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি, ইটালি, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা, ইরান, আরব এবং আফ্রিকানসহ ১১৭টি দেশের বিভিন্ন এলাকার বইয়ের দোকানগুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন মাওয়ের উদ্ধৃতি বা 'ছোট লাল বই' সরবরাহ করা হয়।

চীনা বিপ্লবী, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা মাও সেতুং ১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মারা যান ১৯৭৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর।

১৯৪৯ সালে সমাজতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চীন শাসন করেন। তিনি ছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ধ্রুপদী মার্কসবাদ-লেনিনবাদে তার তাত্ত্বিক অবদান, সমর কৌশল এবং তার মতাদর্শিক নীতিসমূহকে একত্রে মাওইজম বা মাওবাদ নামে অভিহিত করা হয়।

মাও চীনের হুনান প্রদেশের শাং তান জেলার শাউ শাং চুং গ্রামের এক অতি সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাও সেতুং এর বাবার নাম ছিল মাও জেন শেং (শুন সেন)। শুন শেং দরিদ্র কৃষক হলেও কয়েক বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করে জমিজমা ক্রয় করে অবস্থার উন্নতি করেন এবং কাঁচামালের ব্যবসা করে রীতিমত মধ্যবিত্ত গৃহস্থ হয়ে ওঠেন। মাওয়ের অন্য দুই ভাইয়ের নাম ছিল সে সেন এবং সে তান। মাওয়ের মা ছিলেন শিয়াং শিয়াং জেলার তং শিয়াতো গ্রামের বেন পরিবারের মেয়ে। তিনি ছিলেন দয়ালু। বৌদ্ধ ধর্মে তার খুব ভক্তি ছিল।

মাওয়ের বয়স যখন মাত্র সাত তখন থেকে খেতখামারের কাজে লেগে যান। ১৯০১ সালে আট বছর বয়সে মাও গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। এবং তেরো বছর বয়স পর্যন্ত ঐ পাঠশালাতে লেখাপড়া করেন। ১৯০৬ সালে মাওয়ের গ্রামের পড়াশোনা শেষ হয়। এরপর তার বাবা তাকে সৈন্যদলে ভর্তি করানোটাকে লাভজনক মনে করেন। তার আগে মাওয়ের সঙ্গে এগারো-বারো বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। মাও সেতুং এর চার স্ত্রী আর তাদের মোট সন্তানের সংখ্যা ছিল ১০ জন।

মাও সেতুং ঐতিহাসিক লং মার্চের মাধ্যমে কৃষক-জনতাকে নেতৃত্ব দিয়ে চীনে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করেছিলেন। আফিমখোর, ঘুমন্ত চীনাদের জাগ্রত করে তিনি শুধু এশিয়া মহাদেশেই নয়, চীনকে বিশ্বের সেরা শক্তিতে পরিণত করেন। পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রথম সফল কেন্দ্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনকে এগিয়ে নেন।

এশিয়া ও বিশ্বের নানা দেশে মাওবাদী মতাদর্শে হাজার হাজার ছাত্র, যুবক, জনতা সশস্ত্র পন্থায় লাল বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছিলেন। সাফল্য ও ব্যর্থতার নানামুখী আলোচনা ও সমালোচনার পরেও মাওবাদের একটি তাত্ত্বিক অবস্থান কমিউনিস্ট মতাদর্শের জগতে লক্ষ্য করা যায়।

মাও সেতুং এর মৃত্যুর ৪৩ বছরের মাথায় খোদ চীনেই বইছে নয়া হাওয়া। নানা সংস্কার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে মিশ্র অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে সমাজতান্ত্রিক চীন। তথাপি ছোট লাল বইয়ের বড় নেতা মাও সেতুং জ্বলজ্বলে উপস্থিতিতে রয়েছেন চীনে এবং বিশ্বব্যাপী সমাজতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন সমাজের মানুষের কাছে।

   

ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পুতিন, তবে...



