রাখাইনে বিদ্রোহী দমন নামে শিশু হত্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্রোহী দমনের অজুহাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করছে। এ হত্যায় বাদ নেই শিশুরাও।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাখাইন রাজ্যের মিনব্যা জনপদের নিকটবর্তী পান মায়ুং গ্রামে সেনবাহিনীর আর্টিলারি শেল বিস্ফোরণে তিন শিশু মারা গেছে এবং আরও চার জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউ হেলা থেইন অং দেশটির গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোববার (২৫ আগস্ট) নিহত শিশুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহত অন্য তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ অঞ্চলে চিকিৎসকের খুবই অভাব।’

আরও পড়ুন: বেসামরিকদের সাজা দিতে মিয়ানমার সেনাদের যৌন সহিংসতা: জাতিসংঘ

গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, গ্রামের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী দমনের নামে একটি ক্যাম্প তৈরি করেছে। সেখান থেকে ছোড়া শেলের আঘাতে শিশুদের মৃত্যু হয়।

ইউ হেলা থেইন অং বলেন, ‘গ্রামে আরাকান আর্মির (এএ) কোনো সদস্য নেই।’

বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী অহেতুক গুলি চালিয়েছে। চিকিৎসকের অভাব এবং সেনাবাহনীর নির্মম এই ঘটনায় বাসিন্দারা খুবই ক্ষুব্ধ।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খেইন থুখা বলেছেন, ‘কামান পান মায়ুংয়ের সর থিন কায়ং ওয়ার্ডে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে পড়েছিল এবং এতে তিন শিশু মারা গিয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র, একটি ছয় বছর বয়সী এবং একটি নয় বছর বয়সী শিশু মারা গেছে।’

তিনি জানান, একটি সামরিক ইউনিট ছিল গ্রামের কেন্দ্রস্থলে। সেখানকার আশেপাশে কোনও লড়াই হয়নি। ঘনবসতিপূর্ণ আবাসস্থলের মধ্যে তাদের সেনাবাহিনী অবস্থান করা গ্রহণযোগ্য নয়।

রোববার (২৫ আগস্ট) এএ এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে রাখাইনের জনগণের সহযোগিতায় তারা রাজ্যে এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে

রাখাইনে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য রাজ্য কাউন্সিলর অং সান সু চি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সেনা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের আড়াল করতে ইন্টারনেটে বন্ধ রাখা হয়েছে।’

এদিকে, ট্রু নিউজ এজেন্সিতে মেজর জেনারেল সোয়ে নাইং উ শনিবার (২৪ আগস্ট) একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিদ্রোহী জোট লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আগে সাবধানতার সঙ্গে চিন্তা করা উচিত। যদি তারা আলোচনায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, সামরিক বাহিনী তাদের স্বাগত জানাবে। তবে লড়াই চালিয়ে গেলে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

জাতীয় মুক্তি বাহিনী, এএ, এবং মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বাহিনী নিয়ে গঠিত এই জোটটি ১৫ আগস্ট থেকে মন্ডল অঞ্চলে পাইয়ন ওউ লুইন এবং শান স্টেটের ন্যাংচোতে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেছে।

অন্যদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৮ সালে ২১ ডিসেম্বর থেকে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার পরেই দুই প্রতিপক্ষের যুদ্ধ থেমে নেই। যদি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি দু'বার বাড়িয়ে দিয়েছিল।

রাখাইন নৃতাত্ত্বিক কংগ্রেসের মতে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর এবং এএ-এর লড়াইয়ে ৬২ জন নাগরিক মারা গিয়েছে এবং দেড় শতাধিকেরও বেশি আহত হয়েছে।

   

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবান।

শনিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পাকতিয়ায় বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের সঙ্গে আলাপ করে এ কথা জানিয়েছেন এক গোত্র প্রধান। ৫ দিন ধরে পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া অঞ্চলে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলমান।

রোববার (১৯ মে) আনোয়ার সিদ্দিক নামে আফগানিস্তানের এক গোত্র প্রধানের বরাত দিয়ে দেশটির ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আমু টিভি জানায়, পাকতিয়া সীমান্তের জারি আরয়ুব এবং ডান্দ-ই-পাটান অঞ্চলে পাকিস্তানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

তিনি বলেন, দুটি দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতির জন্য তিনটি শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছে। শর্ত তিনটি হচ্ছে- কোনো পক্ষই আর কাউকে উস্কে দেবে না; সীমান্ত আবার খুলে দিয়ে সীমান্ত পথে দুই দেশের মধ্যে চলাচল ফের শুরু করা হবে এবং দুই দেশের ২০ জন করে মোট ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নজর রাখবে যেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তযুদ্ধ আর না হয়।

কুররাম সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের যাত্রীরা বেশি আসা-যাওয়া করেন। যুদ্ধের কারণে এ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।

;

সৌদির বাদশাহ সালমান অসুস্থ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ প্রচণ্ড জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন। বেশি অসুস্থ্যতাবোধ করায় এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

রবিবার (১৮ মে) জেদ্দার আল সালাম প্যালেসের রয়্যাল ক্লিনিকে এই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।

সৌদির রয়্যাল কোর্ট জানিয়েছে, জেদ্দার রাজপ্রাসাদের ভেতর অবস্থিত রয়্যাল ক্লিনিকেই বাদশার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারা বলেছে. “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জেদ্দার আসসালাম রাজপ্রাসাদের রয়্যাল ক্লিনিকে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বাদশার অসুস্থতার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা।”

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সাল থেকে সৌদির সিংহাসনে আসীন। তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হলেও কার্যত তিনিই দেশটি শাসন করছেন। সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যের খবর খুব কমই প্রকাশ্যে আসে। তবে গত এপ্রিলে রয়্যাল কোর্ট কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে তার ভর্তির হওয়ার খবর জানিয়েছিল। এর আগে, শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ওই সময় তার কোলোনোস্কপি ও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।

রয়্যাল কোর্ট আরও জানিয়েছে, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাদশার অসুখ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এছাড়া তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হবে। গত মাসেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

সেসময় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাদশাহ সালমান তার হার্টের পেসমেকারের ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের জন্য রাজধানী রিয়াদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার আগে ২০২০ সালে গলব্ল্যাডার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। সেই সময় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন ধরেনের জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।

;

ইয়েমেন উপকূলে তেল ট্যাঙ্কারে হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ইয়েমেন উপকূলে গ্রীকের একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এ কথা জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সেন্টকম বলেছে, ১৮ মে রাত ১টার (সানা সময়) দিকে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে গ্রীক মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জাহাজটি পানামা পতাকাবাহী ছিল।

সেন্টকমের বার্তায় বলা হয়, জাহাজটি সম্প্রতি রাশিয়ায় নোঙর করে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।পরে জাহাজটি ফের যাত্রা শুরু করে।

এরআগে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে এ হামলার কথা জানিয়ে বলেছিল, ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোখা নগরী উপকূলে জাহাজটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

;

নেতানিয়াহুকে গ্যান্টজের হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরােয়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধর্মান্ধের পথ ছেড়ে জাতির স্বার্থ রক্ষার কথা বলেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। তিনি গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা না থাকলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার জন্য ৮ জুনের মধ্যে ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনার দাবি করেছেন গ্যান্টজ।

গ্যান্টজের এ ধরনের মন্তব্য ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও নেতানিয়ানহু সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ফাটলের চিত্র তুলে ধরেছে। গ্যান্টজ গাজায় ৬ টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৮ জুনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করার ওপরও জোর দেন । যার মধ্যে আছে গাজায় হামাস শাসনের অবসান এবং অঞ্চলটিতে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, ‘‌নেতানিয়াহু যদি জাতীয় বিষয়কে ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর স্থান দেন, তাহলে এ সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। কিন্তু তিনি যদি ধর্মান্ধের পথ বেছে নেন এবং পুরো জাতিকে অতল গহ্বরে নিয়ে যান, তাহলে আমরা এ সরকার ছাড়তে বাধ্য হব। ’

অবশ্য নেতানিয়াহু তার এই মন্তব্যকে ফালতু কথা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর অর্ধ ইসরায়েলের পরাজয়।

এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন গাজায় বেসামরিক ও সামরকি শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনো পরিকল্পনা নেই তা যেন নেতানিয়ানহু জনসম্মুখে বলেন।

;