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে ইউক্রেন বা পাশ্চাত্য দেশগুলি যদি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাতেও রাজি তিনি।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ কথা জানায়। তারা এটাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এগিয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি আছেন পুতিন।

শুক্রবার (২৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

রয়টার্সের সঙ্গে রাশিয়ার তিন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এটাও স্মরণ করে দিয়ে বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যুদ্ধ যতদিনই গড়াক না কেন, তা চালিয়ে যেতে আপত্তি নেই পুতিনের। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন পুতিন।

মোট পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। এর মধ্যে একজন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিন প্রধান বার বার বলেছেন, রাশিয়া সব সময় আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। তিনি বলেন, পুতিন তার উদ্দেশ্য অর্জনের সব কিছু করতে রাজি। তিনি ‘গৃহযুদ্ধ’ চান না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার অর্থনীতিবিদ, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পাশ্চাত্যের কয়েকজন সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সঙ্গে দেশের যুদ্ধ জয়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেছে।

;

উত্তর গাজায় তুমুল যুদ্ধ, রাফাহতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি ট্যাংক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার বাসিন্দা এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গাজায় আক্রমণ তীব্রতর করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার উত্তরে জাবালিয়াতে প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

চিকিৎসকরা শুক্রবার (২৪ মে) বলেছেন, ‘জাবালিয়ায় ঘরবাড়িতে হামলার সময় কমপক্ষে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে। তবে, বোমা হামলার তীব্রতার কারণে এই অঞ্চলে পৌঁছানো যায়নি।’

এদিকে মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ’র বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো পূর্ব দিকের জেনিনা জেলায় আরও অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ এবং ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, তাদের বাহিনী যুদ্ধের কয়েক মাস আগে গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিবির জাবালিয়া পরিষ্কার করছে।

বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার ট্যাঙ্কগুলো স্থানীয় বাজার ধ্বংস করেছে এবং বুলডোজারগুলো জাবালিয়ার সরু গলি দোকানগুলো ভেঙে দিয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তাদের যোদ্ধারা সেখানে তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে।

এখনও হামাসের কাছে ১২৪ জন জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল।

হামাসের হামলার পরে গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

;

চাদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিলেন মাহামাত ইদ্রিস ডেবি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদে সামরিক শাসন চলাকালীন অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসাবে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর শপথ নিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবি।

চলতি সপ্তাহে সাকসেস মাসরা এই পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন আল্লামায়ে হালিনা।

আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানী এন'জামেনায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ডেবি বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনরা, যারা আমাকে বেছে নেননি, আমি আপনাদের ইচ্ছাকে সম্মান করি, যা আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি জোগাতে অবদান রাখে।’

উল্লেখ্য, ডেবি গত ৬ মে’র নির্বাচনে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তবে, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো বলেছে. ওই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য নয়।

বিদ্রোহীরা তার বাবা ইদ্রিস ডেবিকে হত্যা করার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে তাকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়।

ডেবিকে ফ্রান্সের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা হিসাবেই গণ্য করা হয়। যে কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাবেক উপনিবেশ মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার থেকে ফরাসি বাহিনী অপসারণ করা হলেও বর্তমানে চাদে এখনো ফ্রান্সের এক হাজার সেনা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডেবি’র বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ চাদে তিন বছরের সামরিক শাসনের সমাপ্তি হলো।

;

রাফায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের রাফাতে দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি সৈন্যদের ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৪ মে) হেগ ভিত্তিক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রায়ে আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, “রাফাতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে হবে। ওই এলাকায় ঘিরে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না যাতে অঞ্চলের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

তিনি জানান, রাফায় মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেখানে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলা বন্ধ করতে হবে।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

এর আগে রাফাতে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি দাবি করে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ কারণে সেখানে হামলা বন্ধ করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদনে বলেছে, রাফাহ শহরসহ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলিদের সামরিক অভিযান বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

এই আবেদনের বিষয়ে আজ রায় দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত। তবে এ রায় দিতে পারলেও রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের। এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধের জন্য রাশিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাশিয়া তা মানেনি।

এর আগে সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, চলতি মাসে ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে আক্রমণ শুরু করে। এতে প্রাণ হারান অসংখ্য ফিলিস্তিনি নাগরিক। আহতের সংখ্যাও কম নয়। এ অবস্থায় ওই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।

;